বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ৯ মে। ২০০৯ সালের আজকের দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। ডঃ এম ওয়াজেদ মিয়ার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে যে কাজ করে গেছেন, তা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া :
বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধুর জামাতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকী আজ ৯ মে। ২০০৯ সালের আজকের দিনে ইন্তেকাল করেন তিনি। ডঃ এম ওয়াজেদ মিয়ার পঞ্চম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি তাঁর মেধা, মনন ও সৃজনশীলতা দিয়ে জনগণের কল্যাণে যে কাজ করে গেছেন, তা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। ওয়াজেদ মিয়া তাঁর কর্মের জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া :
বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ১৯৪২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারী রংপুর জেলার পীরগঞ্জ থানার ফতেপুর গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আব্দুল কাদের মিয়া ও মাতা মরহুমা ময়জুনেসার চার পুত্র ও তিন কন্যার মধ্যে তিনি ছিলেন সর্ব কনিষ্ঠ। গ্রামের প্রাইমারি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণী ও পীরগঞ্জ থানার হাইস্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন শেষে তিনি ১৯৫২ সালে রংপুর শহরের সরকারি জেলা স্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ডিস্টিংশনসহ ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৮ সালে তিনি রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন এবং ১৯৬২ সালে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ফজলুল হক হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন এবং ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ১৯৬১-’৬২ শিক্ষা বছরের জন্য হল ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬২ সালে শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে গ্রেপ্তারবরণ করেন। ১৯৬৩ সালের ১ এপ্রিল তিনি তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬৩-’৬৪ শিক্ষা বছরে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের ‘ডিপ্লোমা অব ইম্পেরিয়াল কলেজ কোর্স’ কৃতিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে যুক্তরাজ্যের ‘ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়’ থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলে তাকে ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে ঢাকার আণবিক শক্তি গবেষণা কেন্দ্রে পদস্থ করা হয়।
তিনি ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৯৬৯ সালে ইতালির ট্রিয়েস্টের আন্তর্জাতিক তাত্ত্বিক পদার্থ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র তাকে এসোসিয়েটশিপ প্রদান করে। এই সুবাদে তিনি ১৯৬৯-’৭৩ ও ১৯৮৩ সাল গুলোয় ওই গবেষণা কেন্দ্রে প্রতিবার ৬ মাস ধরে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৬৯ সালের নভেম্বর থেকে ১৯৭০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন শহরের ড্যারেসবেরি নিউক্লিয়ার ল্যাবরেটরিতে পোস্ট ডক্টোরাল গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১২ মার্চ থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পশ্চিম জার্মানির কার্লসরবয়ে শহরের ‘আণবিক গবেষণা কেন্দ্রে’ আণবিক রিঅ্যাক্টর বিজ্ঞানে উচ্চতর প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ১৯৭৫ সালের ১ অক্টোবর থেকে ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত তিনি ভারতের আণবিক শক্তি কমিশনের দিল্লির ল্যাবরেটরিতে গবেষণায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি অনেক জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান বিষয়ক সম্মেলনে যোগদান করেন। তার অনেক গবেষণামূলক ও বিজ্ঞান বিষয়ক প্রবন্ধ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকায় এবং সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ সাত বছর নির্বাসিত জীবন কাটান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের পদার্থ বিজ্ঞান, ফলিত পদার্থ বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের ছাত্রদের জন্য দুটি গ্রন্থ রচনা করেছেন।
তার লেখা ৪৬৪ পৃষ্ঠার ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ঘিরে কিছু ঘটনা ও বাংলাদেশ’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে এবং ৩২০ পৃষ্ঠার ‘বাংলাদেশের রাজনীতি ও সরকারের চালচিত্র’ শিরোনামের গ্রন্থটি ১৯৯৫ সালের ফেব্রুয়ারীতে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড কর্তৃক প্রকাশিত হয়। বহুল রাজনৈতিক ঘটনা সংবলিত এই দুটি গ্রন্থ সুধী পাঠকদের কাছে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়।
