Author: খোরশেদ আলম
মাদ্রাসা নয় চাই কর্মমুখী আধুনিক শিক্ষা
সরকারের সার্বিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা দেশের আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসাগুলোই ধর্মীয় উগ্রবাদী উৎপাদনের প্রধান কারখানা। মাদ্রাসাগুলোতে যে শিক্ষা পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়, তা শতভাগ বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও সংস্কৃতির বিপরীত। এই সকল মাদ্রাসায় কোন জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না। বিজয় ও স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলিতে হয় না। মাতৃভাষা দিবসের কথাতো…
তবুও মানুষ লিখে যায় মানুষ তৈরির তরে
লিখলে মানুষের মৃত্যু হয়, একথাটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আজ ভয়াবহ রকম সত্যে পরিণত হয়েছে। লেখার অবশ্য একটা ধরন আছে। রকম আছে। অনেকে আছেন সুবিধাবাদী গোছের, এদিকেও না ওদিওে না। যাদের ভিজেও পাঁচ সের, শুকনোও পাঁচ সের। এইসব কতিপয় সুবিধাবাদী-কপট-বেইমান লেখক যারা তারা সর্বকালেই প্রশংসিত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এইসব বসন্তের…
আলেম সমাজকে বাস্তব শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে
বাংলাদেশ সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চেলেঞ্জ হল মৌলবাদ ও জঙ্গি দমন। বাংলাদেশে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও ধর্মীয় গোড়ামীতে বিশ্বাসী লোকের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। তারাই মূলত জঙ্গিবাদ ধারণাকে জিহাদি ধারনা মনে করে এবং তা রীতিমত প্রকাশ্যেই জনমানসে প্রচার করে বেড়ায়। তাদের বিশ্বাস আইএস, বোকা হারাম এবং স্বদেশীয় হেফাজত-জামায়াতে ইসলামীর মত সংগঠনগুলো…
আলোকিত মানুষেরা যে জঙ্গিবাদী ও ধর্মান্ধদের চক্ষুশুল
আলোকিত, প্রজ্ঞাবান, সুশিক্ষিত এবং বিবেকবান মানুষেরা চিরদিনই ধর্মান্ধ ও জঙ্গিবাদীদের চক্ষুশুল ছিল। আলোকিত, প্রগতিশীল মানুষেরাই পারে সমাজকে, একটি দেশকে আলোকিত করতে। তারা পারে একটি জাতির বিবেককে জাগিয়ে তুলতে। আর ঠিক এখানেই জঙ্গিবাদীদের ভয়, ধর্মান্ধদের ভয়। আলোকিত মানুষদের কলমের কালি যে তাদের চাপাতি, রাম দা, ছুরির চেয়েও অনেক বেশী শক্তিশালী। জঙ্গিবাদী…
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিরোধী জামায়াতে ইসলামী
সশস্ত্র যুদ্ধ কখনোই, কোনভাবেই কোনো সভ্য সমাজের কাম্য হতে পারে না। অসভ্য আদিম পরিবেশে সশস্ত্র যুদ্ধের বিকল্প ছিল না। কিন্তু সভ্য সমাজে যুদ্ধ বিভিন্নভাবে হতে পারে কিন্তু কখনোই তা সশস্ত্র না। একাত্তরের কথা যদি বিবেচনা করা হয় তাহলে বলতে হবে একদল অসভ্য সেনাবাহিনী ও রাজনৈতিকদের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে…
বাংলার অদম্য নারী
বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামাল, সেতারা বেগম, প্রীতিলতা প্রমুখ মহীয়সী নারীরা যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ‘তেঁতুল হুজুর শফি’র নারীদের কেবল ক্লাস ফাইভ পাশ করার তত্ত্ব যে বাংলাদেশের নারীরা গ্রহণ করেনি। জঙ্গিবাদ-ধর্মান্ধ শক্তির উত্থানে সারাবিশ্ব যখন আতঙ্কিত, সেই সময়ে আমাদের মেয়েদের অর্জন নিঃসন্দেহে অন্যদের প্রগতিশীলতার পথ দেখাবে। দেশের…
‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম’ মূল সংবিধান পরিপন্থী
জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং নৈতিক কল্যাণ সাধন করাই গণতান্ত্রিক কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য। এ উদ্দেশ্যে, আমেরিকা, ব্রিটেন বা যুক্তরাজ্য, ভারত এবং আয়ারল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য কতকগুলো মৌলিক নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নীতিগুলো হচ্ছে রাষ্ট্র শাসনের মূলমন্ত্র। যেকোন সরকারের কর্তব্য হলো রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে…
অনুৎপাদনশীল মাদ্রাসা শিক্ষা
বর্তমান বাংলাদেশে স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন প্রকার কারিগরি বিদ্যালয়ের চেয়ে মাদ্রাসার সংখ্যা বেশী। এসব মাদ্রাসায় গঠনমূলক এবং যুগোপযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। এসব মাদ্রাসায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী শিক্ষা অর্জন করা স্বত্বেও তাদের শিক্ষাকে দেশের ও সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রয়োগ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল দেশ। বর্তমানে আমাদের…
ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ করা অতি জরুরী
১৯৭১ সালে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী ও তাদের সহযোগী রাজাকার’রা ইসলাম ধর্মের নামে বাংলাদেশের মানুষ হত্যা করেছিল। ইসলাম ধর্মের নামে তারা বাঙালিদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ করেছিল। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর এদেশীয় দালালরা মুক্তিকামী মানুষের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে অত্যাচার, নিপীড়ন, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, ধর্মান্তরসহ সকল প্রকার অপকর্ম চালিয়েছিল। কিন্তু অবশেষে সসস্র যুদ্ধে তারা পরাজিত…
হিযবুত তাহরীর
হিযবুত তাহরীরের বাংলা অর্থ ‘মুক্তির দল’। ইসলামি মতাদর্শভিত্তিক এই রাজনৈতিক দলটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বাংলাদেশে ২০০১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হিযবুতের কার্যক্রম শুরু হয়। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ সংগঠনটিকে জননিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ উল্লেখ করে ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ করে। বিশ্বের অন্য অনেক দেশেও নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছে…
কু ঝিক ঝিক