Author: শাহিনুল ইসলাম
ভাঁড় আমি
আজকাল মনে হয় হয়ে গেছি ভাঁড় তাই করি চাহে যাহা জগত সম্রাট। বেঁচে দিছি দিনরাত্রি, ঘোডার খুরের শব্দস্বপ্ন, জন্মাবধি কাম্য পিরীতের পিরামিড আরোহণ। বহু-যত্নে-জ্বালা আনন কানন নিভে গেছে। সাংগ্রিলা যেতে পারতাম যদি, সহজ পাখির মতো উড়ে স্বপ্ন নিয়ে মিষ্টি জোছনার। ভাঁড় আমি। সময়ের সমারোহে চলি যেমন চাহেন তারা। হরদম বলি…
ইঁদুর
আজই প্রথম দেখলাম তাকে আমার নতুন বাসার নতুন অথিতি (নাকি তার বাসায় আমি ইনট্রুডার?) বয়স বোধ করি বেশি নয় সৌম্য অনায়াস সুসাধ্যতা শরীরে সমুদ্রের জলস্বচ্ছ চোখ আমাকে দেখেই পালাল ভয়ানক! আমি ও পালাই এই শহরের বাঁজখাই কণ্ঠ আর নখের আঁচড় থেকে; যে শহর আমাকে দিনে ও রাতে ক্রমাগত থেঁতলায়। আমি…
কোথাও যাবার নেই
কোথাও যাবার নেই। পয়মাল পথ। নীল জলের ফোয়ারা, পাখির কুজন, সোনারঙ্গা ধানক্ষেত, মহুয়া বাতাস, প্রেমিকার দীর্ঘ হাত, সোনালি মাছের আঁশ—কিছু আর নয় সুষম শোভন। সকলই খুইয়েছি। বাতি ঘনদীপ্য, কৈশোর নির্মল, নতুন জামার ঘ্রান, কাজ কর্ম, বেরহম কামের সোপান, পকেটে রাখা চিঠির নিষ্কলুষ ভাঁজ, ধ্বনি, প্রাণের গভীরে বাজা এলান। কোথাও যাবার…
তোমার ধর্মে আমি
দুটি চেতনার দুটি রঙই থাক নেই তাতে কোন ক্ষতি রঙের দোহাই বৃথাই তুলে ভেঙ্গ না সংহতি আমার আলোয় তোমার আঁধার তোমার ধর্মে আমি এই পৃথিবীর সকল কর্মে একই সর্বনামই
মৃত্যু হাতে খোঁজ
পৌষের ধানক্ষেতে আড়িপাত কার গানে যারে তুমি খুঁজে রগ্ন সেতো নেই এইখানে ওই তীব্র আলোর আরো দূরে তার বাস মৃত ইঁদুরের লাশে তার যতো উল্লাস।। সমস্ত অন্ধকার ঝড়ো হলে তার তান অনুদিত হয়ে বাজে কামনার মত। পৌষের বাতাসে ইচ্ছার ক্ষত শুকাবে না কৃশকায় সূর্যের টান।।
পৌঁছুতে চাই বিস্তীর্ণ বিশ্বে
বৃষ্টি শেষ। ঝিরিঝিরি হাওয়ার গান শুনি। গোত্র উপদেশ উপেক্ষায় চলি আলের উপর। গুড়ুম! সাঁইসাঁই মেঘ রাঙ্গায় চোখ। অদূরে ঝাউবনে বাজে ডোম্বিবিরহী গান। চিতানো বুকের গান শেষ হয়ে গেলে পর রক্তহাড় বিনাশি পোকার হুংকার বাজে বেশি। এই সাপালয়ে পড়ে কত বজ্রপাত অবিরাম।
আপনি আর জানবেন না
অবোধ মগজ কল্পনা করে দৃশ্য ধূসর, ছেঁড়া তার, বিপন্ন খুঁটি ধুলোমাখা পথ, বিগত শরত ধরা অধরার মায়াবি সুখ। কখনো চলে যাই জিমি হেনড্রিক্সের নোটে ভর করে বিগত যৌবনে প্রখর রৌদ্রের নিচে গ্রীসের প্রাচিন বিচে।
কু ঝিক ঝিক