হাসপাতালটিতে প্রবেশের মুখেই প্রধান ফটকে টাঙানো রোগীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি। ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সারিবদ্ধ নারিকেল গাছ, আধুনিক সাজ-সজ্জা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে চোখ জুড়ায়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার হোটেল র্যাডিসনের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে অবাকই হতে হয়। কারণ রাজধানীর অন্য সাধারণ হাসপাতালগুলোর সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এখানে নেই কোনো বিশৃঙ্খলা বা দালালচক্র।
হাসপাতালটিতে প্রবেশের মুখেই প্রধান ফটকে টাঙানো রোগীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি। ফটক পেরিয়ে ভেতরে ঢুকতেই সারিবদ্ধ নারিকেল গাছ, আধুনিক সাজ-সজ্জা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশে চোখ জুড়ায়। রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার হোটেল র্যাডিসনের ঠিক বিপরীতে অবস্থিত কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে অবাকই হতে হয়। কারণ রাজধানীর অন্য সাধারণ হাসপাতালগুলোর সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। এখানে নেই কোনো বিশৃঙ্খলা বা দালালচক্র।
হাসপাতালের বিবরণ
ঢাকা মেগাসিটির উত্তরাঞ্চলে মহাখালী এলাকা হতে শুরু করে খিলক্ষেত, নিকুঞ্জ, উত্তরা, সাভার, টঙ্গী, গাজীপুর ইত্যাদি এলাকায় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পর্যায়ের কোন সরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান না থাকায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের মত একটি উন্নতমানের হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিন ধরে অনুভূত হচ্ছিল। উন্নততর চিকিৎসা বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষাদানের লক্ষ্যে ২০০১ সালে ঢাকা সেনানিবাসে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ স্থাপনের সময়ই এর উত্তর পার্শ্বে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৩ মে ২০১২ তারিখে উক্ত স্থানে স্থাপিত হাসপাতালটির উদ্বোধন করেন। হাসপাতালটিতে বর্তমানে বহির্বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ সকল বিশেষায়িত বিভাগের দক্ষ চিকিৎসকগণ আগত রোগীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। এখানে রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন প্রকার প্যাথলোজিক্যাল টেস্ট, ইসিজি, এক্সরে, আলট্রাসনোগ্রাম, এনডোস্কোপিসহ আরও কিছু কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে সম্পন্ন করা হচ্ছে। অন্যান্য সকল হাসপাতালের ন্যায় ১০ টাকা মূল্যের টিকিট কেটে এ হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রসহ বিনামূল্যে ঔষধ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ইটিটি, এনজিওগ্রামসহ নানাবিধ উন্নততর রোগ নির্ণয়ের যন্ত্রপাতিসমূহ নিকট ভবিষ্যতে সংযোজন করা হবে। ১২ তলা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালটিতে শয্যা সংখ্যা ৮৪৫টি। তাছাড়া এখানে মোট ১৫ টি অত্যন্ত উন্নতমানের অপারেশন থিয়েটার, ৫২ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ, ৭২ শয্যা বিশিষ্ট পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড এবং ৬টি ভিআইপি কেবিনসহ ৬০টি উন্নতমানের কেবিন রয়েছে। এই হাসপাতালটিতে একটি স্বতন্ত্র বার্ন, ট্রমা ও ক্যাজুয়ালটি সেন্টার রয়েছে যেখানে ৩টি অপারেশন থিয়েটার, ৩ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউ, ১০ শয্যা বিশিষ্ট পোস্ট অপারেটিভ এবং ১৭ শয্যা বিশিষ্ট হাইডিপেন্ডেন্সি ইডনিট রয়েছে যার মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুততার সাথে একই স্থানে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার উন্নততর চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হবে। দেশে এটিই এ ধরনের প্রথম চিকিৎসা কেন্দ্র। এই হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও অন্ত:বিভাগে মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক সার্জারি, শিশু, গাইনী এবং অবসটেট্রিকস, আই, ইএনটি, চর্ম ও যৌনরোগ, মানসিক