একটা সময় ছিল, যখন মানুষ খবরের কাগজ পড়তে চাইত না ! পত্রিকাতে কেবল নেতিবাচক খবর পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়েই পাবলিক এ কাজ টা করত ! তবে গত বছর দশেকের মধ্যে বহু কিছু পাল্টাইছে, অনেক অনেক ইতিবাচক কিছু কাজ হইছে, যা হয়ত ১০ বছর আগে আমরা কল্পনাই করি নাই কখনো !! বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মনোজগত এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে, গণিত অলিম্পিয়াড কিংবা আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতায় আমরা এখন নিয়মিত পুরস্কার জিতি !
একটা সময় ছিল, যখন মানুষ খবরের কাগজ পড়তে চাইত না ! পত্রিকাতে কেবল নেতিবাচক খবর পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়েই পাবলিক এ কাজ টা করত ! তবে গত বছর দশেকের মধ্যে বহু কিছু পাল্টাইছে, অনেক অনেক ইতিবাচক কিছু কাজ হইছে, যা হয়ত ১০ বছর আগে আমরা কল্পনাই করি নাই কখনো !! বিশেষ করে শিশু কিশোরদের মনোজগত এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে, গণিত অলিম্পিয়াড কিংবা আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং প্রতিযোগীতায় আমরা এখন নিয়মিত পুরস্কার জিতি !
বছর দেড়েক আগে ১০ বছর বয়সী বাংলাদেশী বিস্ময় বালক ফাহিম আলম ফ্রান্সের পার্লামেণ্টেও তোলপাড় ফেলে দেয় ! কারণ ফ্রান্সের অনুর্ধ ১২ জাতীয় দাবা প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতছিল এবং তার বয়স তখন ১০ ! কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সে আর তার বাবা ছিল অবৈধ অভিবাসী ! তার ওপর তাদের ওপর ২০১০ সালের মধ্যে ফ্রান্স ত্যাগের ফরমান জারি করা ছিল ! তাকে তখন আশ্রয় দেয় অভিবাসীদেল সাহায্যকারী একটা মানবাধিকার সংগঠন ।
তার কোন কোচ ছিল না, ধুসসস আবার কোচ ! থাকার জায়গাই ছিল না ! তাই পার্লামেণ্টে তাকে আর তার পিতাকে নাগরিকত্ব দেয়ার জন্য বিল পাশ হয় । ফ্রান্সের পার্লামেন্টে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই ব্যাপার টা তদারক করেন ! ফাহিম আর তার পরিবারের জন্য সরকারী ফ্ল্যাট সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধার বন্দোবস্ত ও করা হয় !
আর তার পিতাকে দেওয়া হয় – পুত্র কে ‘দেখাশোনা’র চাকরী !!!
কিংবা আরেক বাংলাদেশী বিস্ময় বালিকা সারিনা’র প্রসঙ্গ ও টানা যেতে পারে –
সারিনা হোসেন লেখালেখি করে একদম ছোট্টবেলা থেকে। পাঁচ বছর বয়সে যখন লিখে ফেলল, ‘দ্য গার্ল হু ওয়ান্টেড টু গো সি জি এস স্কুল’, দেখে তো তার মা-বাবার আক্কেলগুড়ুম! বাবা সাইফুল হোসেন বলছিলেন, ‘ও এমন সব শব্দ লেখে, মাঝেমধ্যে আমিও বুঝি না। স্কুলের শিক্ষকরাও দেখে অবাক!’ গুলশানের চিটাগং গ্রামার স্কুলে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে সে।
সারিনা যখন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে, তখনই ঘটেছিল মজার ঘটনা। ‘ক্যাসেল অব ডুম’ নামে একটা গল্প লিখেছিল সে। সারিনার বাবা গল্পটা ই-মেইল করেছিলেন লন্ডনের অলিম্পিয়া পাবলিশার্সের কাছে। গল্প পড়ে প্রথমে তাদের বিশ্বাসই হয়নি, একটা ছোট মেয়ে এমন গল্প লিখতে পারে। প্রায় দুই বছর ধরে চলেছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। তারপর নিশ্চিত হয়ে চুক্তিপত্রে সই করে অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছর বাংলাদেশের ছোট্ট সারিনা’র বই বেরিয়েছে লন্ডনে’র অলিম্পিয়া প্রকাশনা সংস্থা থেকে। ফলাফল ? বেস্ট সেলার !!
শুধু তা-ই নয়, সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই ক্যাসেল অব ডুম-এর সিক্যুয়েল বের হবে একই প্রকাশনা সংস্থা থেকে!!
ছয় বছর বয়সী এক বাংলাদেশী বিস্ময় বালক ওয়াসিক ফারহান রূপকথা ! এই বিশ্বরেকর্ড ধারী বিস্ময়কর প্রতিভার কথা উল্লেখ না করলেই নয় ! এই বয়সেই বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামারের পদবীটি দখল করে রূপকথ গিনেজ বুকে নিজের নাম উঠিয়ে বিশ্বে্র বুকে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। শিরোনাম হয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।
দি নিউইয়র্ক হেরাল্ড ট্রিবিউন, ক্যালিফোর্নিয়া অবজারভার সহ অনেক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট তাকে বিশ্বে সর্বকনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসাবে অভিহিত করেছে।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক বিশ্বনন্দিত টিভি অনুষ্ঠান ‘রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট’ তাদের নতুন সংস্করনে রূপকথার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে!
