Author: নাহিদ ধ্রুব
কোথায় আমি বিশ্বাস রাখতে পারি?
ঈশ্বর কোথায় থাকে সেটা নিশ্চয়ই বিবেচ্য বিষয় নয় হোক সে কনা , বিপদসংকুল – বায়বীয় ভুল কিংবা শুন্য নমনীয়তা আমার তাতে কি? আমার চাই মানবিকতার ভাষ্য অর্থাৎ , কাতরতর বুকে জীবন্ত শরীরের উষ্ণতা পাক্ষিক লক্ষ্মীছাড়া কাঁটা ঈশ্বর তবে মানবিকতাই হোক উল্টোপুরান অভিযানে শাশ্বত নিখোঁজ আত্মা যেখানে আমি বিশ্বাস করতে পারি…
বদলে যায় কিছুটা বদলায়
মাঝেমাঝেই আমি , আমাকে কফিনে দেখতে পাই যেন এক্ষুনি আমাকে মাটি চাপা দেওয়া হবে চেতনার শেষ নির্যাসটুকু সুগভীরে করে আশ্রয়-সন্ধান শোকগুলো স্তন্যপান করে নির্নিমেষ শিশু হয়ে যায় বেদনার গাঢ় রসে ভেসে যায় মিথ্যে উপাখ্যান এভাবেই সময়ের সাথে বাজি ধরে আমি জুয়াড়ি কাল্পনিক অন্ধকার ঘোরে যৎসামান্য আলোর দিশারী এভাবেই সময় বদলে…
শহর তোকে ভোগ করবো বলে
শহর তোকে ভোগ করবো বলে এক ইঞ্চি জমিও রাখি নি অনাবাদী যেমন জন্মদাতা জনকের রক্ত ধর্ম এনে দিলো তেমন পৈত্রিক শিরস্ত্রাণ হয়তো এটা যুদ্ধের নাম; স্ফুরিত প্রেমের কাছে ভৃত্য হয়ে গেলাম শহর তোকে ভোগ করবো বলে উদ্বাস্তু ঘরেও করি করুনাসন্ধান। হঠাৎ নিস্তব্ধ পোষা পাখি শতাব্দীর পর শতাব্দী যে গায় নি…
আমি পাগল হয়ে যাওয়ার আগে
আমি পাগল হয়ে যাওয়ার আগে করুন ছায়ায় সমস্ত ভুবন দেখব অগ্রিম নিম্নচাপে দূরত্বের পরিধি ক্রমশ বেড়ে গেলে আকাশ দেখবো তোমার রক্ত – মাংসের শরীর ,স্পর্শহীন চুল সব ছেনেছেনে আমি নোংরা হবো তোমাকে ছুঁয়ে ফেলার দায়ে পাগল হবো , তোমার হৃদপিণ্ড ছোঁব। আমি পাগল হয়ে যাওয়ার আগে আমার রন্ধ্র-রক্ত দুষিত হবে…
আমাদের লাইনে মানুষগুলো
আমাদের লাইনে মানুষ গুলো চেটেপুটে খায় শহর যেখানে ভদকা খেলেও নেশা হয় না – ঠোঁটে মুখে কেবল তৃষ্ণা তৃষ্ণা তৃষ্ণা এমন ভোগে যাওয়া ক্ষতচিহ্নে লবন ছিটালে পাওয়া যায় অর্ধনমিত পতাকা গুচ্ছ গুচ্ছ ভালবাসা কে মাটি চাপা দিলে সৎকার হয় না এমন প্রনয়ের মুখে শানবাঁধানো আত্মাকে আগুনের দোরগোড়ায় পাঠিয়ে দিলাম পুড়ে…
কু ঝিক ঝিক