Author: নীলকান্ত
বধির সময়
তোমাকে শোনা যাচ্ছে না অনেকবছর আমি কি বধির হয়ে আছি? একটা কবুতর ঝপঝপ উড়ে যাচ্ছে, শুনে চমকে যাচ্ছি। যতবার তার পাখা ঝাপটায় প্রতিবার শব্দ শুনি পটকা ফেটে বেরিয়ে যাচ্ছে কবুতরের ছানা। মাঝরাতে পূর্ণিমার চাঁদ; তোমার মত নিবিড়ভাবে বসে আছে শব্দহীন পূজারবেদী। কোন পাখি, আকাশে উড়ার জন্য বসে রয় ক্রোশ যোজন…
কালের দৈত্য এসে
আমাদের প্রিয় নতুন স্বভাব জন্ম লয় শুণ্যরেখায় বহমান চিন্ময় তরুণ হৃদয় আমার খোদা ও ধ্বংসের কোনও ব্যাখ্যা নেই। দুর্বল কবুতর পাখা মেলার দায়ে বন্দি যেমন হয়, তেমনি নিঃশব্দে ক্ষত হই। আমি জানি- তোমাদেরও আছে শব্দ ও কারাগার গ্রন্থ, তাতে হাতির পায়ের মত বিধ্বংসী পদে হেঁটে যাই শুধু মানুষের জন্য। হ্যা!…
আগামীর স্রোত
কোথায় যেন আছে একটি সুরঙ্গের পথ সুগভীর! ছোট-বড়ো নিশ্বাস উঠে আসছে; তার একদম ভেতরে আছে নদী, কয়েকটি নদী; যাদের শব্দ শোনা যায় ঐ শহরে- শহরের জন্যে। ফেরিওলার ঝুড়ি, একটি ফেরিওলার ঝুড়ি- সুন্দর সব পলিশ, ঘ্রাণ আর চকচকে রঙিন চুড়ি। অগণিত শিলাবৃষ্টি ঝুপঝুপ ভাঙছে কাষ্ঠ নগরীর হৃদয়, মোড়ের ঝালাই দোকানের মত…
বিজ্ঞান বনাম বিশ্বাস
বিশ্বাসপ্রবণ মানুষের সাথে বিজ্ঞানের কোনও সম্পর্ক নেই, বরং ঘোর সাংঘর্ষিকতা আছে। বিজ্ঞান ও বিশ্বাস একে অপরের ঠিক উল্টো, যেন পরস্পর দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় বিশ্বাসপ্রবণ মানুষগুলোর সাথে বিজ্ঞানের কোনও দ্বন্দ্ব নেই। বরং উভয়ের মাঝে দহরম-মহরম সম্পর্ক। গণহারে সবাই বিজ্ঞান পড়ছে, একজন অন্ধবিশ্বাসীও বিজ্ঞান পড়ছে, আস্তিক/নাস্তিক সেও বিজ্ঞান পড়ছে,…
বুদ্ধ ও বিজ্ঞানের মৌলিক স্মৃতি
এক মহাবিষ্ফোরণ – বিগব্যাঙ। সূর্য হতে অসংখ্য ছিটকে পড়া বিগলিত লাভা খণ্ড যার যার অবস্থানে স্থির হয়ে আছে মাধ্যাকর্ষণ-শুণ্য মহাবিশ্বব্রহ্মাণ্ডে। সহস্র আলোকবর্ষের পরিক্রমায় অগ্নিকুণ্ডগুলো ঠান্ডা হতে থাকে। তাদেরই এক খণ্ডানুর নাম – পৃথিবী। উত্তপ্ত এই অগ্নিকুণ্ড হতে অনবরত নির্গত হতে থাকা বাস্প মাহাশুণ্যের কোনে সৃষ্টি করছে মেঘ। ঝরে এসেছে মেঘ…
জন্মান্তর নাকি অনাত্মা?
উপনিষৎ এ আত্মার কথা বলা হয়েছে। যেমনঃ আত্মা মানুষের অন্তস্থলে রয়েছে। প্রতিটি জীবের নিজস্ব আত্মা রয়েছে। সেই আত্মা পর-ব্রহ্মেরই অংশবিশেষ বা পরমাত্মা। তাই আত্মাই ব্রহ্ম। আত্মার মৃত্যু নাই, ক্ষয় নাই, আত্মা নিত্য। আত্মা অশরীরী রূপে অনিত্যবস্তুর (দেহ) মধ্যে বর্তমান। আত্মাকে জামা কঠিন। এই শরীর রথ হলে আত্মা হলো রথচালক। আত্মা…
বুদ্ধ, বিজ্ঞান ও বর্তমান
দৃশ্য ও দৃষ্টিভঙ্গির সংজ্ঞা জগত জুড়ে নানা রূপে পাওয়া যায়। এটি আবার ব্যক্তির মনোজগতের স্বাধীনতাও বটে। প্রকৃত অর্থে নির্মোহ দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী একজন ব্যক্তি যে স্বচ্ছতায় তার দর্শনকে বর্ণনা করে মূলত ঐ ব্যক্তিকেই বলা যেতে পারে প্রজ্ঞাবান। এই মহা সৃষ্টিজগতের সমগ্র সৃষ্টি তথা জীবজগতের কার্যকারণ একজন প্রজ্ঞাবানের বক্তব্যে উৎকৃষ্ট স্বচ্ছ ও…
মার্ক্সের চোখে পুঁজিবাদ
কার্ল মার্ক্স যে পুঁজিবাদের ব্যাখ্যা করেছেন তাতে দেখা যায় রাষ্ট্র এবং ধর্মের যে রক্ষণশীল ব্যবহারিক চরিত্র, তার ভেতরে রয়েছে মানুষকে দাস বানিয়ে রেখে প্রভাবশালীদের উন্নতির এক নীলনকশা। যা মানুষকে অন্ধ করে রেখেছে ধর্মিয় অন্ধবিশ্বাস ও মানষিক দাসত্বের দ্বারা। মানুষের মনোজগতে প্রত্যেকটি ধর্মের ধারণা বংশপরম্পরায় ছোট থেকে প্রতিটি পরিবার তাদের মধ্যে…
♦ দোকান ♦
বাজার করছি বাজার চামড়া ফর্সা চাহিদা বেশি কালো মোটা অলক্ষণা, কোমড় ছোঁয়া রেশম চুল নারী তুমি সুলক্ষণা। পায়ের পাতা সাদা চিকন সন্ধ্যে হলে বাজে কাঁকন, অন্ধকারে সাদা-কালো সবই যেন সমান। আহা…. মানুষগুলো পণ্য যেন সাজাই রঙের মানব দোকান।
♦ আসুন না একটু নিজের আয়নায় নিজেকে একটু দেখি ♦
সবাই এখন Expert Opinion দিতে শুরু করে দিয়েছে। আমি জানি এসবও সাময়িক। আর মাত্র দিন সাতেক পরেই আমরা আবার সব ভুলে যাব। আমাদের বাঙলাদেশীদের মধ্যে ভুলে যাওয়ার মতো একটি ভালো রোগ আছে। কারণ যে প্রাণীর স্মরণ শক্তি যত কম সে প্রানী তত সুখী। ইতিহাসবিদগণ এই রোগের নাম দিয়েছেন “Willful cultural…
কু ঝিক ঝিক