বাচ্চাকালে Baby Loony Toons এর একটা পর্বে দেখেছিলাম,Buggs Bunny-র জনপ্রিয়তা দেখে Daffy Duck ঈর্ষাকাতর হয়ে Buggs-কে পচানো শুরু করল।Buggs এর হাত-কান-নাক-লেজ সব কিছু নিয়েই সে সমালোচনা শুরু করল।সমালোচনায় বিচলিত Buggs ক্যাপ,জ্যাকেট ইত্যাদির সাহায্যে সমালোচনা থামানোর চেষ্টা করল।কিন্তু কোন লাভ হয় না,Buggs ক্যাপ দিয়ে কান ঢাকলে Daffy লেজের সমালোচনা করে।এভাবে চলতে চলতে Buggs-এর পুরা শরীর ঢেকে গেল বিভিন্ন কাপড়ে,কিন্তু Daffy তাও সমালোচনা করার কিছু না কিছু বের করে ফেলে।এই অবস্থা দেখে Buggs-এর বন্ধু Lola,Buggs-কে বলল,এসব সমালোচনার পরোয়া করে লাভ নাই,Daffy তোমার পিছে লাগবেই!তারপর Buggs সব জ্যাকেট,ক্যাপ খুলে বাইর হইল,যথারীতি Daffy পচাইল।কিন্তু Buggs পাত্তাই দিল না!Daffy-ও পাত্তা না পায়ে আর বেশি আগ্রহ পায় নাই।
সেই আদিকালের কাহিনী আজকে মনে হল জাফর ইকবাল স্যারের সমালোচকদের লম্বা লাইন দেখে।স্যার যাই করেন,সমালোচকরা সমালোচনা করেন।উচ্চ মানবতাসম্পন্ন লোকেরা স্যারকে গালি দেন।কিন্তু Buggs-এর মত স্যার কোনদিনই বিচলিত হন নাই।তার কাজ করে গেছেন।তিনি যা বিশ্বাস করেন,তার জন্য লড়েছেন!স্যার অমুক বিষয় নিয়ে কিছু বলেন না,তমুক বিষয় নিয়ে কিছু বলেন না।স্যার ভারতীয় দালাল,আওয়ামী দালাল,মার্কিনী দালাল,নাস্তিক!স্যারের এমন বহু লেখা পড়েছি,যেখানে সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন।তাও তিনি আওয়ামী দালাল!
তবে স্যার নিজেই বলেছেন,এগুলো তাকে খুব একটা বিচলিত করে না।স্যারের একজন ভক্ত হিসেবে আমকে অবশ্য খুবই বিচলিত করে।একটা মানুষ বিদেশের বিত্তবৈভব ছেড়ে দেশে চলে এসেছেন,দেশের জন্য কাজ করছেন,তাকে মানুষ ঘৃণা করে,ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক!
স্যারের কাছ থেকে শিশু বয়স থেকেই আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা জানি তার গল্পের মাধ্যমে।তিনি আমাদের দেশকে ভালোবাসতে শেখান।তিনি আমাদের উপলব্ধি করতে শেখান আমাদের দেশটা কত সুন্দর!তিনি আমাদের বৃষ্টিতে ভিজতে শেখান!তিনি আমাদের স্বপ্ন দেখতে শেখান।তিনি শিশু-কিশোরদের গণিতের ভীতি দূর করতে কাজ করেন,বিজ্ঞানের ভীতি দূর করতে কাজ করেন।তিনি দেশের প্রথম বাংলা সার্চ ইঞ্জিন তৈরিতে অবদান রাখেন,দ্রোন তৈরিতে অবদান রাখেন।তিনি জামাত-শিবিরের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ অবস্থান নিতেও ভয় করেন না।একটা মানুষ এত কিছু কিভাবে করেন সেটাই একটা বিস্ময়!
আজ স্বপ্নবাজ তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে যাচ্ছে প্রশ্ন ফাঁসের কারণে।আমাদের সরকার যখন এত বড় একটা সমস্যার অস্তিত্বকেই অস্বীকার করতে চাইছে,তখন তিনি আবার রাজপথে নেমে পড়লেন।আমাদের জন্য,আমাদের এই দুঃখে আমি অন্য কোন বড় বড় বিখ্যাত মানুষকে এগিয়ে আসতে দেখিনি।কোন রাজনৈতিক দলকেও এত বড় একটা বিষয় নিয়ে কিছু বলতে শুনিনি।স্যার আমাদের পাশেই আছেন,আর কেউ না থাকুক,স্যার আছেন।
ব্যক্তিগতভাবে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন আমি কখনোই নিতে পারব না।এবারো কিছু প্রশ্ন ফাঁস হইছে,নেই নাই।উচ্চ মাধ্যমিকে দুই বছর পর যদি এবারের মতই প্রশ্ন ফাঁস হয়,তাহলে আমি পড়ালেখা করার আর কোন মানেই দেখি না!কষ্ট করে দুই বছর পড়ব আর ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিয়ে অন্যরা আমায় টপকে যাবে!এই প্রশ্ন ফাঁস তাই এখনই বন্ধ হতে হবে!নাহলে শিক্ষা ব্যবস্থার কবর রচিত হতে বেশি সময় লাগবে না!সব পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে আর পরীক্ষার মূল্য কমে যাচ্ছে!এই দেশে আমি নিশ্চয়ই একা না যে কি না ফাঁস হওয়া প্রশ্ন নিবে না।আমাদের এই সততার কি কোনই মূল্য নাই?
