১. অবশেষে ছেলেটি হারিয়ে গ্যালো রিক্ত আকাশের পথ ধরে, অনেক হয়েছে মধ্যবিত্ত প্রেম সোডিয়াম বাতি খেয়ে নিচ্ছে আঁধার আর একটি তারা বয়ে যাচ্ছে নিঃসঙ্গতার ক্ষত ।

পিরিয় কইতরী, কিরাম আচো ? হব্বায় তুমার কতা বাবতাসিলাম । মনে মনে “তুমি দিয়ো না গো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া” গানডা গাইতাসিলাম, আর ঠিক হেই সময়ই পিছে দিয়া আব্বায় আয়া দিলো এক কুনি । এরুম জুরে মারসে, কি আর কইতাম । অক্করে আরেকটু ওইলে মুক দিয়া চিক্কুর বাইর হইয়া যাইতো…

২০০৯ সাল, তখন সবেমাত্র কলেজে উঠেছি । স্কুল শেষ হওয়ার পরেই প্রত্যেকটা উঠতি বয়সের ছেলেরা যেমন নিজেকে খুব বড় এবং জ্ঞানী মনে করে, আমিও তাদের দলে ছিলাম, অথবা তাদের চেয়ে এক ডিগ্রী উপরে । দুষ্টামির সীমা থেকে একটু বেশি আর বেয়াদবির সীমা থেকে অনেক বেশি । বয়সটাই তখন বেপরোয়া, বাধাহীন…

১০ই মার্চ এক ছোট্ট আপুর মাধ্যমে এক নাবালিকা’র সাথে পরিচয় হয় এক পাগলের । ফেসবুকে অ্যাড করে রাত ১০ টা ০২ মিনিটে । কথা হয় অনেক, প্রতিদিনের কথাগুলো যেন হঠাৎ করে শুধু তাকেই বলতে ইচ্ছা হয় । সেই নাবালিকা’র প্রত্যেকটা কথায় যেন খুঁজে পেতে থাকে এক ধরনের মিল, অস্তিত্বের মুখোশে…

আমি স্বাধীনতা দেখিনি যখন দেখি বাতাসের তোড়ে একটি পতাকা দিগ্বিদিক উড়ে বেড়ায় নির্মাল্যে তখন মনে হয় স্বাধীনতা আছে, যখন ফসলের সবুজে চারপাশ দৈব হয়ে ওঠে তখন মনে হয় স্বাধীনতা আছে ।।

আগামী একশ কোটি বছর এভাবেই ভালবাসবো, তোমার নাম বুকের মাজারে এভাবেই আগলে রাখবো । বুকের ভেতর ঝড় উঠবে যেদিন আমি শুধু তোমায় ভেবেই সামলে নেবো সব, ভাঙা চাঁদের আলোয় ভিজে শুধু তোমার কাছেই চাইবো ভালোবাসা; আগামী একশ কোটি বছর আমি ফোটাবো গোলাপ, জারবারা আর রক্তাক্ত ক্যালেন্ডুলা তোমার চুল সাজাবো, মাখাবো…

যেই রক্তে ভেসেছে ওদের শরীর সেই রক্তই তো আমাদের দেহে, টকটকে লাল………।। কিন্তু তবুও পার্থক্য ছিল বহমান নিঃশ্বাসের মত ওরা যে গরীব !! গরীবের আবার কিসের রক্ত ? আর্তনাদ !! ওরা করবে না তো কারা করবে ? গরীব আবার মানুষ হয় নাকি ? আশরাফুল মখলুকাত- ওরা হবে কেন ? মানুষ…

সাভার ট্র্যাজেডি নিয়ে ভাবছিলাম কিছু একটা লিখবো । কিন্তু কোনভাবেই কিছু লিখতে পারতেসি না । যতবারই লিখতে যাই, কানের কাছে কে যেন বলে, “দাদা, আমাকে একটু বাঁচান । কলমটা আমার দিকে এগিয়ে দেন, কলমটা ধরে আমি উঠে আসি । আমাকে তুলেন দাদা, আমাকে বাঁচান”।