Author: হাসিব উল ইসলাম
নামহীন কথারা
১.আমি তোমার জন্য ফুটেছি, কুসুম ২. কিছু কিছু ভালো লাগা কান্নার রঙে ছুঁয়ে যায়, তাই আমার নাগরিক মুখোশ খুলে রেখেছি তোমার পা’য়… ৩. বুকের ভেতর হাঁটছে নরম নিরবতা চোখেরা রোজ পুড়ছে, করছে স্নান…. বুকে বুক রাখো ঢিপঢিপ শুনি পরাণের গান ৪.তুমি এক মুঠো ছাই আকাশে ছুড়ে দিলে আর ওমনি ওরা…
বিছিন্নতা
গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে পড়েছি ছোটবেলায়। এমন অনেক সহপাঠী আছে যাদের সাথে কোনদিন ভাব জমেনি, এমনকি কোনদিন কথাও হয়নি তাদেরকে কেন জানি মনে পড়ছে আজ। নির্বিকার দেখে গেছি ওদের ক্লাসে, খেলার মাঠে, রাস্তায়। ওদের ছোটবেলার সেই মুখগুলো মনে পড়ে। কারো মার্বেল ভরা পকেট, লাটিম ধরা হাত অথবা স্কুল মাঠে ফুটবল খেলার…
কাহলিল জিবরান থেকে ০১ঃ প্রেমের গান
একবার এক কবি মনোহর একটা প্রেমের গান লিখলো। অনেকগুলো কপি করলো সে গানটার; তারপর তার বন্ধু বান্ধবী, পরিচিত সব নারী পুরুষের কাছে পাঠিয়ে দিল; এমনকি দূর পাহাড়ের পিছনে যে উর্বশী রমনী বাস করতো – যার সাথে কবির কেবল একবারই দেখা হয়েছিল – তার কাছেও পাঠালো। তারপর একদিন সেই সুন্দরী যুবতীর…
দেবী, তোমাকে
দেবী, তুমি প্রসন্ন হও যদি আলো ভালো লাগে জোনাকির তুমি ছুয়ে যাও আমার হৃদয় যেমন ঘাস ছুয়ে যায় ভোরের শিশির দেবী, শুধু একবার হাসো। দেখো পারিজাত কেঁদে কেঁদে পড়ে আছে বৃক্ষের পায় .. নামলে আধাঁর তুমি দেখো আমার অর্ঘ্য পৃথিবীর সমস্ত জোনাকি হয়ে অন্ধকারে অবিরাম জ্বলে -নেভে, উড়ে চলে যায়…
নামহীন কথারা
আকাশ কত্তো বড় আর টুকরো টুকরো মেঘেরা কত্তো স্বাধীন আমি যতবার ভালোবেসেছি সত্যি সত্যি আকাশের মতোন বিশাল ভালোবেসেছি আমি যতবার কেঁদেছি সত্যি সত্যি মেঘের মতোন স্বাধীন কেঁদেছি নরম বৃষ্টি হয়ে … আমার আনন্দেরা সব্বাইকে ছুঁয়ে গেছে শীতের সকালে রোদের আদরের মতোন। আমার কান্নারা শুধু ঈশ্বরের মতোন একা একা হুমড়ি খেয়ে…
প্রতীক্ষা
আমি একলা একা এক ভূমিহীন কৃষক, আমি তৃষিত চোখে আবাদের স্বপ্ন দেখি…. কোন কৃষাণী তার আদিম প্রেমমাখা হাত আমার হাতে রেখে আজও বলেনি : জমি নেই তো কি হয়েছে? আমি তো আছি। আর আছে সমস্ত আকাশ। আমরা হাতে রেখে হাত সমস্ত পৃথিবী -স্বর্গ – আকাশ চষে বেড়াবো। আমি সেই কৃষাণীর…
রাতলিপি ০২
আমার ঘুম আজকাল রাতের রাস্তায় হাঁটতে যায়। আর আমি সারারাত একলা ঘরে জেগে থাকি। এটা ওটা করি। নতুন বইগুলোর পাতা ওল্টায়। নাক ডুবিয়ে কাগজ আর কালির গন্ধ নিই। একেকটা বইয়ের গন্ধ একেকরকম। যে বইটার গন্ধ ভালো লাগে সেইটা থেকে দু এক পাতা পড়ে দেখি। মাঝরাতে অবাক করে বড় বড় ফোঁটায়…
রাতলিপি ০১
নির্বাণ লাভের পর মহামতি গৌতম বুদ্ধের কখনও মন খারাপ হয়েছিল কি না জানিনা। তবে হঠাৎ হঠাৎ মাঝ রাতে আমার ভীষণ মন খারাপ হয়। তখন ছোট্টবেলার সন্ধ্যাগুলো— ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে হাঁটা সন্ধ্যাবেলার গল্পগুলোকে দূর থেকে দেখি। কখনো কখনো ঈশ্বরের মতোন একলা কোন ক্লান্ত দিনমজুরের সন্ধ্যার পৃথিবীতে কুয়াশার মতোন বিষন্নতা নামে।…
চশমা : একটি (অতি) সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
চশমা। চশমা কি আরেকটা চোখ? শব্দের উৎপত্তির দিকে চোখ রাখলে দেখা যায় বাংলা ‘চশমা ‘ শব্দটা এসেছে ফারসি ‘চশমাহ’ থেকে, যার অর্থ ‘চোখ ‘। বাংলা ভাষায় চশমা বলতে সাধারণত নাক ও কানের ওপর দন্ডায়মান দৃষ্টিসহায়ক যন্ত্রকে বুঝি যাতে দৃষ্টিশক্তির সাহায্যকারী কাচ সংযুক্ত থাকে। অতএব চশমাকে ‘উপনেত্র’ বলে বিলকুল চালিয়ে দেওয়া…
এমিলি ডিকিনসনের কবিতা : আমি কেউ না
আমি কেউ না! তুই কিডা? তুইও কি — আমার মতো—কেউ না? আয়, তাইলে আমরা দোস্ত! কাউকে বলিস না! ওরা বদ—তুই জানিস- সব্বাইকে বলে বেড়াবে। ‘কেউ ‘ একটা হতে কত্ত সাহস লাগে! মানুষ কেম্নে পারে— ব্যাঙের মতোন- সারাজীবন ধরে— আরেকজনের নাম ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ করতে— একটা প্রশংসা করা ডোবার কাছে!
কু ঝিক ঝিক