Author: বিপ্রতীব
অনুগল্প : জানলা
আমাদের নিঃসঙ্গতা তীব্রভাবে আকাশমুখী হয়া গেলে আমরা রাস্তাঘাটের মুখরতায় দিকবিদিক দৌড়াই। ধরি, এর নাম পলায়ন নয়, অনির্বানবশতঃ আমরা দৌড়ে যেতেই পারি এবং আমাদের পেছনে ধাবমান কেউ থাকার কথাও না। আর ক্লান্তিবোধ হলে আমরা থামি, সম্ভবত লেবুগাছ খুঁজি। লেবুগাছ কই?
অণুগল্প: রোদঘ্রাণ অথবা অন্ধকারের রঙ
অথচ লোকটা রোদের গন্ধের ভেতর নির্বিকার দাঁড়িয়ে থাকে। শিমুলতলার অধিবাসীদের দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ত জীবনে হয়তো খানিকটা কৌতুহল বয়ে আনার জন্যই আকস্মিক উদয় ঘটে তার এবং কেউ কেউ তাকে দেখে বিস্মিত হয়। তারা বলে, কি রে ব্যাডা, তুই ইবা খাড়াই আছস ক্যা? তর কী হইছে? প্রতুত্তরে সে তাদের দিকে শূণ্য দৃষ্টিতে তাকিয়ে…
অণুগল্প: অপরিণামদর্শী
ভুলে যাওয়ার আগে মজিদ শেষবার যা দেখেছিলো- সম্ভবত তা ছিল শিমুলতলীর মেঘ। এবং এটা সংগত কারণেই ধারনা করা যায়, যেহেতু তার মুখে ঝুলে ছিল একটি বিহ্বল অভিব্যক্তি। মুহূর্তে তার আপাদমস্তক ঝলসে যায়, এবং পরক্ষণেই নিদারুণ নৈঃশব্দের ভেতরে পুষে রাখা সমূহ আর্তনাদে কেঁপে ওঠে শিমুলতলীর দশদিক। অতঃপর মজিদকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে বৃত্তাকারে…
স্মৃতি থেকে মুছে ফেলা যাবতীয় পাপ
১. তপ্ত রৌদ্রমাখা একটি পূর্নদৈর্ঘ্য দুপুরের শূণ্যতা মাথায় নিয়ে হাঁটি। অনেক আগে, মনে পড়ে, এক বিষণ্ন কোমল ম্লান বালিকার মেঘরঙ আঁচলে ছাঁকা এক আঁজলা লেবুজলে আজন্মের তৃষ্ণা মিটিয়েছিলাম। সেই জলে ডুবে কসম মরে যেতে ইচ্ছে হয় এখন। ২.
কু ঝিক ঝিক