মনির প্রাণফাটা আর্তনাদ করতে থাকে। তার
হাতে থাকা তেলের বোতল
ছিটকে পড়ে ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়। বাজার ভর্তি লোক
সন্ত্রাসীদের চেহারা দেখে কেউ আগানোর সাহস পায়নি।
বিশেষ করে তাদের হাতের চকচক করা রামদা আর
রাইফেল দেখে। লোকে লোকারণ্য চারদিক। কিন্তু
তাকে বাচানোর কেউ নেই। স্বয়ং আল্লাহকে ডেকেও কোন
কুলকিনারা পাবার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে অজ্ঞান
করে দিল। তারপর চিল যেভাবে মুরগীর বাচ্চা নিয়ে
প্রায় সেভাবে তাকে নিয়ে গেল পাহাড়ের দিকে।
যেখানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা। অজ্ঞান হওয়ার আগ
পর্যন্ত জোরে জোরে দোয়া পড়ছিল। তারপর ঘন্টা দুয়েক
চলে গেল। এলাকার লোকজন বেরিয়ে এল। তাদেরও যার
মনির প্রাণফাটা আর্তনাদ করতে থাকে। তার
হাতে থাকা তেলের বোতল
ছিটকে পড়ে ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যায়। বাজার ভর্তি লোক
সন্ত্রাসীদের চেহারা দেখে কেউ আগানোর সাহস পায়নি।
বিশেষ করে তাদের হাতের চকচক করা রামদা আর
রাইফেল দেখে। লোকে লোকারণ্য চারদিক। কিন্তু
তাকে বাচানোর কেউ নেই। স্বয়ং আল্লাহকে ডেকেও কোন
কুলকিনারা পাবার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে মেরে অজ্ঞান
করে দিল। তারপর চিল যেভাবে মুরগীর বাচ্চা নিয়ে
প্রায় সেভাবে তাকে নিয়ে গেল পাহাড়ের দিকে।
যেখানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা। অজ্ঞান হওয়ার আগ
পর্যন্ত জোরে জোরে দোয়া পড়ছিল। তারপর ঘন্টা দুয়েক
চলে গেল। এলাকার লোকজন বেরিয়ে এল। তাদেরও যার
যা আছে তা নিয়ে এল। বন্দুক, দা-লাঠি সব। তারাও
ভালো লোক নয়। তারাও সন্ত্রাসীদের একদল।
হ্যাঁ তারাও সন্ত্রাসী কারণ তারাও আধিপত্যের জন্য
ত্রাস করে এলাকার শান্তি নষ্ট করে। দুই দলের বিরোধ
আছে। উভয়পক্ষের লোকজন মার্ডার হয়েছে, কিন্তু
মনিরের মাথায় ঢুকলো না তাকে কেন অত্যাচার করবে।
সে তো কোন মারামারি তে নেই। তার দিন কাটত
হাফেজখানায়। সে কোরআনে হাফেজ। তার বুকে আল্লাহর পাক
কালাম। মৃত্যুর খুব কাছাকাছি থেকে মনির ভাবতে থাকে।
সারা শরীরে টনটনে ব্যাথা। বন্দুকের বাটের আঘাত
সারা শরীর থেতলে গেছে। সে মায়ের
মুখটা কল্পনা করে ব্যাথা ভুলার চেষ্টা করে। মায়ের সেই
হাসি মাখা মুখ। সে যখন মাদ্রাসা থেকে ফিরত তখন
যে হাসি মুখে মা বুকে জড়ায়ে ধরতো। মাদ্রাসার হুজুরের
নুরানী চেহারা মনে করতে চেষ্টা করলো। কি সুন্দর
শশ্রুমন্ডিত চেহারা। হুজুর বলতেন, যারা আল্লাহর পাক
কালাম বুকে ধারণ করে তাদের হেফাজত
আল্লাহতায়ালা করবেন। মনিরের সাহস বাড়ে। এই
বুঝি সন্ত্রাসীদের মনে দয়া এল। তাকে ছেড়ে দিল।
অথবা পুলিশ এলে এক্ষুনি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে।
