একদিনের দেশপ্রেম শেষ আমাদের, ও না আসলে ভাষা প্রেম কালকে থেকে আবার নিজের প্রো-পিক বদলানি হবে। রাত থেকে শুরু হবে হিন্দি সিরিয়ালের কাহিনি দাবড়ানি। হায়রে বাঙালী শহিদ মিনার এর উপর আমাদের একদিনের এতো প্রেম না দেখাইলেই বা কি আসে যায়? শহীদ মিনার সেইটা আবার কি ইট পাথরের তৈরি চারটা খাম্বা?…

২০১০ সালে দেশ ছেরে বিদেশে আসি যারা বিদেশে আসছে তারাই একমাত্র বুঝছে দেশ ছাইরে বিদেশে থাকার ঠেলা কেমন। যারা ঘুরতে আসে ১ মাস বা ৬ মাস এর ভিসা নিয়ে তারা অবশ্য বুঝে না। অনেকেই বিদেশের ভিসা পাওয়ার পর গদ গদ কইরে আনন্দে আটখানা হয়ে যান লাফাইতে লাফাইতে এয়ারপোর্টে আসেন খুশিতে…

জামাত শিবির যে ধর্মেকে ব্যবহার করে ধ্বংসাত্মক কাজ করে তা আমরা সবাই জানি। ধর্মের নাম নিয়ে বাংলাদেশের নিরীহ মানুষ বিশেষ করে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ কে তারা বোকা বানায় এবং তাদের অপকর্ম তে তাদের সুকৌশলে ব্যবহার করে। তা নিজে আমি দুইটা ছবি দিলাম একটা জামাত-শিবির এর বড় ছাগল আরেকটা ব্রেনওয়াশড ছোট ছাগু…

আজকে আমার এক বন্ধু আমাকে একটা প্রশ্ন করলো প্রশ্নটা হইলো “আমরা কয়জন সত্যিকার ভাবে দেশরে ভালোবাসি,কয়জন দেশের জন্য জীবন দিবো আর সত্যিকার অর্থেই কি দিবো?” বলে রাখা ভালো আমার ফ্রেন্ড টা একটা ছুপা ছাগু মানে জামাত-শিবির করে কিন্তু জানতে দেয় না। তৎক্ষণাৎ,আমার একটা ইচ্ছা হইল তার সামনে গিয়া খাড়ায় কানের…

মাঝে মাঝে বুঝে পাই না একত্তরে মুক্তিযোদ্ধারা কেন যুদ্ধ করছিল আর দেশটারে স্বাধীনই বা কেন করলো?তারা যুদ্ধ করলো ত বাংলাদেশ নামে একটা স্বাধীন দেশ পাওয়ার জন্য নাকি?যেই দেশে কোন বিভেদ থাকবে না হানা-হানি থাকবে না অন্তত সব ধর্মের মানুষ একসাথে বসবাস করবে এক দেশে শান্তিতে এই টা ত মনে হয়…

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ এত উন্নত ছিল না যে সু-সজ্জিত সেনাবাহিনী থাকবে আর পাকিস্তানী আর্মির সাথে যুদ্ধ করবে।যা সহায় ছিল এই আমাদের বাংলাদেশের জনগণ ছাত্র,শিখক,বুদ্ধিজীবী থেকে শুরু করে সাধারণ বৃদ্ধ পর্যন্তও আমাদের এই দেশকে বাচানির জন্য তারা নির্দ্বিধায় যুদ্ধে যোগদান করে।তাদের সাহায্য করে ই,পি,আর থেকে পালিয়া আসা বাঙালী অফিসাররা…

হায়রে বাঙালী সীমান্তে হজার ফেলানী মরলেও তোমাদের কিছু যায় আসে না কিন্তু ঘড়ের স্টার প্লাস আর স্টার জলসা যদি একদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায় তাইলে তোমাদের দুঃখের সীমা থাকে না।জামদানী পরলে তোমাদের স্ট্যাটাস এর অবনতি ঘটে কিন্তু আনারকলি আর দাবাং ছাড়া তোমাদের ঈদ আর ঈদ হয় না।হাসান,লালন,বাউল তোমরা কানেই তোলো…

ব্রিটিশ শাসন আমল থেকে মুক্ত হয়ে প্রথমে ভারতবর্ষ তারপর ভারতবর্ষ থেকে আলাদা হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আর পশ্চিম পাকিস্তান অতপর ৭১’র এ ৩০ লক্ষ শহীদের জীবন ও ৩ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানীর বিনিময়ে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর এখন আমাদের এই বাংলাদেশ।ভারতবর্ষে থাকাকালে কেও হয়তো কখনো কল্পনাই করতে পারেনি যে…

ছোটকাল থেকে আমি জানতাম বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি ওরফে বি,এন,পি আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।এমনকি বি,এন,পি এর প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান ও একজন মুক্তিযোদ্ধা।কিন্তু এখন বর্তমান সময়ে আমার মনে হয় এই ভুল টা ভাঙল কারণ বি,এন,পি যেই হারে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন রে বাঁচানোর জন্য উঠে পড়ে লাগলো তাতে আমার আর বি,এন,পি কে…

একাত্তরে নিহত ক্র্যাক প্লাটুন এর সদস্য শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আজাদ,রুমি,জুয়েল,বদিউল এরা নিশ্চই একাত্তরের যুদ্ধের দিনগুলিতে কোন এক সময় ভাবছিলো যে দেশ কোন একদিন স্বাধীন হবে।দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।দেশের মানুষ শিক্ষায়-দিক্ষায় উন্নতি করবে।হাজার বছর পর বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশ হবে।দেশের মানুষ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।