রোগ, ডেন্টাল, গ্যাস্ট্রোএন্টারলোজি, ইউরোলোজি, নেফ্রোলোজি, নিউরো মেডিসিন, নিউরো সার্জারি বিভাগ রয়েছে। ভবিষ্যতে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখাও খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ হাসপাতালে রোগীদের ব্যবহারের জন্য ১২টি লিফট রয়েছে। মডার্ণ লন্ড্রী ও কুক হাউজের ব্যবস্থা থাকায় রোগীদেরকে স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন ও বস্ত্রাদি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এখানে ২০০০ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন নিজস্ব জেনারেটর, ১ লক্ষ গ্যালন পানি ধারণক্ষম রিজার্ভ ট্যাংক ও ডিপ টিউবওয়েল, প্রয়োজনীয় স্থানসমূহে কেন্দ্রীয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি আধুনিক সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ১০০ জন ইন্টার্নী চিকিৎসক ও ১০০ জন সেবিকার অবস্থানের জন্য ৬ তলা বিশিষ্ট দু’টি আলাদা ভবন রয়েছে। বেজমেন্টে একত্রে প্রায় দুইশ যানবাহন রাখার ব্যবস্থাসহ আধুনিক অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে ব্যাংকিং ব্যবস্থা, ক্যাফেটেরিয়া, ফার্মেসির ব্যবস্থাও রাখা আছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর সড়কের পার্শ্বে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালটিতে সেনাবাহিনীর সদস্যসহ বাংলাদেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এটি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারী হাসপাতাল। হাসপাতাল পরিচালনার সমুদয় বাজেট ও অধিকাংশ জনবল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদত্ত হবে। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের কিছু কর্মকর্তা এই হাসপাতালের সার্বিক পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।(RNews24.com এর ২৫মার্চ, ২০১৩ এর রিপোর্ট অনুযারী)
কিন্তু এত কিছুর পরও শুরুর দেড় বছরেও সাফল্যের মুখ দেখতে পায়নি হাসপাতালটি। রোগী সেবার উদ্দেশ্যে নির্মিত হাসপাতালটিতে কাঙ্ক্ষিত রোগীর দেখা মিলে নি এ হাসপাতালে। এর বড় একটি কারণ হল হাসপাতালের অবস্থান এবং হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ যানবাহনের সমস্যা। রাজধানীর ভি,আই,পি রোডে এ হাসপাতালের অবস্থান। বিমানবন্দর সড়কটি ভি,আই,পি বলে রিক্সা চলাচল নিষিদ্ধ। তাছাড়া কুর্মিটোলা, কচুক্ষেত, বনানী, কুড়িল বা খিলক্ষেত রিক্সায় চড়ে আসার সুযোগ নেই। কুর্মিটোলা বাস স্টপেজ থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে হাসপাতাল। তাই আসা-যাওয়ার মাধ্যম হল সি,এন,জি বা ট্যাক্সিক্যাব বা পায়ে হেটে। এছাড়া আরও জটিলতা রয়েছে হাসপাতালে পৌছাতে। এ হাসপাতালের তেমন প্রচার হয়নি মিডিয়াতে। এক প্রকার ভূতুরে হাসপাতালটি।
এটা দেখি পুরাই বেহেস্তখানা।
এটা দেখি পুরাই বেহেস্তখানা। মেডিকেল কলেজ যেহেতু নাই,ইন্টার্নী ডাক্তার থাকার সম্ভবনাও নাই। কথায় কথায় ধর্মঘট ডাকার সম্ভবনাও নাই। আমরা এইরকম ইন্টার্নিমুক্ত হাসপাতাল চেয়েছিলাম।
কদিন এমন থাকে দেখার বিষয়
কদিন এমন থাকে দেখার বিষয়
এটি একটি চমৎকার হাসপাতাল।
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
এটি একটি চমৎকার হাসপাতাল। নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবেনা। সবগুলো বিভাগের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা আছে এই হাসপাতালটিতে।
সরকারে সঠিক প্রচারণা ও
সরকারে সঠিক প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় নীতিমালার অভাবে অনেক ভাল উদ্যোগ এভাবে চাপা পড়ে যায়। এই হাসপাতালটি বাইরে থেকে দেখেছি। অনেকের কাছে তথ্য নিয়ে জেনেছি, আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত এই হাসপাতালটি শুধুমাত্র প্রচারণার অভাবে স্থবির হয়ে আছে। কুর্মিটোলার আশেপাশের মানুষজন এই হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য সেবা নিতে পারেন অনায়সে।
এই হাসপাতাল নিয়ে ফেসবুকে একটা
এই হাসপাতাল নিয়ে ফেসবুকে একটা ছবি পোস্ট করেছিলাম এবং অবাক হয়ে দেখলাম অনেকেই জানেই না এটার খবর। সরকার নিজের ঢোল নিজেও পিটাইছে শিখল না। শহর জুড়ে শুধু নেতানেত্রির ছবি ঝুলাইলেই হয় না। আর মিডিয়ার কথা কি বলবো? স্বাস্থ্যখাতের পাছায় এরা নাক লাগায়ে রাখে সারাক্ষণ।