Author: ভালোবাসার কাঙাল
তোমাকে পেয়েছি
তোমাকে পেয়েছি স্বপ্নমাখা ভোরে, তোমাকে পেয়েছি রোদজ্বলা দুপুরে, তোমাকে পেয়েছি স্নিগ্ধ বিকেলবেলায়, তোমাকে পেয়েছি গোধূলীর নরম আলোয়, তোমাকে পেয়েছি সূর্যের আলোতে, তোমাকে পেয়েছি চাঁদের জোছনাতে, তোমাকে পেয়েছি প্রকৃতির নীরবতায়, তোমাকে পেয়েছি বিষণ্ন তরুলতায়,
কবর (প্যারোডী)
এতোটুকু তারে হাতে পেয়েছিনু সোনার মতোন মুখ, স্ক্রীন পেপার উঠে গেল বলে কেঁদে ভাসাইতাম বুক। এখানে ওখানে ঘুরিয়া ফিরিয়া ভেবে হইতাম সারা, সারা হাত ভরি এতো সোনা মোর ছড়াইয়া দিলো কারা! সোনালী ঊষার সোনামুখ তার আমার পকেটে ভরি ভাব লইয়া ছুটে যাইতাম শহরের-পথ ধরি। পকেটে লইবার কালে ফিরে ফিরে তারে…
অঞ্জনা
নদীটির নাম অঞ্জনা, নামটা তো তার মন্দ না! বুক জুড়ে তার ছলাৎ ছলাৎ উথাল-পাথাল ঢেউ। নেই তো নিয়ম, নেই তো রীতি, ক্ষণে ক্ষণে তার নৃত্যগীতি। নদীর বুকে রকমারি পাল তোলা যত নৌকার সারি।
আত্মহনন
শান্ত নদীর জল, রাতের আকাশে ধ্রুবতারা, এত পবিত্রতার মাঝেও বিষণ্নতায় আকুল। কল্পরাজ্যের যান্ত্রিক গোলাযোগ ফিরে আসি নির্মমতায়। চিরচেনা ল্যাম্পপোস্টের ধারে উদাসী চন্দ্রপানে দুই চোখ।
আর না
আমি আর কাঁদব না। ব্যথার আগুন নিয়ে আর ফিরে আসব না। হয়তো জীবন পেরিয়ে যাবে তবু আর ভালোবাসব না। আর কোন প্রেমের ব্যর্থতা এই মনেতে রাখব না। স্মৃতির পাতা আর হাতড়াব না।
পরিবর্তনের পথে হাঁটি
যুগের বিবর্তনে অনেক কিছুই তো দেখলাম। যবে থেকে এসএমএস এর প্রচলন হল তখন বাংলা লিখার ভালো পদ্ধতি ছিল না। বাংলা লিখতে হত সাধারণ মডেলের দামি নোকিয়া মুঠোফোনে আর অনেকেই বাংলা লেখার সামর্থ্যবান মুঠোফোন থাকা সত্ত্বেও বাংলা লিখতে সাচ্ছন্দ বোধ করতেন না। আর মুঠোফোনে বাংলা লেখাটা আসলেই বেশ জটিল এবং পরিশ্রমসাধ্য।…
অরূপা
অরূপা, তোমার জন্য আমার একরাশ গোলাপ ফুল। অরূপা, তোমার জন্য আমার দিঘীর নীল পদ্ম। অরূপা, তোমার জন্য আমার ঢেউহারা নদীর কূল। অরূপা, তোমার জন্য আমার ডায়েরী ভরা গদ্য। অরূপা, তোমার জন্য আমার গীটারের ছেঁড়া তার।
পুরনো পাণ্ডুলিপি – ৭ম অংশ (শেষ অংশ)
জমিদারবাড়ি পৌঁছেই একটা কাঙ্খিত দৃশ্য দেখতে পায় সবাই। রাহি ঘোরের মাঝে এগিয়ে চলেছে জমিদারবাড়ির দিকে। প্রধান ফটক পেরিয়ে গেল সে। রিশাদ বলল, “ ‘পুরনো পাণ্ডুলিপি’ ছাড়া ওকে আর ফেরানো যাবে না।” ফারহা প্রশ্ন করে, “ ‘পুরনো পাণ্ডুলিপি’ কি?” নিশি ওকে সংক্ষেপে বুঝিয়ে বলে। ওদের গ্রামের পুরনো নবাব এক জ্বীন পুষতেন।…
পুরনো পাণ্ডুলিপি – ৬ষ্ঠ অংশ
৫ম অংশের পরঃ কেবিনে ফিরেই তানিমকে একটা খোঁচা মারে নাহিয়ান, “কি রে রোমিও, জুলিয়েট ছাড়া কি ভালো লাগছে না?” তানিম ওর কথায় খুব একটা পাত্তা দেয় না। বলে, “সম্পর্কের মাঝে দূরত্বেরও প্রয়োজন আছে।” রিশাদ আঙ্গুল দিয়ে বলে, “হুম, সেটা বাবলু আর রিয়ার প্রেম দেখলেই বোঝা যায়।” নাহিয়ান একটু মুচকি হাসে।…
পুরনো পাণ্ডুলিপি – ৫ম অংশ
৪র্থ অংশের পরঃ জমিদারবাড়ির প্রধান ফটকের আগেই রাহিকে পেয়ে যায় তানিম আর আবির। রাহি ভিতরে ঢুকতে যাবে এমন সময় তানিম ওর কাঁধ ধরে ঝাঁকি দেয়, “এই রাহি, কোথায় যাচ্ছিস?” রাহি কোন উত্তর দেয় না। এক ঝটকায় তানিমকে মাটিতে ফেলে দেয় রাহি। আবার ভেতরে ঢুকতে চেষ্টা চালায় সে। আবির আর তানিম…
কু ঝিক ঝিক