সিগারেটে মাত্র দুটো টান দিয়েই কেশে উঠলো রথি।
– এই তোকে না কত্তোবার বলেছি এসব ছাইপাশ খাবিনা? কি মজা পাস এসব খেয়ে? এসব তো তোকে স্যুটও করেনা! দুটো টান দিতে না দিতেই খুকখুক করে কাশছিস! কোনো মানে হয় এসবের? যত্তোসব ফালতুমি! আর সিগ্রেট খাবি? বল আর খাবি?
ঝাঁঝিয়ে ওঠে একটা মেয়ে। মেয়েটার নাম ঋতু। অনর্গল কথা বলা তার অন্যতম প্রিয় শখ! আর তার শখ পূরণের অন্যতম উপাদান রথি! কেনোনা রথিই একমাত্র ব্যক্তি যে তার কোনো কথাতেই বিরক্ত হয়না, চুপচাপ শুনে যায় তার অহেতুক কথাবার্তা!
সিগারেটে মাত্র দুটো টান দিয়েই কেশে উঠলো রথি।
– এই তোকে না কত্তোবার বলেছি এসব ছাইপাশ খাবিনা? কি মজা পাস এসব খেয়ে? এসব তো তোকে স্যুটও করেনা! দুটো টান দিতে না দিতেই খুকখুক করে কাশছিস! কোনো মানে হয় এসবের? যত্তোসব ফালতুমি! আর সিগ্রেট খাবি? বল আর খাবি?
ঝাঁঝিয়ে ওঠে একটা মেয়ে। মেয়েটার নাম ঋতু। অনর্গল কথা বলা তার অন্যতম প্রিয় শখ! আর তার শখ পূরণের অন্যতম উপাদান রথি! কেনোনা রথিই একমাত্র ব্যক্তি যে তার কোনো কথাতেই বিরক্ত হয়না, চুপচাপ শুনে যায় তার অহেতুক কথাবার্তা!
– কি হল চুপ করে আছিস কেনো? বল সিগ্রেট খাবি আর? বলছিসনা কেনো? এই তুই কি কথা বলতে পারিসনা? বোবা নাকি তুই? নাকি মুখে গন্ধ? দাঁতব্রাশ করিসনি সকালে?
রথির মুখে মুচকি হাসি খেলা করছে। খোলাকাশের নিচে ক্যাম্পাসের সবুজ চত্বরে বসে ঋতুর বকবকানি শুনতে বেশ ভালোই লাগছে তার!
– এই খবরদার হাসবিনা! তোর ঐ বিটকেলে হাসি দেখার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই আমার। খা, আরো বেশি বেশি করে সিগ্রেট খা! আমি চললাম।।
উঠে দাঁড়ালো ঋতু। অভিমান ঝরছে তার দুচোখে! অকস্মাত ঋতুর হাত টেনে ধরলো রথি!
– কোথায় যাচ্ছিস?
– কোথায় আবার, ক্লাসে! আর কদিন পরে সেমিস্টার ফাইনাল, কোনো খবর রাখিস কি তুই?
– ১ মিনিট দাঁড়া। আমিও যাবো।
– যাবো মানে? কোথায় যাবি তুই! ক্লাস করবিনাতো আবার?
– হুম। কেনো ক্লাস করা কি অপরাধ?
– আর ইউ সিরিয়াস রথি?
– হ্যারে বাপ! চল ক্লাসে চল।।
সিগারেটটা ফেলে উঠে দাঁড়ালো রথি। ঋতু ভীষণ অবাক হচ্ছে। গত তিনমাসে রথি একটা ক্লাসও করেনি- ঋতু কোনোক্রমে প্রক্সিটক্সি দিয়ে ম্যানেজ করে নিয়েছে! কিন্তু আজ রথির কি হল হঠাত করে? জারুর ডালমে কুচ কালা হ্যাঁ!!!
___
– দোস্ত ক্যাফেতে চল। তোকে ট্রিট দিবো।
করিডোর দিয়ে হাঁটছে দুজনে। রথি আর ঋতু।
– কেনোরে? ক্লাস করলি এই খুশিতে?
– নাহ আরো ইন্টারেস্টিং ব্যাপার আছেরে। বৃষ্টি ফিরে এসেছে!
ঋতু ধাক্কার মত খায়! রথির রূপবদলের কারণ বৃষ্টির প্রত্যাবর্তন! এই বৃষ্টির কারণেই রথি হারিয়ে গিয়েছিলো অন্ধকার ভূবনে- আবার বৃষ্টির আগমনেই তাহলে আলোতে ফেরা!
– সরিরে দোস্ত। হাতে একদম সময় নেই। পরে ট্রিটটা নিবোরে!
গটমট করে চলে যায় ঋতু। নিজেকে আড়াল করার ব্যাকুল প্রচেষ্টা। তবে লুকাতে পারেনা নিজেকে, লুকানো যায়না কোনোকিছুই। যাবার সময় ঠিকই রথি দেখতে পায় ঋতুর চোখে চলে আসা অবাধ্য অশ্রূকণা। কিছু বলতে চেয়েও বলতে পারেনা সে, নিস্তব্ধতা কেড়ে নেয় সময়ের আলাপন।
বৃষ্টি ফিরে আসেনি। ফেরার কথাও না। ফিরবেওনা। ফেরার জন্য কেউ চলে যায়না। সবই জানে রথি; কিন্তু তারপরও একটু মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরে থাকে। ভালোবাসাতো এমনই!
ঋতুকে ভালোবাসার ক্ষমতা রথির নেই। কিন্তু মেয়েটা ক্রমশ: উন্মত্ত হয়ে পড়ছে রথিকে পাবার নেশায়। এই নেশার নাম ভালোবাসা। এই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকা মানুষের চোখে জগতটা বড়ই রঙ্গিন লাগে- কিন্তু নেশা কেটেই গেলে সেই চোখে ভর করে একরাশ শূন্যতা! ভুলক্রমেও যদি কেউ একবার নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে তবে তার আর রক্ষা নেই; যন্ত্রণায় কাটাতে হবে বাকিটা জীবন- অসহ্য যন্ত্রণা!
রথি আর নতুন করে কোনো নেশা করতে চায়না। ঋতুকেও কষ্টে দেখতে চায়না। তারচেয়ে একটু মিথ্যাই বরং ভালো- একটু ভুলে মিশে যাওয়া মায়াটুকুই ভালো। সুখে থাকুক তারা- বৃষ্টি, ঋতু, এবং তাদের ভূবন।
কিন্তু রথি???
পকেটে তিনটা মার্লবোরো! আর কি লাগে! ফেরারী জীবনে সুখের জন্য এতোটুকুই ফাটাফাটি!!!
ইন্টারেস্টিং। কোন সত্য ঘটনা
ইন্টারেস্টিং। কোন সত্য ঘটনা অবলম্বনে কি লিখা??
আপনার চমৎকার উপস্থাপনা আমাকে তেমন ভাবতে বাধ্য করেছে।
গল্প মানেইতো সত্য আর কল্পনার
🙂 গল্প মানেইতো সত্য আর কল্পনার সংমিশ্রণ। হুম কিছুটা সত্য, আর বাকিটা কল্পনা। >ডার্কম্যান ভাই
বৃষ্টি ফিরে আসেনি। ফেরার কথাও
বৃষ্টি ফিরে আসেনি। ফেরার কথাও না। ফিরবেওনা। ফেরার জন্য কেউ চলে যায়না। সবই জানে রথি; কিন্তু তারপরও একটু মিথ্যাকে আঁকড়ে ধরে থাকে। ভালোবাসাতো এমনই!—————– আমারও মনে হচ্ছে
আমারও কিন্তু তাই মনে হয় আকাশ
আমারও কিন্তু তাই মনে হয় আকাশ ভাই 😉 😀
(No subject)
🙂
চমৎকার লাগল গল্পটা।
চমৎকার লাগল গল্পটা। :থাম্বসআপ:
ধন্যবাদ চন্দ্র ভাই
🙂 ধন্যবাদ চন্দ্র ভাই