কফির মগ হাতে নিয়ে সকালের নরম রোদে বসে আছে সায়লা আমিন।শিতের সকালের রোদ তার খুব প্রিয়।ঘরের ভিতর এ রুম থেকে ঐ রুম দৌড়া দৌড়ি করে মাতিয়ে তুলছে তার তিন বছরে মেয়ে নিহিতা। সায়লা খুব স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করছে কিন্তু পারছে না! গতকাল রাতের অপ্রিতিকর ঘটনা তার মনে পড়ে যাচ্ছে।বার বার…

— তুমি কি এখন সব সময়-ই নিরব থাকো?কথা কম বলো? — তোমাকে হারিয়ে ফেলার পর থেকে অবসর সময় তোমাকে না ভেবে কিছু লেখার চেষ্টা করি… তাই মুখ কম চলে,চিন্তা বেশি করি,কলম খুব ভাল চলে… — মিথ্যে কথা এটা তোমার পুরনো স্বভাব… তুমি আগেও এমন ছিলে,নিরব থেকে কল্পনার রাজ্য থেকে গল্প…

আয়্না নিজের চেহারাটা খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছে রুহিত। কোথাও কোনো খুত আছে কিনা! পাশে বসে আছে মালিহা। মালিহা সম্পর্কে রুহিতের কাজিন হয়। মালিহার মন খারাপ। রুহিত না বললেও সে জানে রুহিত কোথায় যাচ্ছে।

রাফির মাঝে একটা কবি কবি ভাব আছে।চুল গুলো একটু বড় বড়,ঢিলে ঢালা জামা পরে সব সময়। সারা দিন কেমন একটা ভাবুক ভাব নিয়ে থাকে। ওর চেহারা টাই এমন নাকি সারা দিন সত্যি কিছু একটা ভাবে সেটা কেউ বলতে পারে না। রাফি ঢাকা কলেজে বাংলা বিভাগে সম্মান চতুর্থ বর্ষে পড়ছে।হলেই থাকে,বেশির…

জীবনের অন্তীম মুহুর্তে এসে আহসান সাহেব আজ অনেক যোগ বিয়োগের হিসেব মিলাতে ব্যাস্ত। কোনো কিছু-ই অপুর্ন ছিল না,সব অপুর্নতা-ই পুর্নতা পেয়েছে। নিজের যোগ্যতায়. (নিজের উপার্জনের টাকা দিয়ে বাড়ি করেছে,গাড়ি কিনেছে। সমাজে যথেষ্ট সম্মান কুড়িয়েছে)

চোখ বন্ধ করে থাকতে পারছেন না আজীজ মিয়া,চোখ বন্ধ করলে-ই ছেলের কথা গুলো শাখা প্রশাখা মেলতে থাকে কানের মাঝে ঠক ঠক করে বেজে উঠে। চোখ খুলেও দৃস্টি টা কে বেশি দুর প্রসারিত করতে পারছেন না ঘরের সেলিং এ সীমাবদ্ধ থেকে যাচ্ছে। অসয্য লাগছে। একটু কাদতে পারলে ভালো হত কিন্তু পারছে…

রাত ১টা বাজে।একটার পর একটা সিগারেট টেনে চলেছে রুদ্র।ক্ִদিন আগেও রুদ্রর কাছে সিগারেটের অপর নাম ছিল বিষ।আর এখন মনে হয় আত্মার আত্মিয়।মাঝে মাঝে পকেটে টাকা থাকে না তখন পাগলের মত হয়ে যায় রুদ্র,বাবার পকেট মারে,মায়ের জিনিস চুরি করে শুধু মাত্র সিগারেটে অমীয় সুধা পান করার জন্য।তাই পরিবারের কাছেও বিষ হয়ে…

ঢাকায় যারা বসবাস করেন তারা মায়ের কাছে যেমন ঋনী তেমনি বুড়িগঙার কাছেও ঋনী।পানি,গ্যাস,বিদ্যুৎ ছাড়া ঢাকা কত টা সচল?আমার কাছে মনে হয় সম্পুর্ন-ই অচল। আপনি জানেন কি? এই বুড়িগঙার পানি খেয়ে আমরা বেচে আছি। আর বাচতে হলে এই বুড়িগঙার পানি খেয়ে-ই বাচতে হবে।(কারন ঢাকার একমাত্র পানির উৎস-ই হল বুড়িগঙা) যে বুড়িগঙা…

কেউ ৯০ পেয়ে ফেল,আর কেউ ৬০ পেয়েও পাশ সার্টিফিকেট পেয়ে গেল.. এটা কী সম্ভব?? সম্ভব,শুধু কোটা ধারী স্টুডেন্ট হলেই চলবে… কোনো সত্যি কারের মুক্তি যোদ্ধা কে পেলে জিজ্ঞেস করতাম,এ জন্য-ই কি তারা দেশ স্বাধীন করছিলেন??? মুক্তি যোদ্ধার সন্তানের আদর্শ ত এটা হবার কথা নয়। তার আদর্শ হওয়া উচিত যুদ্ধ করে…