এমন ইতিবাচক ঘটনা প্রায়ই ঘটে এখন । আজ বাংলানিউজে এমন আরেক টা পিলে চমকে দেয়া ইতিবাচক খবর দেখলাম –
গুগল আয়োজিত ছবি আকা প্রতিযোগীতায়, সেরা ছবির পুরস্কার জেতা বাংলাদেশি ১১ বছরের খুদে অদ্রি পড়ছে কেবল ক্লাস ফাইভে।
প্রায় লক্ষাধিক প্রতিযোগীকে হারিয়ে ২০১৪ সালের ‘ডুডল ফর গুগল’ জয় করা অদ্রি বছর খানেক আগে মা-বাবার সঙ্গে পাড়ি জমায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের লেভিট্যন শহরে।
তার আকা ‘ব্যাক টু দ্য মাদার নেচার’ ছবিটিতে বোঝানো হয়েছে, চিরচেনা বাংলাদেশে প্রাকৃতিক সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়েই বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব।
ছোট্ট স্বপ্নের বাস্তবায়ন কাগজে ঘটালেও গত ফেব্রুয়ারিতে গুগল এ প্রতিযোগিতার আহ্বান করলে অদ্রি তার বড় স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুযোগ পেয়ে যায়।
কীভাবে প্রাকৃতিক সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা যায় সে প্রকল্পের কাগুজে মডেল এঁকে ফেলে সে। তার জমা দেওয়া ছবিটি মুগ্ধ করে প্রতিযোগিতার বিচারকদের। তারপরের গল্পতো সবারই জানা।
জানা যায়, অদ্রি এ পুরস্কারের প্রাপ্য এক লাখ ডলার থেকে ৫০ হাজার ডলার খরচ করতে পারবে তথ্য-প্রযুক্তিগত কোনো কিছু কেনাকাটা করতে, ৩০ হাজার ডলার বরাদ্দ থাকবে তার উচ্চশিক্ষার জন্য। এছাড়া, বাকি ২০ হাজার ডলার তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে পাঠানো হবে মাতৃভূমি বাংলাদেশে !
সোমবার পৃথিবীর যে প্রান্ত থেকেই গুগলে লগ ইন করা হোক, চিরায়ত গুগল ডুডলের বদলে দেখা যাবে ছবিটি।
শিশুদের কে যে কেবল আদর বা শাসন করতে হবে , তা নয়, তাদের কে শ্রদ্ধা করা ও যেতে পারে – এ অদম্য শিশুরা প্রমান করলো, এই ‘শ্রদ্ধা’ তাদের অবশ্যই প্রাপ্য !
ভাল লাগলো
ভাল লাগলো
ধন্যবাদ ভাই
ধন্যবাদ ভাই :ধইন্যাপাতা: 🙂
বেশ……….!..
বেশ……….!..
ধন্যবাদ ভাই
:গোলাপ: ধন্যবাদ ভাই
কি কব ভাই গ নিত উতসব আর অমুক
কি কব ভাই গ নিত উতসব আর অমুক ত মুক জায় কন 🙂
এই গুলির মাধ্যমে গ্রামের বালক. বালিকারা উঠে আসছেনা . আর জারা সুজুকি পাচ্ছে
তারা আস লেই কি মেধাবী?
যারা সুযোগ পাচ্ছে তারা যদি
যারা সুযোগ পাচ্ছে তারা যদি মেধাবীই না হয়, তাইলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগীতায় তারা বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের প্রতিযোগীদের হারিয়ে পদক জেতে কিভাবে !!?
এই দেশ এগিয়ে যাবে তার তরুণ
এই দেশ এগিয়ে যাবে তার তরুণ নাগরিকদের হাত ধরে। হইত বা দুই একটা খারাপ মানুষ এই দেশকে নষ্ট করতে চাইবে কিন্তু পারবে না।
পুর্ণ সহমত, সেটাই একমাত্র
পুর্ণ সহমত, সেটাই একমাত্র প্রার্থনা ভাই । ধন্যবাদ
পিচ্চিদের স্বপ্ন দেখার পথটা
পিচ্চিদের স্বপ্ন দেখার পথটা উন্মুক্ত রাখতে পারলে এরাই আমাদের পথ প্রদর্শক হবে একদিন।
হুমম , তরুন রাই আসলে আলোর
হুমম , তরুন রাই আসলে আলোর দিশারি । কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের বেশিরভাগ তরুন রা এখন এসবের চেয়ে সন্ত্রাস চাদাবাজি বা ইয়াবার পেছনে ঘুরতে ঘুরতেই ক্লান্ত ! সুতরাং এ শিশু দের ওপর ভরসা রাখা ছাড়া আর উপায় ও নাই অবশ্য
Audrey Zhang নামের কোনো
Audrey Zhang নামের কোনো বাংলাদেশী দেখেছেন? না দেখেন নাই। “অদ্রি” না এর নাম হলো অড্রে। এবং সে “ছেলে” “ছাত্র” না, মেয়ে। বাংলাদেশীও না, চাইনিজ।
গবেট সাংবাদিকের ভুয়া রিপোর্টে আনন্দিত হয়ে পুরা দেশের লোক বেকুবের মতো নাচছে, এর মতো দুঃখের আর কী হতে পারে!!
কাল শুনলাম নিউজটা। বালমার্কা
:মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট: :মাথানষ্ট:
কাল শুনলাম নিউজটা। বালমার্কা সাম্বাদিকতা…