ভালো লাগে তাই বিভিন্ন Social Activity-তে অংশ নেই। কিন্তু কেন এই ভালো লাগা? অন্যজনের উপকার হচ্ছে বলে নাকি নিজের মধ্যে অচেনা রূপের আবিস্কারের বিনোদন? সমাজসেবাকে বিনোদন হিসেবে দেখলে সেলফি কিংবা টিশার্টের মধ্যেই দুর্ভাগা মানুষগুলোর উপহাস করা হয়ে যায়। মিশ্র অনুভূতির ক্ষণিকের সমাজ সেবকের সময়টা আমি এখন পাড় করছি। জীবনের এই উঠতি ধাপে অনুভূতিশীল মন যুক্তিবাদী ব্রেইনের চেয়েও প্রভাবশালী। জানি বয়সের সাথে সাথে আমারও মন দুর্বল হয়ে যাবে ব্রেইনের লজিকের কাছে আর হার মেনে জড়িয়ে পড়ে চিরস্থায়ী পারিবারিক সম্পর্কে কিংবা ক্যারিয়ারের প্রতিযোগিতায়।
ভালো লাগে তাই বিভিন্ন Social Activity-তে অংশ নেই। কিন্তু কেন এই ভালো লাগা? অন্যজনের উপকার হচ্ছে বলে নাকি নিজের মধ্যে অচেনা রূপের আবিস্কারের বিনোদন? সমাজসেবাকে বিনোদন হিসেবে দেখলে সেলফি কিংবা টিশার্টের মধ্যেই দুর্ভাগা মানুষগুলোর উপহাস করা হয়ে যায়। মিশ্র অনুভূতির ক্ষণিকের সমাজ সেবকের সময়টা আমি এখন পাড় করছি। জীবনের এই উঠতি ধাপে অনুভূতিশীল মন যুক্তিবাদী ব্রেইনের চেয়েও প্রভাবশালী। জানি বয়সের সাথে সাথে আমারও মন দুর্বল হয়ে যাবে ব্রেইনের লজিকের কাছে আর হার মেনে জড়িয়ে পড়ে চিরস্থায়ী পারিবারিক সম্পর্কে কিংবা ক্যারিয়ারের প্রতিযোগিতায়।
এখন প্রতিদিন “বিদ্যানন্দ” (http://www.facebook.com/Bidyanondo) নামক এক স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে সময় দেই কারন এখানে আমি বাস্তবতা বর্জিত কিছু দুর্বল মস্থিস্কের সন্ধান পেয়েছি। সমাজসেবার তকমা না মেখেই জনৈক জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে তিনটি লাইব্রেরী আর ফ্রি কোচিং সেন্টার দাঁর করিয়েছেন। তিন শতাধিক ছাত্রকে ফ্রি পড়ানোর সাথে সাথে দেন বইয়ের খরচ কিংবা কাউকে যাতায়াতের ভাড়া। সাত সহস্রাধিক বইয়ের বিদ্যানন্দের বিশাল তিনটি লাইব্রেরী ব্যবহারে লাগে না কোন মেম্বারসিপ। বিশাল ভাড়া অফিসে বেতনভুক্ত চাকুরীজীবী দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয় এই সেবা। একজন মানুষ দিয়ে প্রতিষ্ঠান দাঁড়ায় না, এর জন্য লাগে সমষ্টিগত আত্মত্যাগ। বিদ্যানন্দ সেইসব মানুষকে একসাথে জড়ো করতে পেরেছে। মিডিয়ার আলো ছাড়া নিজেদের অর্থ দিয়ে এই তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা এখানে আসে ফ্রি ক্লাস নিতে, কিংবা লাইব্রেরিয়ান কিংবা ছাত্র উপদেষ্টা হতে।
পাগলের প্রলাপ ধরে নিয়ে আমিও প্রথমে বিশ্বাস করি নি। তাই কৌতূহলী মনের ক্ষুদা মিটাতে একদিন হাজির হই তাঁদের ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ ব্রাঞ্চে। ঘুরে এসে বিদ্যানন্দের প্রতি শ্রদ্ধার চেয়ে বেশি অনুভূত হয়েছে নিজের অক্ষমতার। শিক্ষা জীবনের পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু সেই শিক্ষার দৌড় মধ্যবিত্ত ঘর পর্যন্ত। কাউকে কয়েক বছর ধরে পড়ালেই শিক্ষিত হয়ে যায় না। শিশু শ্রমের লোভনীয় প্রস্তাবের কাছে এই শিক্ষাব্যবস্থা অনেক দুর্বল। অভিভাবকরা বিশ্বাস করেন না এই শিক্ষা দিয়ে তাঁদের ঘর আলোকিত করবে, ঠিকই পৈতৃক পেশায় ফিরতে হবে তাঁর আদরের সন্তানকে। তবে দেরী কেন, শিক্ষার নামে সময়ের অপচয় করার মানে হয় না?
কিছুদিন আগে বিদ্যানন্দের ছাত্ররা “আমার জীবনের লক্ষ্য” রচনা লিখছিল। কেউবা ডাক্তার, কেউবা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে নাকি দেশের সেবা করবে!! এঁদের নিষ্পাপ মন তখনো জানে না দারিদ্রতার পাপে তাঁদের দেখা স্বপ্ন থেকে অনেক দূরেই তাঁদের গন্তব্য, হয়ত কৃষক কিংবা শ্রমিক হিসেবে ইতি ঘতবে এই স্বপ্নের।
বাস্তবতাকে চ্যালেঞ্জ করাটা বোকামি, অবধারিত ধরে নিলে জীবন অনেক সহজ হয়। কিন্তু সময়ের স্রোতের বিরুদ্ধে চলতে চাই এই বিদ্যানন্দ। আমরা চাইলে এই উদ্যোগকে হয়ত আরও জীবন দান করতে পারি বাস্তবতার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে। সাদামাটা এই প্রতিষ্ঠানে এসে ঘুরে যাবেন এই প্রত্যাশায়।
একটা ভাল কাজে সময় দিচ্ছেন।
একটা ভাল কাজে সময় দিচ্ছেন। আপনাদের এই কাজটির সাথে জড়িত সকলকে স্যালুট।
নিঃস্বার্থ মানবকল্যাণ বিষয়টা
নিঃস্বার্থ মানবকল্যাণ বিষয়টা রূপকথার মতো শোনায়। আপনাদের মতো উদ্যমী সেবাদানকারীদের কারনে এখনো মানবসভ্যতা টিকে আছে। আপনাদের সবার প্রতি আন্তরিক শুভ কামনা।
:bow: :bow: :bow: :bow:
আমার কোন উচ্চ শিক্ষা নাই। আর
আমার কোন উচ্চ শিক্ষা নাই। আর কখনো কাউকে পড়ায় নি। তাই হয়তো আপনাদের স্কুলে শিক্ষাকতা করা হবে না। তবে লাইব্রেরিয়ান হিসেবে কিছু সময় কাটানোর ইচ্ছা আছে। এছাড়া ভবিষ্যতে অন্যভাবে আপনাদের সাথে সংযুক্ত হওয়ার ইচ্ছা আছে।