আধুনিক যুগের সেবিকাদের আলোকবর্তিকা হলেন ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল। তিনি একজন সেবিকা হিসেবে শারীরিক, মানসিক, আত্মিকভাবে সেবা দিয়ে তিনি আধুনিক যুগের নার্সদের অনুকরণীয় হয়ে আছেন। তিনিই প্রথম পেশাদারী পর্যায়ে নার্সিংয়ের পরিধি ও নীতিমালা প্রণয়ন করেন। কিন্তু তার আগে খ্রীষ্টান যাজিকা বা নান এবং আমেরিকান সামরিক বাহিনীতে এ সেবা কার্য পরিচালিত হতো। যুক্তরাজ্যের তুলনামূলক বয়স্ক নারীরা এ সেবা কার্যে নিয়োজিত থাকতেন। শুধূ নাইটিঙ্গেল নয় যুগ যুগে নার্সিং সেবায় আরো বেশ কয়েকজন মহিয়সী তাদের মেধা, ভালোলাগা ভালোবাসা দিয়ে নার্সিং সেবার বিশ্ব দুয়ার খুলে দিয়েছেন। পেশার মান উন্নয়নে নার্সিং সেবায় যাদের নাম অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে উচ্চারিত হয় তারা হলেন, এগনেস এলিজাবেদ জোন্স ও লিন্ডা রিচার্ড। লিন্ডা রিচার্ড আমেরিকার প্রথম পেশাদার ও প্রশিক্ষিত নার্স হিসেবে ১৮৭৩ সালে বোস্টনের নিউ ইংল্যান্ড হসপিটাল ফর উইমেনস এন্ড চিলড্রেন থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। বেঙ্গলী নাসিং কাউন্সিলের আওতাভুক্ত ৩টি জুনিয়র নার্সিং স্কুল যাত্রা শুরু করে অবিভক্ত ভারতে। পরবর্তিতে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৪৭ সালে প্রথম সিনিয়র নাসিং স্কুলের যাত্রা শুরু হয়। তারা ছিলেন সবাই নারী। ভারত বিভক্ত হওয়ার পর পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা হয়। কিন্তু সে সময়ে মুসলিম যুবতীদের এ পেশায় আসা নিষিদ্ধ ছিলো। তৎকালিন সময়ে তাদেরকে ইন্ডিয়া এবং মাদ্রাজ থেকে আনা হতো। ১৯৬০থেকে সত্তর দশকে পূর্ব পাকিস্তানের ৮টি মেডিকেল কলেজে ৮টি সিনিয়র নার্সিং ট্রেইনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ডিপ্লোমা ইন এ্যাডমিনেস্ট্রেশন সাবজেক্ট নিয়ে ১৯৭০ সালে প্রথম নার্সিং কলেজ স্থাপিত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজে। দেশের ১২টি জেলায় ১২টি সিনিয়র নাসিং ট্রেইনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়১৯৭০-১৯৭১ সালে। পূর্ব পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিলকে বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল (বিএনসি) করা হয় স্বাধীনতার পর। বাংলাদেশ সরকার এ পেশার উন্নতিতে বেশ কিছু কাজ করেছে। লজিস্টিক সাপোর্ট থেকে শুরু করে পেশার মানগত উন্নয়নে সরকার সব সময়ে সচেষ্ট ছিলো। দেশে এ পর্যন্ত ৩৮ সরকারি ডিপ্লোমা নার্সিং ইনিস্টিটিউটসহ প্রায় ১১ টি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এর মধ্যে ৪টি বিএসসি কোর্স সমৃদ্ধ নার্সিং কলেজ। বেসরকারি ভাবে এ সংখ্যা শতাধিক। অন্যান্য পেশার মত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে নার্সিং পেশাকে অনেক গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হলেও বিএসসি নার্সিং কলেজ গুলোর কার্যক্রম চলছে দায়সারা গোছের।
বিপুল স্বম্ভব্নাময় নার্সিং পেশা ও বাঙলাদেশে এর প্রয়োজনীয়তার দিক নিয়ে বিস্তারিত আরও কোন নোটে লিখবো আশা রাখি। কারণ এই পেশাজীবিদের, শিক্ষার্থীরা অধিকার বঞ্চিত। তাদের যোগ্যতার সঠিক মূল্যায়ন করা হচ্ছেনা বা করছেনা সরকার।
বেশ কয়েকদিন থেকে নার্সিং এর বিষয় নিয়ে ভাবছি। ফেসবুকে তাদের বিভিন্ন গ্রুপে ঘোরাঘুরি করছি। তাদের অভিযোগ, চাহিদাগুলো জানছি। ব্যক্তিগত ভাবে আমার খুব কাছের একজন বন্ধু (ইমরুল শামীম খান, প্রাইম হাসপাতাল) এর কাছ থেকে আরও বিস্তারিত জানতে পেরেছি।
সকালে বন্ধুর ফেসবুক ষ্টাটাস দেখে চমকে উঠলাম।
https://www.facebook.com/groups/197017407136070/282262808611529/?comment_id=282343495270127¬if_t=like
““সিলেট নার্সিং কলেজে ক্লিনিক্যাল প্রাক্টিসরত অবস্থায় চতুর্থ বর্ষের একছাত্রকে এবং ছাত্রীকে অমানুসিক প্রহার করেছে অই হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টরররা।””
আসলে আমরা কোন পথে যাচ্ছি উত্তর খুঁজে পাইনা। ইদানিং ডাক্তার নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। ডাক্তাররাও যদি হিংস্র হয়ে যায় তাহলে কি হবে??