তার তৃষ্ণা পেয়েছে। পানি চাইলো একজনের কাছে। সবাই
পরিচিত। একই এলাকার। তাই, চাচা বলে ডাকলো।
কিন্তু পানি দিলো না। এদিকে রাত বেড়ে চলেছে।
চোখে আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। পাহাড়ের ভেতর
পাখিরা বাসায় আসতে শুরু করেছে। একটা বাদুড়
পাখা ঝাপটিয়ে উড়ে গেল। ওইসাপের মতো কি একটা পাশ
দিয়ে চলে গেল। কিন্তু তার নড়ার শক্তি নাই। একটু
তফাতে সন্ত্রাসীরা আলাপ করছে। একজন বলছে পুলিশ
আসলে কি করবি? অন্য একজন বলছে পুলিশ
আসলে যা হবার হবে। তারা আমাদের লোক মারছে।
এটাকে খতম কর। মনির
শুনে জোরে জোরে আল্লাহকে ডাকতে লাগল। দরুদ পাঠ
করতে লাগল । হুজুরের সেই কথাটা মনে করার
চেষ্টা করতে লাগল। হটাৎ বিকট একটা শব্দ
হল. . . . . . . পাশে বনে থাকা পাখি জোড়া উড়ে গেল। দু
একটা শেয়াল ভয়ে এদিক ওদিক দৌড়াতে লাগল। মনিরের
মনে হল পেটের ঠিক মাঝ বরাবর
চিনচিনে ব্যাথা হচ্ছে। তার সবকিছু কেমন
ঝাপসা মনে হচ্ছে। তার সবকিছু কেমন
ঝাপসা মনে হচ্ছে। চিৎকার করার শক্তিটুকুও যেন
নেই।
পুলিশ মোবাইলে কথা বলছে সন্ত্রাসীদের দলনেতার
সাথে। দলনেতা বললো- ‘‘ তাকে ফেরত দিয়ে দিব। রাত
আর একটু বাড়ুক তাকে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফেরত
পাঠাব।” তারা নানাভাবে পুলিশকে আশ্বস্থ করে যে,
মনিরকে তারা হত্যা করেনি। পুলিশ ও এলাকার লোকজন
নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকে মনিরকে উদ্ধার করতে।
গভীর রাত অবধি চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পুলিশ
ফিরে যায়।
এদিকে হন্তারকরা পরিকল্পনা করতে থাকে লাশ
কিভাবে গুম করা যায়। খুব ভোরে সোবেহ সাদিকেরও
আগে মসজিদের মোয়াজ্জিন সাহেব আজান দেয়ার সময়
রাস্তার উপর দিয়ে একটা রিকসা যেতে দেখলেন।
সাধারণত এ সময় কসাইরা বিভিন্ন এলাকায় জবাইকৃত
গরু মহিষের মাংস আনা নেওয়া করে। তাই মোয়াজ্জিন
সাহেব রক্তে লাল বস্তা দেখেও সন্দেহ করেনি। দুইজন
জোয়ান লোক রিকসা ঠেলে উত্তর দিকে চলে গেল।
বেলা বাড়তেই সারা এলাকা জুড়ে খবর হয়ে গেল কসাইয়ের
মাংসের বস্তায় মানুষের মাথা . . . . . . .
গল্পের বিষয়বস্তু ঠিক বুজলাম
গল্পের বিষয়বস্তু ঠিক বুজলাম না! ! এটা কি গুম সম্পর্কিত?
অনেকটা তাই। সত্য একটা ঘঠনার
অনেকটা তাই। সত্য একটা ঘঠনার সাথে মিল রেখেই লেখা। বলতে পারেন নব্বই ভাগ সত্য।
গল্পটি যদি ৯০পার্সেন্ট সত্যই
গল্পটি যদি ৯০পার্সেন্ট সত্যই হয় তাইলে এইটারে শরীর শিহরিত ঘটনা বলা যায়।
ঠিক তাই। কিছু ঘঠনা মিডিয়া
ঠিক তাই। কিছু ঘঠনা মিডিয়া পর্যন্ত পৌছাতে পারেনা বলে এভাবে পর্দার আড়ালেই থেকে যায়। আমরা আসলেই অসহায়। সন্ত্রাসের কাছে 🙁
ভাল
ভাল
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।