স্যার বলেছেন,আগামী সপ্তাহে আবার বসবেন।স্যার আমাদের জন্য যতদিন আন্দোলন করবেন,আমরা অবশ্যই তার সাথে আছি!এই ভয়ঙ্কর অপরাধের বিচার চাই!প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা চাই।
সহ মত
সহ মত
আকাশ ভাই, গোটা পাচেক বার
আকাশ ভাই, গোটা পাচেক বার “সহমত” হইয়াই খ্যান্ত দিলেন?
বই পাইতে চাইলে আরও গোটা পাচেক বার…………
আপনি একই মন্তব্য কয়েকবার করেন
আপনি একই মন্তব্য কয়েকবার করেন কেন? ব্লগের ভাষায় এই ধরনের কাজকে বলা হয় ফ্লাডিং। ইস্টিশনবিধিতে ফ্লাডিং এর ক্ষেত্রে সাবধান করা হয়েছে। আশাকরি ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
আমি জানি সরি, মন্তব্য নিচ্ছিল
আমি জানি সরি, মন্তব্য নিচ্ছিল না , তাই টিপ মারলাম আর এই কাণ্ড । মোছার কোন অপশনও নাই কি যে করি
মন্তব্য করতে হলে সেটা মন্তব্য
মন্তব্য করতে হলে সেটা মন্তব্য করার মতই করা উচিত। মন্তব্যে কিছুটা সারবস্তুও থাকা চাই। শুধু মন্তব্যের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ছোট আকারে, মিলি আর মাইক্রো কমেন্ট করা উচিত নয়।
আকাশ ভাই, আপনি ব্লগ ভাল লেখেন। আশা করি আপনার মন্তব্যও সেরকম মন্তব্যের মত হবে। সেটা আমি বিশ্বাস করি আপনি চেষ্টা করলেই পারবেন।
(No subject)
😀
(No subject)
:ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল: :ফুল:
ঠিক মতো আইন প্রয়োগ করলে
ঠিক মতো আইন প্রয়োগ করলে প্রশ্ন ফাঁস হওয়া বন্ধ করা সম্ভব ।
সেটা অবশ্যই সম্ভব,সরকার চাইলে
সেটা অবশ্যই সম্ভব,সরকার চাইলে কোন ব্যাপারই না।কিন্তু সরকারকে আগে সমস্যাটা স্বীকার করতে হবে!
স্যার বলেছেন,আগামী সপ্তাহে
রাজপথে নেমে ও এডভোকেসীর মাধ্যমে এই আন্দোলনকে জোরদার করুন!
বুয়েটের বড় ভাইরা এই সপ্তাহে
বুয়েটের বড় ভাইরা এই সপ্তাহে স্কুল-কলেজে গণসংযোগ করবেন।
আর সরকারের কাছেও তারা অনেকবার তথ্যপ্রমাণসহ গেছেন,সরকার পরোয়া করেনি।দাবি রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই মানাতে হবে!
আর সরকারের কাছেও তারা অনেকবার
আমরা আসলেই একটা বাল (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) সরকারের হাতে বন্দী।
সেটাই,ভাই!তারা কোন কিছুকেই
সেটাই,ভাই!তারা কোন কিছুকেই গুরুত্ব দিচ্ছে না!
প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত পাবলিক
প্রশ্ন ফাঁসমুক্ত পাবলিক পরীক্ষা চাই।
কি যে কব ভাই
কি যে কব ভাই
সরকারের কাছাকাছি তো হইতেই
সরকারের কাছাকাছি তো হইতেই হবে; খারাপ হলেও তো তারাই আমাদের অভিভাবক। এতে দোষের কিছু দেখিনা।
ভাল তো ভাল না , আমান ভাই ,
ভাল তো ভাল না , আমান ভাই ,
আমিও দোষের কিছু দেখছি
আমিও দোষের কিছু দেখছি না।উনাকে বর্জন করার মত কোন ঘোষণা স্যার এখনও দেননি।স্যার আন্দোলন করাও থামাননি শিক্ষামন্ত্রীর কথায়।বরং শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যাপারটা বোঝাতে পারলে ভালো।
আহারে ৪ ঘণ্টারআদিক সেদিক ।
আহারে ৪ ঘণ্টারআদিক সেদিক । চেতনা কাহাকে কয় ।
আমি যতটুকু জানি,স্যারের
আমি যতটুকু জানি,স্যারের শিডিউল আগে থেকেই ঠিক থাকে।তাই,সেখানে যাবার কথাও নিশ্চয়ই আগেই ঠিক ছিল।বরং তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করাই বোধ হয় ঠিক হত না।
আর স্যার যদি তার অবস্থানে অটল থাকেন এবং প্রশ্নফাঁসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন,তাহলে কোন সমস্যা আমার ব্যক্তিগতভাবে নেই।স্যারের সেই অবস্থানকে সমর্থন জানাব।
জাফর স্যার খুব মহানুভব
জাফর স্যার খুব মহানুভব ব্যাক্তি। এক্সাম চলাকালীন সময়ে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কিছু বলে ছাত্রছাত্রীদের শুধু শুধু বিরক্ত করেন নাই।
এখন এক্সাম শেষ। সুতরাং এখন প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে জ্ঞান দান করতে গেলে আর কোন বাধা নেই।
তো!! পোলাপান ওনাকে ভালো না বেসে কাকে বাসবে??
স্যার পরীক্ষা চলাকালীন সময়
স্যার পরীক্ষা চলাকালীন সময় থেকেই বিষয়টার উপর লিখছেন,ভাইয়া!
সখি যাতনা কাহারে কয়… সখি
সখি যাতনা কাহারে কয়… সখি চেতনা কাহারে কয়! 🙂
(No subject)
:কনফিউজড: