Author: সজয় সরকার
শাহবাগ
(শাহবাগ আন্দোলনের সময় লেখা) (১) আজকের শাহবাগ জনপূর্ণ শতভাগ না না যানে নয় জনতার বাংলা জয়। রব উঠেছে জয়বাংলা প্রজন্ম জেগেছে উতলা প্রহরে প্রহরে ক্ষণে ক্ষণে পলে যাচ্ছে সবাই –মিলে শ্লোগান-মিছিলে। দেশদ্রোহী রাজাকার পাবে না আর পার জনতার হুংকার করবই এবার বিচার। শুধু নিছক নয় বিচার স্লোগান উঠেছে’তুই রাজাকার’ তাই…
অবাঞ্ছিত শিশু/৭১(যুদ্ধশিশু)
(১৫.১২.২০১২ তারিখে লেখা) আমি যুদ্ধ শেষে জন্ম নেওয়া এক অবাঞ্ছিত শিশু,হয়তো অসুরের দন্তক্ষত আমার মাতৃ-স্তনবৃন্তে আঁধারের ছায়া ফেলেছিল। কিংবা ঘৃণার লাভায় উৎগিরিত এ আমায় স্তন্যদান আরো ঘৃণার,–তাই বুঝি নিজ হস্তে সপ্রত্যঙ্গ বিদীর্ণে মেতেছিল মাতা। তবুও বেঁচে আছি মা অভাবনীয় আশ্চর্যের মতো অসুরের বংসধর হয়ে; ঘৃণার অন্ধকারে শুধুই তোমার জন্য– ভালোবাসা…
আবার একাত্তুর?
(১৮.০৫.১৩ তে লেখা) আবার প্রেতের প্রহরায় প্রহর যায় আবার জেগেছে এ শহর শবের শহর হয়ে ভষ্মের স্তুপে আবর্জনার স্তরে স্তরে দালানের ভগ্ন-ভাগাড়ে শুধু শব আর শব শুনেছি একাত্তুরে শবের নগরী প্রেতের প্রসাদ গড়েছিল– তবে আবার কেন তাজরিন-রানাপ্লাজায় প্রতিক্ষায় প্রেত ও পিশাচ আবার শত সহস্র শব ভূমিকম্পের মতো–কম্পমান কিন্তু ভূমিকম্প তো…
নাগরিক সভ্যতা
ক্ষেতের পর ক্ষেত মাঠের পর মাঠ বিস্তীর্ণ জলাভূমির মাঝে সরু রাস্তা রাস্তার পাশে কাঁটাবন; কোথাও ফুল; আমি পেরিয়ে এসেছি এতো কিছু যেখানে এলাম সেখানে এলে গ্রাম্য আর চাষাদের অসভ্য বলে গালি দেওয়া চলে। একটি সভ্য নগরের খোঁজে কঙ্কালসার অসভ্যদের মাঝ থেকে উঠে আসা আমি- নাগরিক হতে এসেছি। সেখান থেকে এসেছি-…
মলয় স্যার
স্কুল টিচার মলয় কুমার লোকটা ভীষণ ভালো আহার বিহার সব ভুলে তার বিলান জ্ঞান-আলো। দুপুর প্রভাত, দিন কিবা রাত অবকাশ তার নাই পঠন পাঠন লেখার যতন, ‘সঠিক হওয়া চাই’।। জ্ঞান-আধার মোদের দাদার কতো ছাত্র রাশি রাশি তাহার গুনেই কালো আর নেই;আলোয় আলোয় ভাসি। জীবন যাপন সরল যেমন ;পড়ার বেলা কঠোর…
বর্তমান বাংলা
আজ মধ্যরাতে লোডশেডিং সাথে মোমবাতি এবং ভাপসা গরম হঠাৎই আমাকে আলোড়িত করে আমার অগ্রজের রক্তস্রোত এবং অনুজের স্বপ্নাবেশ।এ দুই মিলেই তো আমার বাংলাদেশ। কিন্তু এ দুয়ের মাঝে আছে আরো অনেক কথা। সেসব কথা শুনলে তোমাদের মনে হবে মিথ্যে হয়ে গেছে অগ্রজের সে আত্মদান, কেননা নগরের কাকের মতো নোংরা হয়ে আছে…
আহ্বান
সে দিলো না তোমার ডাকে সাড়া? স্বাভাবিক খুবই স্বাভাবিক কোনো পাষাণের কাছে কারো প্রাণের আকুতি নিরর্থক। তুমি তোমার হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে তার কাছে করেছিলে প্রার্থনা? সে উপেক্ষায়–তা করলো সংহার? স্বাভাবিক খুবই স্বাভাবিক কোনো পাথরের কাছে তৃণের আহ্বান নিরর্থক। কেননা, পাথরের বুকে তৃণের জন্ম অনাকাঙ্ক্ষিত। তারচেয়ে তৃণের উচিৎ কোনো পলিময় কোমল…
প্রবন্ধ রচনা
একটা স্মৃতিময় সন্ধ্যা নিয়ে একটা প্রবন্ধ লেখার কথা ছিল আমার। জাতীয় গণগ্রন্থাগার থেকে বই সংগ্রহ করে ঘেঁটেঘুটে প্রবন্ধ লেখার রীতি নিয়ম রপ্ত করে লিখতে বসলাম।কিন্তু লেখার সব রীতি নিয়ম ছাপিয়ে শুধু তোমার কথাই মনে পড়ে যাচ্ছে। তাই প্রবন্ধ লিখা হলো না আমার। এ যেন নদীর কথা লিখতে গিয়ে শুধু জলের…
ভ্রান্তি বিলাস
মধ্যরাতে খুঁজে ফিরি সন্ধ্যাতারা দিনের আলোয় চাঁদ খুঁজে হই দিশেহারা মাঝ দুপুরে নিশিঘুমে পাগলপাড়া এমন সব ভ্রান্তি বিলাস করছে মোরে ছন্নছাড়া। সোনালী রোদের সকালবেলা হলেম আমি গৃহছাড়া গোধূলির ঐ সন্ধ্যাবেলা বল্গাহারা ক্লান্ত মেঘের বৃষ্টি হয়ে হলো না আর ঝরে পড়া তবে কি আজ হলেম আমি ভুলের তোরে সর্বহারা? স্বপ্ন ঘোরে…
হে রাজধানী
(অনেকদিন আগে রাজধানী ঢাকাকে নিয়ে লেখা) হে রাজধানী, আমি এক মফস্বল কবি দেখতে এসেছি তোমায়, বড়ই আহ্লাদে; কিন্তু হায়,তোমার প্রকট পাষানরূপ অদ্ভুত। তোমার নাসাগ্রে আবর্জনার পূতিগন্ধ; তোমার গ্রীবায় করে বসবাস মুখোস-মানুষ আর তুমি;ভাবলেশহীন নির্লিপ্ত প্রাণহীন এক নিরেট আস্তাবলে অশ্বমুলার মতো পড়ে আছো। যন্ত্রদানব চিৎকারে-ফুতকারে করিছে বিলাপ; তুমি অবিচলিত আর অপলক…
কু ঝিক ঝিক