Author: শঙ্কর দেবনাথ
ভাষাদিবসের অণুভাষ্য
এক :::::::: ভালবাসা ভাসা ভাসা হলে ভিনদেশি শিকারী ঈগল দীঘল ডানায় ভাসে জাতিয় আকাশে আর ফ্যাকাশে ইঁদুর ছানা মরে ভয়ে ভয়ে- বর্ণমালার ঘরে- অজগর তেড়ে আসে অ-এ ********* দুই —- প্রেম আজ- বন্দি ফ্রেমে নদীবুক – ভর্তি পানায় মা, তোমার – অ আ ক খ-র ঘরে দেয়- বর্গী হানা *********…
অনুভবরাজি
এক/ —– তোমার শিরায় হাঁটে নিকোটিন ধারা- কোথায় ঘুমোবো আমি? বিছানা সাহারা! দুই/ —– পাবক দ্রাবক হলে জীবন দ্রবণ – আমার অন্ধতাটুকু গন্ধপ্রবণ। তিন/ —– মা’র শাড়ি পুড়ে পুড়ে হয়ে যায় ছাই- চারদিকে এত দাদা- কাকে ডাকি ভাই? চার/ —– নদী ছোটে ” যদি’ ‘ সুখে গড়ে রেখে চর- ঘর…
টাটকা ছড়া
ভীষণ রেগে বললে দাদা- আস্ত গাধা তুই, এক অংক এত করেও বুঝলি নে কিচ্ছুই। ব্যাঁ ব্যাঁ করে- খানিক জোরে বলল শেষে রাধা- গাধারা কি অংক বোঝে? আমার সোনা দাদা!
ফেসবুক
ফেস আছে বেশ বুকের থেকেই লক্ষ্য যোজন দূরে, টুকটুকে মুখ ধুকপুকে সুখ মরছে শুধু ঘুরে।
বন্দি শিশুর মনটি
সাগর ডাকে ডাগর চোখে জল থৈ থৈ ভাষায়, স্বপ্ন ডিঙায় ভাসিয়ে নিতে হাসিয়ে অথৈ আশায়। আকাশ ডাকে মেঘের ফাঁকে নীলের ঝিলে আয়, তারায় তারায় আয় না হারাই আলোর অসীমায়।
আগুন
জ্বলছে আগুন মনে বনে টলছে প্রাণীকুল, কীসের পাপে সৌরতাপে ফোটায় বিষের হুল। ভোরেই জেগে গিন্নি রেগে আগুন হয়ে ওঠেন, সেই আগুনেই কিচেনরুমে চায়ের জলটা ফোটে।
ছড়া
১) দাদু-দিদুন টাক ডুমা ডুম টাক দাদুর মাথায় টাক, টাকের উপর চক দিয়ে রোজ দিদুন কষেন আঁক। টাক ডুমা ডুম টাক।। তাক ধিনা ধিন তাক দিদুন ডাকেন নাক, নাকের উপর বাজান দাদু তাক ধিনা ধিন তাক। তাক ধিনা ধিন তাক।।
বোধের ভেতরে রোদেলা শব্দরা
এক/ বলাই যায় না শুধু দলা দলা কষ্টরা দীর্ঘ শ্বাস বেয়ে নেমে আসে ঘেমে যায় ঘর দোর মন তবু চোর চোর খেলি রোজ খোঁজ করি একটা ভোরের জীবনটা প্রেমের – ঘোরের
বন্ধু হবে? এসো! / শঙ্কর দেবনাথ
তোমার বাড়ি আকাশ পাড়ি স্বর্গের রঙ মাখা, আমার বাড়ির নষ্ট দু’চাল কষ্ট দিয়ে ঢাকা। তোমার পথে আলোর ঝালর ফুলের হাসাহাসি, আমার পথে অমার প্রেতে জমায় নাচানাচি।
ছড়াঃ বাঁদর / শঙ্কর দেবনাথ
বাঁদর বলে আদর করে বিল্লু মা ডেকে, বলেন- এবার ইস্কুলে যাও, বাঁদরামিটা রেখে। তোমার মাথায় দেখছি আমি একটুও নেই ঘিলু, বাঁদররা কি ইস্কুলে যায়? বলেই পালায় বিলু।
কু ঝিক ঝিক