Author: বিন্তী সরোবর
ইশ্বর ও দেবী
মাঝে মাঝে ওই শরীর জুড়ে সম্পূর্ন একটা ধর্মগ্রন্থ দেখতে পাই ভেতর থেকে ইশ্বর উকি মারেন। ইশ্বর বরাবর হাজারো অভিযোগ নিয়ে আমি ধর্ম-গ্রন্থের সামনে নত মস্তকে দাড়াই, ইশ্বর হাত বাড়ান, আমি সমস্ত ভূলে যাই। দেবী ওই শরীর জুড়ে আমি ইশ্বর কে দেখতে পাই।
অনিদ্রা – বিন্তী সরোবর
এই শহর অদ্ভুত, অপরিচিত! বসে বসে বজ্রপাতের শব্দ শুনি। ভীষন অনিদ্রা দু-চোখে আমার অনিদ্রায় তোর হাতছানি।
ভগ্নাংশের দিন রাত্রি – বিন্তী সরোবর
কথা ছিলো দীর্ঘ সময় ব্যাপী চাষ করবো যন্ত্রনা; যন্ত্রনার কুল জুড়ে জন্ম নেবেন ইশ্বর। ফুটফুটে দুঃখ-বেদনা আর অভিশাপ, সে তো অনেক হলো! বিষাদের শহরে বেয়াল্লিশ পূর্ন হয়েছে বেঁচে থাকার, মহাকাল হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ফুরিয়ে এসেছে ভগ্নাংশের দিন-রাত্রি, নিয়তির পরিহাস, টুকরো টুকরো বেঁচে থাকা। আমি বিদায় জানাচ্ছি দেবী, সামনে সময় ইতিহাস…
তাকে বলে দিয়ো আমি নেই – ১৩
তাকে বলে দিয়ো আমি নেই, আর নেই। আমার স্বপ্নে তার ছায়া নেই, নেই কোন কবিতার মায়া। তাকে বলে দিয়ো তোমরা, হে নবীন উত্তরসূরিরা। আমি হারিয়েছি, গোধূলীর বিষন্ন প্রান্তরে; রেখে গেছি যত স্বপ্ন, আমার গল্প কবিতা খুব যত্ন করে। সে যেনো একবার চোখ বুলায়, দেখে নেয় কোন এক বিকেলের অবসরে।
বিশুদ্ধতম অসুখ – ১৩
ভালো নেই আমি, নিজেকে অসুস্থ মনে হয় আজকাল; যে অসুখ হয়েছিলো মনে, বাড়তে বাড়তে তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো অস্তিত্ব জুড়ে। কেবল অস্তিত্ব গ্রাস করেই থেমে থাকেনি সেই অসুখ; ক্রমে ক্রমে সংক্রমিত হয়েছে আমার চিন্তা-ধারায়, আমার দৈনিক কাজ-কর্মে আর আঠপৌরে ভাবনার জগৎ জুড়ে। আমার দৃষ্টি জুড়ে ভেসে থাকে সব জীর্ণ-ময়লা দৃশ্য;…
একজন মৃতপ্রায় কবি – ১৩
একজন মৃতপ্রায় কবি, দুরের শহর থেকে ভেসে আসে কিছু আবছা দৃশ্য্, আর গলা হাকিয়ে ছুটতে থাকা করুন অস্তিত্ব, সে তো বন্দী হয়েছে তোমাতে, এ যে গেলো বসন্তের শুরুতে ভালোবাসায় বিভোর হওয়া কবি, নির্ঘাত বাস্তব স্বপ্নের মরিচীকা তিনি কবি, এই দৃশ্য তারই ছবি। খসে পড়া পাচিলের রঙ, বাহ কি তরুণ! তার…
দেখে যাও জ্বলছে ভূবন স্বপ্নের চিতা – ১৩
শব্দের খোঁজে যুগ থেকে যুগে হয়েছে বিমূঢ়, রুগ্ন কিংবা ভগ্ন; অদ্ভূত অনুভবে। বাক্যের জোড়ে, অন্তর আত্মা খুড়ে খুড়ে বাঁজিয়েছে ধ্বনি, দিগ্বিদিক; হাজারো হৃদয় পুড়ে। হয়তো পেয়েছে দেখা, তোমার ভূবন স্বপ্ন পূরণ আর এক চিলতে লাল সিধুর শাখা। দেবী, তুমি এসেছিলে ধরায়, ভেবেছিলে হেলায়! আহা ছেলেটা! কি দারুন কি দারুন অস্তিত্ব…
দেবী ভালো থেকো – ১৩
ফুটেছে হাসনা হেনা আমার উঠোন জুড়া; হৃদয় মাঝে দিন-রাত, চলছে কষ্টদের মহড়া। আমি ঘুমোই নি কত রাত, দিয়েছি স্বপ্নের পাহারা; জাগরনে ক্ষয়ে গেছে শত প্রভাত, ঢুকরে ঢুকরে কেঁদেছে নিষ্পাপ ঘুমেরা। তাইতো নিচ্ছে প্রতিশোধ, এখন আর এদিকে আসেও না। দেবী ঘুমোই নি কত রাত, তুমি কখনো জানবেও না। আমার ঘুম আসেনা,…
লাল-রং ধংস যজ্ঞ – ১৩
আজো চলছে ঝড় সর্বগ্রাহী, তান্ডব হৃদয় জুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে দেবী, আমি থমকে আছি; এ যে চিমচিম ব্যাথা, ক্ষোভে অন্তর পুড়ে। দু-কূল ছাপিয়ে বইছে ক্ষরস্রোতা সর্বনাশী, কালকূট ছড়িয়ে পড়ছে হৃদয় মন্দিরে; মেলা শেষ উপসংহার অস্তিত্ব জুড়ে। তারপর যাত্রা, ফিরতি পথে। আমি ফিরে আসবো দেবী পরাজিত আত্মাদের ভীড়ে; নিয়ে প্রতিজ্ঞা,…
ভূবন ডাঙ্গার বউ – ১৩
কেউ তার চোখে জল দেখেনি, অথচ খেলেছিলো উত্তাল সমুদ্দুর ঢেউ, বুঝেনি বুঝেনি সে ব্যাথা, নেয়নি খবর কেউ। কেউ তার হাত ধরেনি, অথচ সে তৈরি ছিলো; মনে উল্লাস, হাজারো স্বপ্ন, আর ছোট্টো একটা সংসার! হায়…!! নিষ্ঠুর জীবন, সঙ্গ দেয়নি কেউ; ফিরে নি প্রেমিক, হয়নি সাঁজা ভূবন-ডাঙ্গার বউ। তুমি কি খুঁজবে তাকে,…
কু ঝিক ঝিক