আসিতেছে শুভ সংবাদ শোধ হয়ে গিয়েছে হৃদয়ের ঋণ অনটন- অভাব গিয়েছে সরে, মরে গেছে ব্যাথার নক্ষত্রহীন আকাশ- মনের বিবাদ। আসিতেছে শুভ সংবাদ, দ্রুত আমলকী ডালে উড়ে গিয়ে বসেছে দম্পতি। নিজ নিজ হাতে ছুঁয়েছে পালক, রাতের লক্ষী পেঁচার ধ্যান ভঙ্গ- বাজিছে সুর জলের প্রপাত আসিতেছে শুভ সংবাদ। অনেকদিন পর ব্লগে এলাম।…

হেঁটে যাচ্ছে সূর্য সন্তান-সুউচ্চ গ্রীবা। পেছনে সাহাবীগণ, ক্রুদ্ধ উন্মাতাল হস্ত-পদ-মুখমন্ডল উষ্ণ রক্তে লাল। খেপেছে আজ রঙ্গালয়ের রক্তিম আলোক শিখা তরবারি জুড়ে ধরেছে বিদ্যুৎ- অদ্বিতীয় ঈশ্বর। বল কে তোদের রিজিকদাতা, কে বা অধীশ্বর।

যে ছেলেটি মাননীয় স্পীকার হতে চেয়েছিল সে ছেলেটি স্পীকার হতে পারেনি অথচ রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিদিন দেশের কোটি কোটি মানুষ স্পীকার হয়ে যাচ্ছে। এসব দেখে বলতে হয়-“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে স্পীকার হয়। সকাল বিকাল স্পীকার হয়।” মুক্তমনা নামটি শুনলেই অনেকে নাক-সিটকায়, ভাবে কি না কি জানি। বাবা ওসব…

আমি মাটি ও মানুষের কবি নই, কংক্রীট কিংবা ইট-পাথরের কবি। আমার কবিতা কখনোই মাটির কথা বলেনা, মানুষের কথাও কখনো বলেনি-আমার কবিতা। মাটি আর মানুষের মাঝে প্রাণ আছে। ফরাসী-গ্রীক থেকে শুরু করে বাংলা সাহিত্য- প্রাণ নিয়ে, প্রাণের উচ্ছ্বাস নিয়ে লিখেছেন সবাই। কেউ কখনো পাথর নিয়ে লিখেননি।

আমি যখন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছি তখন থেকে আমার মুল্যবোধ, আমার চিন্তা-চেতনা, আমার আদর্শ, আমার দর্শনকে বাক্সবন্দী করে আলমারিতে তুলে রেখেছি যত্ন সহকারে। ব্যাপারটা আমার জন্য সহজ ছিলোনা। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন রাজনীতির জন্য আমি আমার ব্যাক্তিত্ব বিসর্জন দিয়েছি, আমি আমার আদর্শকে, আমার মানবতা বিসর্জন দিয়েছি। না, আমি কোনো…

গতকাল করেছিলাম রিকশা ভ্রমণ। আজ করলাম নৌকা ভ্রমণ সুরমা নদীর উপরে। শরীরে জ্বর, মাথা ব্যাথা, বমির ভাব ও ছিল সারাদিন। নৌকা ভ্রমণ খারাপ লাগেনি। নৌকা ভ্রমণ শেষে যখন ঘাটে এসে নামলাম, আমি আর মিজান গল্প করছিলাম রেলিঙে হেলান দিয়ে। হঠাৎ একটা মেয়ে এসে দাড়াল ঠিক আমাদের দুইজনের মাঝখানে যে জায়গাটুকু…

“এক্সকিউজ মি! একটু হেল্প করবেন?” পিছন থেকে ভেসে আসা কিন্নর কন্ঠের ডাক শুনে ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে তাকায় অমিত। দেখে, মিস্টি মত একটা মেয়ে দু হাতে দু’টো ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মিস্টি হেসে বলে অমিত- “আমাকে বলছেন? -হ্যাঁ আপনাকেই। আমাকে একটু হেল্প করতে পারবেন? -আপনাকে কি হেল্প করতে পারি? -ভুবন ডাঙা…

নিকোটিন আর কি পোড়াবে? ————তুই তো পুড়িয়ে গেছিস সব। কত কৃষ্ণচূড়া দিন যে গেল চলে, ————এখনো আমার ধুসর অবয়ব। আমি ছিলাম পদ্মপাতার জল, ————তুই ছিলি হয়ে হৃদয় পদ্মপাতা; বিষাদ মাখিয়ে নক্ষত্র হলি তুই- ————কুহেলিকার লিখতে হল গাথা। কতখানি সুখ হল তোর পাওয়া? ————কতখানি রয়েই গেল বাকী? নাকছাবি তোর মুড়তে হলে…

আমাদের চারপাশে অনেকে আছেন অনেক ভাল লিখেন কিন্তু পরিচিতির অভাবে তাদের লেখার তেমন মুল্যায়ন হয়না। মানুষের সাধারণত নামের পাগল। আজকে যদি, আমার একটি কবিতা হুমায়ুন আজাদ স্যার এর নামে প্রকাশ করা হয় তাহলে সেখানে যে মন্তব্য পড়বে, নিজের নামে প্রকাশ করলে সেই মন্তব্য হয়তো পড়বেনা। বেশিরভাগ পাঠকই কি লেখা সেটা…