Author: মিরাজ উল কবির
“সারা নামের মেয়েটি” (পর্ব-২)
আমার সামনে যিনি বসে আছেন তার নাম আব্দুল জব্বার। জব্বার সাহেব বাহাদুর শাহ কলেজের গণিতের প্রভাষক। আর দশটা গণিতের স্যারের মতো তিনি রাগী কিংবা গম্ভীর প্রকৃতির নন। বেশ হাসিখুশি এবং রসিক প্রকৃতির মানুষ। তবে এ মুহূর্তে তিনি বেশ গম্ভীর হয়ে পত্রিকা পড়ছেন। তার বসার চেয়ারের পাশেই একটা ছোট্ট টুলের ওপর…
“সারা নামের মেয়েটি” (পর্ব-১)
বালিকা রোজ বিকেলে রিকসা করে বাড়ি ফেরে। বালিকার নাম সারা। আমি রোজ তার অপেক্ষায় রাস্তার মোড়ের যে জায়গাটায় সুগন্ধমুক্ত ডাস্টবিন দাঁড়িয়ে থাকে, তার ঠিক ১০ হাত ২ আঙুল দূরে দাঁড়িয়ে থাকি। সারা’র রিকসা আমার সামন দিয়ে চলে যায়। আমি ঠিক “অষ্টম আশ্চর্য দেখতাছি” টাইপ ভঙ্গী নিয়ে সারা’র দিকে তাকিয়ে থাকি।…
“ভালোবাসা-ভালোবাসা”
অর্পা চশমাওয়ালা ছেলে একদম পছন্দ করে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে তার কপালে একটা চশমাওয়ালা ছেলেই জুটেছে। অত্যন্ত সুদর্শন এবং অতি উচ্চ লেভেলের ভদ্র ছেলে। চশমা পড়লে তাকে আরো সুন্দর লাগে। কিন্তু অর্পার একেবারে ভিন্ন মত। সে অয়নকে বলে,”চশমা পড়লে তোমাকে বাঁদর ছাড়া আর অন্যকিছু বলে মনে হয় না।” অয়ন তখন নরমস্বরে…
“চানাচুর বৃত্তান্ত”
আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে। শুধু পড়ছে না, গলগল করে পড়ছে। চোখ দিয়ে পানি পড়ার কারণ দুঃখ না, রাগও না। কারণ হলো- ঝাল। আমার সামনে বাটিভরতি চানাচুর। পরীক্ষা উপলক্ষে আব্বু নিজে দায়িত্ব করে কিনে এসেছেন। তিনি চানাচুরগুলোর নাম দিয়েছেন “স্পেশাল চানাচুর”। ঘুম-নিরোধক হিসেবে এই চানাচুরের জুড়ি নেই। এটাই নাকি স্পেশাল…
“ভালোবাসার রংধনু”
শরতের এক মিষ্টি বিকেল। কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে নরম সবুজ ঘাসের গালিচা পাতানো। সামনে কাশবন। আর কাশবন পেরিয়েই নদী। নদীর নাম রুপসা। নদীর তীরে একটা নৌকা বাঁধা। আমি নৌকায় বসে বাদামের খোসা ছাড়াচ্ছি । আর আমার খোসা ছাড়ানো বাদাম বসে বসে চিবুচ্ছে মায়া নামের একটি মেয়ে। মায়া দেখতে ভীষণ রুপবতী। সৃষ্টিকর্তা…
“স্বপ্ন ভঙ্গ এবং আমার স্বস্তি”
বালিকা রুক্ষ কণ্ঠে বলল, এটাই আমাদের শেষ দেখা। আমি আহত দৃষ্টিতে বালিকার দিকে তাকালাম। বালিকার মায়াবী চোখে-মুখে এক ধরণের নিষ্ঠুরতার ছাপ দেখা যাচ্ছে। আমি কিছু বলার আগেই বালিকা উঠে দাঁড়ালো। আমি বালিকাকে ডাকলাম। কিন্তু বালিকা শুনতে পেলো না। হনহন করে সামন থেকে চলে গেলো। বালিকাকে এখন দেখা যাচ্ছে না। আমি…
কু ঝিক ঝিক