অবাক না হয়ে পারলাম না, একটা ক্লাস ফাইভের বাচ্চা জানে যে কোন তথ্য পেতে গুগল দারুন সহায়ক। এমন কি যে কোন অজানা বিষয়ে চাইলেই নিমিষে জানা যায় গুগল, ইয়াহু, বিং সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে।
প্রসঙ্গ প্রথম আলো পত্রিকাতে ১৭ মে ভারতে নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে নিয়ে দেয়া একটা তথ্য (যা একটি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা থেকে সংগৃহীত) নিয়ে একদল মানুষের প্রথম আলো’র উপর বিরাগভাজন হয়েছেন এবং প্রথম আলো ওই তথ্য নাকি ৩০ লাখ শহীদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে অবমাননা করেছে। বিরাগভাজনরা কি দুই তিন মিনিট সময় করে একটু ইতিহাস পড়েছেন?
অবাক না হয়ে পারলাম না, একটা ক্লাস ফাইভের বাচ্চা জানে যে কোন তথ্য পেতে গুগল দারুন সহায়ক। এমন কি যে কোন অজানা বিষয়ে চাইলেই নিমিষে জানা যায় গুগল, ইয়াহু, বিং সহ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের সাহায্যে।
প্রসঙ্গ প্রথম আলো পত্রিকাতে ১৭ মে ভারতে নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে নিয়ে দেয়া একটা তথ্য (যা একটি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা থেকে সংগৃহীত) নিয়ে একদল মানুষের প্রথম আলো’র উপর বিরাগভাজন হয়েছেন এবং প্রথম আলো ওই তথ্য নাকি ৩০ লাখ শহীদ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা কে অবমাননা করেছে। বিরাগভাজনরা কি দুই তিন মিনিট সময় করে একটু ইতিহাস পড়েছেন?
“১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর আরএসএসের প্রচারক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন নরেন্দ্র মোদি ।”
সমস্যাটা কোথায় এই তথ্যের!!!
পৃথিবীতে ১৯৭১ সালের আমাদের মুক্তি যুদ্ধ ছাড়াও, ভিয়েতনামে ও ইন্ডিয়াতে যুদ্ধ হয়েছে। ১৯৭১ সালের ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান ভারত আক্রমন করে সেই যুদ্ধ ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে। আর আমাদের যুদ্ধ ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে, যা লিবারেশন ওয়্যর অফ বাংলাদেশ নামে পরিচিত। ভারতীয় পূর্ব ফ্রন্ট আমাদের মুক্তি যুদ্ধে সহায়তা করে নভেম্বরের শেষে। আর ভারতের পশ্চিম ফ্রন্ট যুদ্ধ করে পাকিস্তানের সাথে ভারতের উত্তর-পশ্চিম বর্ডারে।
বাংলাদেশ, ভারত ও আন্তর্জাতিক সূত্র অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ১১টি ভারতীয় এয়ারবেসে পাকিস্তান আচমকা হানা দিলে “অপারেশন চেঙ্গিস খাঁ” নামে এই যুদ্ধের সূচনা ঘটে। মাত্র তেরো দিনের এই যুদ্ধটি ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা স্বল্প সময়ের যুদ্ধগুলির একটি বলে পরিগণিত হয়। আর ওই যুদ্ধের পরে নরেন্দ্র মোদি আরএসএসের প্রচারক হিসেবে যোগ দেন।
এর সাথে আমাদের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির বা অবমাননার কিছুই হয় না বরং একদল মানুষের ইতিহাস বিমুখতা বা ইতিহাস মূর্খতা প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
কাল দেখলাম প্রথম আলো বর্জনের ডাক!!! অবিশ্বাস্য ব্যাপার হল, ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, উনিও কি ইতিহাস পরেন নি। না পড়লে উনি প্রধানমন্ত্রী যিনি তার আম্মা, তাকেও একবার জিগেসা করে নিতেন। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হয়ে যিনি এই ডাক দিলেন তাতে প্রমান হয় উনি নিজেও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে খুব একটা আগ্রহী নন, না হলে একটা গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী পুত্র হয়ে অগণতান্ত্রিক কাজ করে বসলেন কি করে? একবারও উনি যাচাই করলেন না বিষয়টি ঠিক কিনা? নাকি উনিও কাজ করার বা বলার আগে ভাবেন না। নাকি একদল চামচা পরিবেষ্ঠিত থাকেন, যাদের কথা চোখ বুজে বিশ্বাস করেন। আর এই অন্ধ বিশ্বাস তাকে উপহাসের পাত্র করে তুলল।
অনেক বিখ্যাত সাংবাদিকদেরও দেখলাম প্রথম আলো কে তুলোধুনা করে ছাড়তে। সব দেখে পড়ে মনে হল, প্রথম আলোর প্রতি সবার একধরনের হিংসা ও আক্রোশ কাজ করছে। প্রথম আলো বন্ধ করতে একদল মানুষ যেন উঠে পরে লেগেছে।