১৯৭২ ও ১৯৭৩ সালের জন্য তিনি পরপর দুবার বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৮৩, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি পরপর তিনবার ওই বিজ্ঞানী সংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চার বছর তিনি বাংলাদেশ পদার্থ বিজ্ঞান সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ সালে দুবছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাছাড়াও তিনি ওই বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য। ১৯৮৯ সালে দুবছর মেয়াদের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তাছাড়া তিনি ওই বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর দুটি দুবছরের মেয়াদকালের জন্য বাংলাদেশ বিজ্ঞান উন্নয়ন সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত তিনি পরপর দুটি দুবছর মেয়াদকালের জন্য ওই বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য। ১৯৯১-১৯৯২ সালে তিনি বাংলাদেশ আণবিক শক্তি বিজ্ঞানী সংঘেরও সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়া ১৯৮৯ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত পরপর তিনটি দুবছরের মেয়াদকালের জন্য তিনি ‘বাংলাদেশ বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানজীবী সমিতি’র সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ওই সমিতির একজন আজীবন সদস্য।
তিনি ঢাকার রংপুর জেলা সমিতির আজীবন সদস্য এবং ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত দুবছর মেয়াদকালের জন্য এই সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এবং ঢাকার বৃহত্তম রংপুর কল্যাণ সমিতি; উত্তরবঙ্গ জনকল্যাণ সমিতি; রাজশাহী বিভাগীয় উন্নয়ন ফোরাম; বেগম রোকেয়া স্মৃতি সংসদ এবং রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার মির্জাপুর বছির উদ্দিন মহাবিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা।
২০০৯ সালের ০৯ মে তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁকে তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামে তাঁর বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
তথ্য সূত্র :
উইকিপিডিয়া
রংপুরের বরেণ্য ব্যক্তিত্ব
অনেক কিছুই জানা ছিলোনা।
অনেক কিছুই জানা ছিলোনা। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য। বিখ্যাত কারো জীবন সঙ্গী হওয়ার এই এক জ্বালা। কৃতিত্ব চাপা পড়ে যায়।
বিখ্যাত কারো জীবন সঙ্গী হওয়ার
পরমাণু বিজ্ঞানী ডঃ এম ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একটা উজ্জ্বল নক্ষত্র।
তার কৃতিত্ব অন্য কারো কৃতিত্বের নীচে চাপা পড়ে গেছে, সেটা কি মেনে নেওয়া সম্ভব?
আপনি না মানলেই কি সত্যটা
আপনি না মানলেই কি সত্যটা মিথ্যা হয়ে যাবে? আজকের যারা ছাত্র এবং বিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছে তাদের কয়জন উনার নাম জানেন জিগায়ে দেইখেন। অন্ধত্বেরও একটা সীমা আছে।
অন্ধত্বেরও একটা সীমা
একমত হতেই হল। সত্যই, অন্ধত্বেরও একটা সীমা থাকা উচিত।
আসলেই তাই।
আসলেই তাই।
একদম শুরুতে খেয়াল করুন,
একদম শুরুতে খেয়াল করুন, লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর জামাত। এটি জামাতা হবে। এরপর একলাইনে লিখলেন চতুর্থ আরেক লাইনে লিখলেন পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী, এই জিনিসগুলো ঠিক করে দিন।
গর্ববোধ হচ্ছে, প্রয়াত এই পরমাণু বিজ্ঞানী ছাত্রলীগ করতেন জেনে। উনার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ধন্যবাদ দাদা। প্রথমটা তো
ধন্যবাদ দাদা। প্রথমটা তো বুঝতেই পারছেন টাইপিং মিসটেক। আর চতুর্থ পঞ্চম ব্যাপারটা হয়েছে আসলে গত বছরের লেখাটা পোস্ট করেছি বলে। তাও ভুল হয়েছে। ঠিক করে দিচ্ছি। :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
আপনাকেও ধন্যবাদ
আপনাকেও ধন্যবাদ :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
আমরা করলেও শেখ পরিবারের
আমরা করলেও শেখ পরিবারের বর্তমান সদস্যরা করে না
এই ভদ্রলোক যত বড় গুণীজনই হোক
এই ভদ্রলোক যত বড় গুণীজনই হোক না কেন শেখ পরিবার ও তাদের অনুগতদের কাছে কিছুই না। তার সবচেয়ে বড় পরিচয় সে একজন বাঙালী কৃত্বিমান বিজ্ঞানী। আজকের দিনটির কথা শেখ হাসিনার মনে আছে কিনা সন্দেহ আছে।
মনে আছে বলেই বাংলাদেশ
মনে আছে বলেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অফিসিয়াল পেইজের মাধ্যমে জানিয়েছে
আজকের দিনটির কথা শেখ হাসিনার
এক লাইনেই অনেক কথা বলা হয়ে গেলো দুলাল ভাই। :ধইন্যাপাতা:
শ্রদ্ধা জানাই এমন একজন
শ্রদ্ধা জানাই এমন একজন অসাধারণ মানুষকে। যিনি ক্ষমতার কাছাকাছি থেকেও ছিলেন আমাদের মত ক্ষমতাহীন একজন সাধারণ মানুষ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ। :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
ধন্যবাদ….নতুন অনেক কিছুই
ধন্যবাদ….নতুন অনেক কিছুই জানলাম 🙂
ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন।
ভাল একটা পোস্ট দিয়েছেন।
ওয়াজেদ মিয়ার বড় কৃতিত্ব হল উনি আওয়ামী লীগের সভানেতৃর স্বামী হওয়ার পরও তিনি এই দলের রাজনৈতিক করমকান্ড থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পেরেছিলেন। তাই উনাকে স্যালুট!
বিশেষ ধন্যবাদ তথ্যগুলোর
বিশেষ ধন্যবাদ তথ্যগুলোর জন্যে। :থাম্বসআপ: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :বুখেআয়বাবুল: :salute: