১.
এখন শিকারের সময়,
হায়নারা শিকারে বেড়িয়েছে।
মাথার ওপর নীল আকাশে
চক্কর কাটছে শকুন।
শিকারির তীক্ষ্ণ নখ
সূর্যের আলোয়
ঝলকিয়ে উঠছে।
দাঁত-জিহ্বা দিয়ে টপটপ করে ঝরছে লালা।
জ্বলজ্বল করতে থাকা
চোখ গুলো কিছু একটা চায়,
প্রাণপণে চায়।
রক্ত, রক্ত, রক্ত।
২.
শিকারগুলো সংঘবদ্ধভাবে
জটলা পাকিয়ে দাড়িয়ে ছিল
খোলা মাঠে।
টানাটানা মায়াবী চোখে
তাকিয়ে ছিল যতদূর-
চোখ যায়।
তারা গিয়েছিল বনরাজ
মহারাজ সিংহের কাছে।
মা হত্যার বিচার চায়।
সেই শকুন-হায়নার বিচার চায়।
মাস পেরিয়ে গেল…
এরপর কত নির্ঘুম রাত, কত দুঃসহ দিন!
তপ্ত সূর্যের নিচে দাড়িয়ে থাকা,
১.
এখন শিকারের সময়,
হায়নারা শিকারে বেড়িয়েছে।
মাথার ওপর নীল আকাশে
চক্কর কাটছে শকুন।
শিকারির তীক্ষ্ণ নখ
সূর্যের আলোয়
ঝলকিয়ে উঠছে।
দাঁত-জিহ্বা দিয়ে টপটপ করে ঝরছে লালা।
জ্বলজ্বল করতে থাকা
চোখ গুলো কিছু একটা চায়,
প্রাণপণে চায়।
রক্ত, রক্ত, রক্ত।
২.
শিকারগুলো সংঘবদ্ধভাবে
জটলা পাকিয়ে দাড়িয়ে ছিল
খোলা মাঠে।
টানাটানা মায়াবী চোখে
তাকিয়ে ছিল যতদূর-
চোখ যায়।
তারা গিয়েছিল বনরাজ
মহারাজ সিংহের কাছে।
মা হত্যার বিচার চায়।
সেই শকুন-হায়নার বিচার চায়।
মাস পেরিয়ে গেল…
এরপর কত নির্ঘুম রাত, কত দুঃসহ দিন!
তপ্ত সূর্যের নিচে দাড়িয়ে থাকা,
রাতের কনকনে ঠাণ্ডায় হাঁটুর হাড়ের ঠকঠক শব্দ;
তবুও তারা পিছু হটেনি।
নিজেদের শরীর থেকে নিজেরা
আরামদায়ক উষ্ণতা নিয়েছে।
গাছের ছায়ায় দাড়িয়ে
জিরিয়ে নিয়েছে দুদণ্ড।
দাবি তুলেছিল তারা,
ন্যায্য দাবি।
৩.
এরপর কত ঘটনা
ঘটে গেল পরপর।
শিকারির হাতে মরতে থাকলো
কত কত তাজা প্রাণ,
নিজেদের উদরপূর্তি করে
নগ্ন নৃত্য করতে থাকলো হায়নারা-শকুনেরা।
এমন কি মহারাজ সিংহও
নিজের পেট ভরাতে থাকলো
নিষ্পাপ লাশগুলো দিয়ে।
একদিন ইতিহাস রচিত হবে।
না, কেউ জানেনা কে আবার
নতুন করে রচনা করবে
বাংলাদেশের ইতিহাস।
উত্তাল মাঠে রণহুংকার দিচ্ছে
হায়না-শকুন-সিংহ;
হয়তো আবার ধর্মের দোহাই দিয়ে,
মিথ্যা ইতিহাসের দোহাই দিয়ে
হত্যাযজ্ঞ চালানোর আকাঙ্ক্ষায়।
আর রণহুংকার দিচ্ছে
বাংলার তাবৎ মজলুম শিকার;
এই নষ্ট-দুর্গন্ধময় শিকারিদের
উৎখাত করার আকাঙ্ক্ষায়,
নিজেদের শাসন কায়েম করার আকাঙ্ক্ষায়।
৪.
আর ওদিকে
সবার ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে দাড়িয়ে
‘সময়’ বিজ্ঞের হাসি হাসে।
সে সব জানে।
সময় মতো সব বলে দেবে সে।
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