প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, আপনার দেশ প্রেমের প্রতি সম্মান জানায়। আপনি যদি সম্প্রতি ভারতের একটি মুভি গুন্ডের প্রারাম্ভে যে তথ্য দিয়েছে আমাদের মুক্তি যুদ্ধ সম্পর্কে তাতে যদি ভারতীয় মুভি বা পণ্য বর্জনের ডাক দিতেন অথবা ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কাউকে এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতেন তা হলে সেটা মানানসই হত কিন্তু ইতিহাস না জেনে প্রথম আলো কে বর্জনের ডাক দিয়ে আপনি নিজেকে নিজেই উপহাস করলেন।
আমাদের দেশের নেতারা দেখি অস্থির সবাই, কেউ জেনে বুঝে কিছু করেন না। কোন পদক্ষেপ নেবার আগে যাচাই বাছাই করেন না।
সজীব ওয়াজেদ জয় আপনি আপনার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা, তাই একটু যদি তথ্য ও প্রযুক্তি একটু ঘাঁটাঘাটি করে ইতিহাসটা দেখে নিতেন প্রথম আলো বর্জনের ডাক দেবার আগে তাহলে আর নিজেই নিজেকে উপহাসের পাত্র করতেন না। যারা আপনাকে এই ভুল তথ্য দিয়ে হাস্যকর করে তুলেছে তাদের তথ্য নিতে ভুলেন না। ভেবে দেখেন আপনাকে মোহড়া করে কেউ প্রথম আলো কে এক হাত দেখে নিতে চাচ্ছে। একটা মজার কথা বলি ” ছেলে হারালেও লোকজন আজকাল পুলিশের যাওয়ার আগে গুগলের সার্চ করে আর আপনি…!!! ইটস আ জোক। এনিওয়ে।
নরেন্দ্র মোদি একজন ভারতীয় তাকে নিয়ে ভারত সংশ্লিষ্ট তথ্যই দিয়েছে প্রথম আলো। এ নিয়ে হল্লা করাটা ইতিহাস মূর্খতাই বলব। তবে এ কথা না বলে পারছিনা যে মোদি কে নিয়ে এতো নিউজ বা এতো লেখালেখি বাড়াবাড়ির কি আছে বাংলাদেশের নিউজ মিডিয়ার। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কি এতো লেখা হয় কিনা সংসদ নির্বাচনের পর আমাদের মিডিয়াতে। মোদি কে নিয়ে মাতামাতির কিছু নাই, ভারতীয় জনগণ যাকে চেয়েছে, তাকেই নির্বাচিত করেছে। আমাদের এবার নিজেদের তাকানোর সময়। অনেক কিছু লেখার ও তুলে ধরার আছে। মোদি কে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়াই ব্যস্ত থাকুক, আমরা না।
প্রথম আলু জিন্দাবাদ বলেন!
প্রথম আলু জিন্দাবাদ বলেন! 😀
জিন্দাবাদ বা মুর্দাবাদ কোনটাই
জিন্দাবাদ বা মুর্দাবাদ কোনটাই বলতে পারছি না। :টাইমশ্যাষ:
এ জন্যি হালার্পুতের পত্রিকার
এ জন্যি হালার্পুতের পত্রিকার নাম পুটু-মালো
(No subject)
:-B
তাহলে তো প্রথম আলো নিজেও
তাহলে তো প্রথম আলো নিজেও ইতিহাস না জেনেই রিপোর্ট করেছিলো। কারণ রিপোর্টটি প্রকাশের পরপরই অনলাইনে টুকটাক প্রতিবাদ শুরু হতেই প্রথম আলো তার অনলাইন ভার্সনে এই লাইনগুলো বাদ দিয়ে দিলো কেন? দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বলে দাবীদার একটি জাতীয় দৈনিক এতো দৈন্যতায় ভুগলে তো সমস্যা।
প্রথম আলো ভুল তো করেছেই কারন
প্রথম আলো ভুল তো করেছেই কারন সূত্র উল্লেখ করেনি আর আমার মনে হয়, অনুবাদক ইতিহাস জানেনা। তবে এই ইস্যূ তে জয়ের প্রথম আলো বর্জনের ডাক খুবই বালখিল্য ধরনের কাজ। এতে দেশ প্রেম প্রমান হয় না, একি দিন সমকাল প্রথম পাতায় নিউজটা করেছে তাও নিজেদের প্রতিবেদকের নামে, ওদের কে কেন বর্জনের ডাক দেয় নি জয়? প্রথম আলো কিছু দিন ধরেই বিতর্কের কাজ করছে। সঠিক ব্যাখ্যা না দিয়ে চুপি চুপি মুছে নিউজ ফেলা বা এডিট করা কোন সুবুদ্ধির পরিচয় দেয় না।
রাজপুত্তুরদের ভুল খুঁজতে
রাজপুত্তুরদের ভুল খুঁজতে যাইয়েন না। এদেরকে দলের কর্মীরা ঈশ্বরের পর্যায়ে নিয়ে গেছে। জয়ের কথায় যদি মানুষ প্রথম আলো পড়া ছাইড়া দিত তাহলে কথা ছিল না। জয়ের এই বক্তব্যে প্রমাণ হল, নেতৃত্ব দেওয়ার মত কোন যোগ্যতাই রাজপুত্তুরের নাই। তবে প্রথম আলো কাজটা ভাল করে নাই। ইতিহাসকে ভুলভাবে উপস্থাপন প্রথম আলো সব সময়ই করে আসছে।
আমি প্রথম আলোর কেউ না কিন্তু
আমি প্রথম আলোর কেউ না কিন্তু ট্রেন ভাই, প্রথম আলো কিছু দিন ধরে ঊল্টা পালটা কাজ করে আসছে, যা নিয়ে তাদেরকেও বলতে ছাড় দেয়া হচ্ছে না, কিন্তু এই নিউজ টা নিয়ে আসলেই বিতর্কের কিছু নেই। জয় তার ওজন নাই বুঝায় দিছে। কেউ দেখি কারো থেকে কম যায় না।
প্রথম আলু জিন্দাবাদ বলেন!
প্রথম আলু জিন্দাবাদ বলেন!