Author: ভাবুক
বিষণ্ণ স্পেস
ইতিহাস পড়ে পড়ে জেনেছি ভাস্কো-দা-গামা কোন এক বিষণ্ণ রাজা হঠাৎ একদিন জাগতিক মায়া ত্যাগ করা শিখলেন আমাদের ইতিহাস আমরা সম্পাদন করে রাখি তারপর ইতিহাসের সাক্ষী হতে বেঁচে থাকি বর্তমানে আমরা সবাই এইভাবে ইতিহাসের অংশ হই প্রতিনিয়ত! আমাদের শৈশবের ঝুলে থাকা নিজেদের আমরা নিজেরাই বহুদিন পর ধরে রেখে পতন থেকে বাঁচাবার…
ভার্টিক্যাল গোধূলি
ভার্টিক্যাল গোধূলির স্বাদ ভুলে যেতে বসেছিলাম নির্গত পরবাস্তব স্বপ্নে দু’টি ভিন্ন আদিকালের কিচ্ছা একত্র দেখে আবার জন্মের পর পর দেখা সূর্যাস্তের রঙ ভুলে যাচ্ছি এক বিমর্ষ জমকালো স্মৃতির লেন ধরে হাঁটার আমন্ত্রণে ঘুম থেকে জাগার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিলাম শুধু আমার পূর্ববর্তী সেই সময়ের অধিবাসীরা আমার বর্তমানের সমান আমরা রাত জেগে…
ক্ষুদ্র সাদা উড়োপাখি
অনেকেই বলে থাকে সাদা এবং কালো কোনো রঙ নয় অথচ সাদা কালোয় সম্পূর্ণ ভাব রঙে প্রকাশ সম্ভব পথে গাঢ় লাল কৃষ্ণচূড়া রক্তের চেয়ে কম নয় বিলবোর্ডে গোলাপি আভা জড়ানো মডেলের গাল বয়স কমে যাওয়ার সুখে জর্জরিত সম্পাদনের পর ছবি সাদাকালোয় ফিরে আসে শুধু কিন্তু বর্তমান সাদাকালো নয় বর্তমানের নীল চশমা…
রবি’দার জন্মদিন
(শ্রী রবি’দার জন্মদিনে রবিদা আমার প্রিয় লোক উনারে নিয়া একটু মজা কোর্তে ভাল্লাগে :p ) আজ জন্মদিন মম… কিছু বিখাউজ পোলাপান আইসা ট্রিট চাইছে।ওরা ভাবছে আমি ওদের মতো চাল্লু না, লোল ! মাম্মা আমিও আধুনিক যুগের লগে খাপ খাওয়াইয়া লইছি :v ওগোরে কইছি তুমরা তো আমারে ফেবুতে উইশ করছ।যাও ফেবুতে…
নিস্তরঙ্গ ফিনিক্স
কোথাও একদিন হয়তো এক শর্ষেখেতে জ্বলে যাচ্ছিল আমার দুচোখ বিকট কাশবনে সাদার আঘাতে ঢলে পড়ে যাচ্ছিলাম যখন তখন কেউ যেনো নীল পাড় বেয়ে আমার হাত ধরে দাঁড় করিয়ে দিলো আমি উঠে বসতে বসতে ভেবে মরি ওপারের লগি ধরে এতগুলো অন্ধকার আসলো কবে? দু’বার ভালমতো তাকিয়ে আকাশে একটি নিস্তরঙ্গ ফিনিক্স ভাসতে…
আমিত্ব
এ আসলেই অন্যরকম একটা ব্যাপার আমার চারপাশে এতো আলো কেন থাকবে? আর আমি শুধুই আমি আমি করে চলেছি আমার আমিত্বে আমি জ্বলে যাচ্ছি তুমি কিংবা তোমাদের আমিত্ব অর্থহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে আমার কাছে এছাড়া চারিদিক বিষণ্ণ সাদায় আলোকিত হলে অন্ধকারের আমিত্ব-ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় আমিত্ব কি? সত্যি বলছি নিরীহ নিউক্লিয়ার বোমাটিও…
অমাবস্যার কবিতা
চাঁদের ছায়া দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে প্রতিনিয়ত অমাবস্যার সাধকের চামড়া কুঁচকে গেছে প্রস্ফুটিত গোলাপেরা বিক্রি হবার প্রতীক্ষায় আছে বসে চন্দ্রাহত পথিক দুই এক কদম করে পা ফেলছে দ্রুত কবির কলমে টগবগ করে ফুটছে আসন্ন কাব্য মজুরের দু’চোখে নেমে এসেছে ঘুম পেঁচা একদৃষ্টিতে গ্রিলে চেয়ে আছে তারকা চিহ্নিত প্রশ্নগুলো আউড়ে যাচ্ছে…
মৃত শহরে
এ শহরে আর কোনো ফ্যান্টাসি অবশিষ্ট নেই মৃত নিকষ একটি শহর হয়ে দাঁড়িয়েছে কেবল রাস্তায় ভেসে আসে নিয়ত কর্কট নয়েজ হারমোনি নেই কোনো আছে শুধু বিকট ধ্বংস একেকটি হর্ন রক্তে ক্রমাগত ঢেলে দিচ্ছে বিষ পথচারী ব্যস্ত সবাইকে মাড়িয়ে এগিয়ে যাওয়ায় কাওকে সময় নেই জিজ্ঞেস করার “আছেন কেমন? ভাবী বাচ্চা দু’টো…
আমি যেসব বলতে চাই
আমি বলতে চাই সেসব,যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয় একটুও তবু কিছু গোঁরা খোয়ারে উঁকি দিতে দিতে দেখতে চাই কালি এবং জলরঙের পার্থক্যগুলো বলতে দিতে হবে আমাকে আমার কথা কেউ শুনুক আর না শুনুক আমার আপত্তি নেই তবু সবাই মনে রাখুক আমি একদিন কিছু বলতে চেয়েছিলাম দেয়ালে ক্ষয়ে যাওয়া ইটের কথা কেউ বলে…
ঘর্মাক্ত প্রেমিক
আর্টের সাথে ঘৃণা খুব ভালোভাবে মিশে যায় কারখানার চিমনি দিয়ে আমাদের প্রস্তর ভালোবাসা ধূলা আর প্রাচীন অবয়বে ছায়া হয়ে লেগে থাকে চিরকাল পুঁজিবাদী প্রেমিক আবারো শেষ কয়েনে কিনে প্রেমিকার জন্য একগাদা শাপলা ফুলের অনাহূত নির্যাস এইসব ছিল চিরকাল,শুধু চিরকাল ছিল না একটুকু লাল সিগন্যালে আটকে পড়া ফুল হাতে কিছু ছেলেমেয়ে…
কু ঝিক ঝিক