প্রথম আলোর রিপোর্ট ঃ
সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিত্সকদের হামলায় হাসপাতালে দায়িত্বে থাকা সিলেট নার্সিং ইনস্টিটিউটের দুজন সেবক ও তিনজন সেবিকা আহত হয়েছেন।
ঘটনার প্রতিবাদে আজ সোমবার সকালে শিক্ষার্থীরা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ক্লাস বর্জন করে দুপুর ১২টায় হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত শিক্ষানবিশ চিকিত্সক তোফায়েল আহমদ ব্রাদার (সেবক) প্রলয়কে তলব করেন।
কিন্তু প্রলয় আসতে দেরি করায় এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রলয়কে তোফায়েল কিল-ঘুসি মেরে ওয়ার্ড থেকে চলে যেতে বলেন। প্রলয় এ ঘটনার বিচার চাইবেন জানালে তোফায়েলের পক্ষ নিয়ে আরও কয়েকজন শিক্ষানবিশ চিকিত্সক জড়ো হয়ে প্রলয়কে আরেক দফা মারধর করেন। খবর পেয়ে অন্য ওয়ার্ড থেকে ব্রাদার ও নার্সরা ছুটে গিয়ে প্রলয়কে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ সময় শিক্ষানবিশ চিকিত্সকদের মারধরে তিনজন সেবিকা ও একজন সেবক আহত হন।
ঘটনার প্রতিবাদে রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালের সেবক-সেবিকারা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই সঙ্গে ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেন তাঁরা।
এ পরিস্থিতিতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরি বৈঠক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করলে তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক তন্ময় ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে জানান, সামান্য বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। রাতেই হাসপাতালের পরিচালক দুই পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলে নার্সিং ইনস্টিটিউটের অন্যান্য শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে আরেক দফা বিক্ষোভ করেন। দুপুর ১২টার দিকে তাঁরা হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করে হামলাকারী শিক্ষানবিশ চিকিত্সকদের বিচারের দাবি জানান।
তাহলে এবার অন্য প্রসঙ্গে আসছি। বেশ কিছুদিন থেকে নার্সিং এর বিভিন্ন গ্রুপে একটি ছবি দেখছি।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেও গেছে সেই ডাক্তারদের বিরুদ্দে। তার মানে হয়তো শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকারের আন্দোলনটাও এবার শুরু করবে। আর সেটাই হওয়া উচিত। অধিকার আদায় করে নিতে হয়।
এগুলি আর মানাযাচ্ছে না;এদের
এগুলি আর মানাযাচ্ছে না;এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আজ প্রথম আলো শেষ পাতায় দেখলাম রাস্তায় পড়ে আছে রোগী
ডাক্তারদের সাথে এতো দিন
ডাক্তারদের সাথে এতো দিন শুনেছি সাংবাদিকদের বিবাদ!! কিন্তু এখন নিজেরাই …., ঢাকা মেডিকেল , রাজশাহী মেডিকেল , বরিশাল , সিলেট ..,আর কতো? নচিকেতার একটা গান আছে “ডাক্তার মানে সে তো ডাক্তার নয় , আমাদের কাছে সে তো ভগবান / কসাই আর ডাক্তার একি তো নয় , কিন্তু দুটোই আজ প্রফেশন! ”
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য
কসাই জবাই করে প্রকাশ্য দিবালোকে, ওদের আছে ক্লিনিক আর চেম্বার……. :হাসি: