ক্ষমতার পালাবদল ঘটে, ঘটবেই। গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে যে কোন দলই ক্ষমতায় আসতে পারে এবং সেটা স্বাভাবিক ও অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। ভয়টা হল অন্য জায়গায়! যদি স্বাধীনতা বিরুধীরা আরেকবার জয়ী হতে পারে তবে এই ইতিহাস বিকৃতিকারীরা মুক্তিযুদ্ধের কোন ডকুমেন্টই তারা আর অবশিষ্ট রাখবে না। কেননা অতীতেও তারা এরকম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অনেক মুল্যবান আলামত ও দলিল-দস্তাবেজ তারা নষ্ট করেছে।
ক্ষমতার পালাবদল ঘটে, ঘটবেই। গনতান্ত্রিক রাজনীতিতে যে কোন দলই ক্ষমতায় আসতে পারে এবং সেটা স্বাভাবিক ও অবশ্যই সমর্থনযোগ্য। ভয়টা হল অন্য জায়গায়! যদি স্বাধীনতা বিরুধীরা আরেকবার জয়ী হতে পারে তবে এই ইতিহাস বিকৃতিকারীরা মুক্তিযুদ্ধের কোন ডকুমেন্টই তারা আর অবশিষ্ট রাখবে না। কেননা অতীতেও তারা এরকম করেছে। মুক্তিযুদ্ধের অনেক মুল্যবান আলামত ও দলিল-দস্তাবেজ তারা নষ্ট করেছে।
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, জাতীয় জাদুঘর, বাংলা একাডেমি ও আদালতে বর্তমানে যে সব ডকুমেন্ট বা দলিল-দস্তাবেজ রয়েছে তাও পুরোপুরি সংরক্ষিত অবস্থায় নেই।যে কোন দুর্ঘটনা বা অগ্নি সংযোগে হারিয়ে যেতে পারে মুল্যবান দলিল সমুহ। সরকার ও এসব দলিল পত্র সংরক্ষনে এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। কালের কন্ঠ পত্রিকার একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়,
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত দুই লাখ ৩৮ হাজার পৃষ্ঠার অমূল্য দলিল অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হয়ে গেছে। জাতীয় জাদুঘরের বদ্ধ ঘরে কোনো রকমে অবশিষ্ট থাকা এক হাজার ৫৫১টি ফাইলের প্রায় এক লাখ ১২ হাজার পৃষ্ঠার দলিলকে অবশেষে মুক্ত করে ডিজিটালাইজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্বাধীনতাযুদ্ধের ইতিহাস লিখন ও মুদ্রণ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান সরকারের শাসনামলে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্পের আওতায় ১৫ খণ্ডে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের দলিলপত্র’ এবং এক খণ্ডে অ্যালবাম প্রকাশ করে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ১৯৮৮ সালের জুন মাসে প্রকল্প বিলুপ্ত করা হয়। প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত দলিল-দস্তাবেজ বস্তাবন্দি করে রাখা হয় চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের (ডিএফপি) গ্যারেজে। অযত্ন-অবহেলা এবং ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার কারণে মহামূল্যবান অনেক দলিল নষ্ট হয়ে যায়। সুত্রমতে, দুই লাখ ৩৮ হাজার পৃষ্ঠার দলিলের মধ্যে জাদুঘরে সংগৃহীত অবশিষ্ট এক হাজার ৫৫১টি ফাইলে প্রায় এক লাখ ১২ হাজার পৃষ্ঠার দলিল সংরক্ষিত থাকলেও সেগুলোও খুব ভালো অবস্থায় নেই!
বিস্তারিত দেখুন… http://www.kalerkantho.com/print-edition/last-page/2014/03/27/66006 । সরকারের তরফ থেকে আর্কাইভ তৈরী করে এসব মুল্যবান দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষনের কথা একবার শোনা গেলেও পরবর্তীতে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়ছে কিনা তা জানা যায় নি।
দলিল হারিয়ে যাবার বিষয়ে অতীতের লজ্জাজনক ইতিহাস ও ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মুল্যবান দলিল-দস্তাবেজ সমুহ এই মুহুর্তে সংরক্ষন করা অত্যন্ত জরুরী।
বেশ কয়েক বছর আগে(দিন তারিখ মনে নেই)সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক সিলেটের ডাক’ পত্রিকার একটি কলামে পড়েছিলাম, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আগে-পরে বিভিন্ন সেনা অফিসারদের ভুমিকা ও স্বাধীনতা পরবর্তী সেনা অফিসারদের বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা বিস্তারিত বিবরন সহ মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম এ জি ওসমানী একটি বই লিখেছিলেন। সেই বইটি তিনি মৃত্যুর পর প্রকাশ করার কথা ছিল। পরে কি ভেবে তিনি এটা মৃত্যুর আগেই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সবধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেন। এই ব্যাপারে বন্ধুমহলের বেশ কয়েকজনের সাথে তিনি আলাপ ও করেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তিনি বইটি প্রকাশের আগেই মারা যান। পত্রিকাটির ভাষ্যমতে, তিনি মারা যাবার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জেনারেল এরশাদ উনাকে দেখতে উনার বাসায় আসেন এবং পরিদর্শন শেষে যাবার সময় অপ্রকাশিত বইটির পান্ডুলিপিটি নিয়ে যান। সেই থেকে বইটির পান্ডুলিপির আর কোন হদিস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। লেখকের ধারনা, পান্ডুলিপিটি পেলে শেষদিকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ওসমানীর দুরত্বের কারন ও সেই সময়কার সেনা অফিসারদের নানা কর্মকান্ড ও ষড়যন্ত্রের কথা হয়তো জানা যেত। কিন্তু পান্ডুলিপিটি না পাওয়ায় এখন আর সেটা সম্ভব নয়”।
শুধু ওসমানী নয়, এরকম অনেকের লিখা বিভিন্ন বইয়ের পান্ডুলিপি, সংগৃহীত পেপার কাটিং, দেশের বিভিন্ন স্থানে রক্ষিত নানা রকম আলামত বা দলিল-দস্তাবেজ সংরক্ষনের অভাবে হারিয়ে গেছে, নষ্ট হয়ে গেছে অথবা কেউ ইচ্ছা করেও নষ্ট করে ফেলেছে।
বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর তদন্তকারী দল দেশের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে নতুনভাবে কিছু আলামত সংগ্রহ করেছেন। তাছাড়া অনেক জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া জবানবন্দিও তারা রেকর্ড করেছেন। অপরাধ প্রমানের স্বার্থে নতুন পুরাতন এসব ডকুমেন্ট ও দলিল-দস্তাবেজ তদন্ত কর্মকর্তা, আইনজীবি ও আদালতের হাতে রয়েছে। এসব গুরুত্বপুর্ন দলিলগুলি অবশ্যই সংরক্ষন করা প্রয়োজন। নয়তো পট পরিবর্তন হলে এসব ডকুমেন্ট যে হারিয়ে যাবে না বা নষ্ট করা হবে না তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
শিল্পি নচিকেতা তার এক গানের একটি লাইনে বলেছেন, “রাম যদি হেরে যেত – রামায়ন লিখা হত রাবণ দেবতা হত সেখানে….”
হ্যা, ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ যখন জয়লাভ করে তখন ইসলামের প্রকৃত ইতিহাসকে বিকৃত করে সে তার ইচ্ছা অনুযায়ী একটি ভ্রান্ত ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্টা করে এবং সেই থেকে পবিত্র ইসলাম ধর্মে অনেক মত, গোত্র ও দলের সৃষ্টি হয় যা আজ অবধি বিদ্যমান। যদি ইয়াজিদ হেরে যেত তবে, ধর্মীয় এত দল-মতের সৃষ্টি হত না।
সর্বক্ষেত্রে ইতিহাস জয়ীদেরই গান গায়, বিজয়ীদেরই কথা বলে, নির্মম হলেও এটাই সত্য!
আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বড়ই করুন ও তাৎপর্যপুর্ন। এত কম দিনে এত প্রানের বিনিময়ে পৃথিবীর আর কোন দেশ স্বাধীনতা অর্জন করেনি।
মুক্তিযুদ্ধের অস্বীকৃতিকারীদের দ্বারা আমাদের এই স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাসকে নানাভাবে বিকৃত করা হয়েছে এবং এই প্রচেষ্টা এখন ও অব্যাহত রয়েছে। ইতিহাস বিকৃতির ফলে অনেক নায়ক হয়েছেন খলনায়ক আবার অনেক খলনায়ক ও সেজেছেন নায়ক! শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য অনেক হয়েছেন ঘৃনিত আবার ঘৃনিতদের করা হয়েছে শ্রদ্ধার পাত্র!
কিন্তু আর না! আমরা আর কোন ডকুমেন্ট হারাতে চাই না। আমরা আর কোন ইতিহাস বিকৃতি চাই না। আমাদের বর্তমান ইতিহাসের সঠিক অংশের যতটুকুই অবশিষ্ট আছে ততটুকুই সংরক্ষিত করা হবে এটাই প্রত্যাশা, এটাই একমাত্র দাবী ।
জয় বাংলা
খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি
খুবই কষ্ট লাগে যখন দেখি আমাদের প্রানের প্রিয়, আমাদের জাতী সত্ত্বার বাহক,আমাদের অস্তিত্বের আধার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।স্বাধীনতার বিকৃত অর্থ দাঁড় করাচ্ছে.…কেউ ঠিকই বলেছিল,”স্বাধীন হ-ওয়ার চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা দূরহ।”
কোন বিশেষ মহলের প্রতি নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের ইতিহাসকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।
Hmm
Hmm
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে
গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তুলে ধরেছেন। এই বিষয়ে সরকার দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখবে বলে দাবী জোরালো করা উচিৎ। এছাড়া ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আর্কাইভ গড়ে তোলা দরকার। কারন সরকারী আলামত নষ্ট করে ফেলে সেটা দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দেওয়ার চান্স থেকে যায়।
পাঠক সবাইকে বলছি, আপনারা সবাই
পাঠক সবাইকে বলছি, আপনারা সবাই এই ব্যাপারে সোচ্চার হোন ।বিষয়টি নিয়ে একটি ব্লগ পোস্ট লিখে, একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাস লিখে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের ইমেইল ঠিকানায় একটি ইমেইল পাঠিয়ে, কপি পেস্ট কিংবা এই পোস্টের লিংক শেয়ার করে যে কোন উপায়ে সরকারের নজরে আনার বিনীত অনুরোধ জানাইলাম ।
লগে আচি।
লগে আচি।
খুব ই দরকারী ইস্যু ।।
খুব ই দরকারী ইস্যু ।। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই বিষয়টি সামনে আনার জন্য ।।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় ।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় । এরকম একটি বিষয় তুলে আনার জন্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ভাল উদ্যোগ
ভাল উদ্যোগ
সরকারী উদ্দ্যোগের দিকে মুখ
সরকারী উদ্দ্যোগের দিকে মুখ চেয়ে থাকলে হবে না। যদি অনেক গাইগুইয়ের পর তার শুরুও করে, শেষ করতে দশ বছর লাগবে। ততদিনে তথ্য উপাত্তই অর্ধেক লোপাট হয়ে যাবে। আমরা ব্লগাররা মিলেই কি একটি অনলাইন আর্কাইভ গড়ে তুলতে পারি না???
[আমরা ব্লগাররা মিলেই কি একটি
[আমরা ব্লগাররা মিলেই কি একটি অনলাইন আর্কাইভ গড়ে তুলতে পারি না???]
কালবৈশাখী ভাই, এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই ।হয়তো পারতেও পারি কিন্তু কিভাবে পারবো সেই প্রশ্নটার উত্তর আপনার কাছ থেকে বিশদভাবে জানতে চাই ।
শাহীন ভাই, এই লিঙ্কে একটু
শাহীন ভাই, এই লিঙ্কে একটু দেখতে পারেন। https://www.facebook.com/groups/translatefor1971/ বেশ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আছে গ্রুপের ফাইল অংশে।
রোবোস্যাপিয়েন্স ভাই, লিংকে
রোবোস্যাপিয়েন্স ভাই, লিংকে ঢুকেছি বাট মোবাইল ইউজারের কারনে গ্রুপটির আদ্যপান্ত জানা হয় নাই ।আপনি একটু কষ্ট করে প্রাসঙ্গিক চুম্বক অংশ এখানে তুলে ধরলে কৃতজ্ঞ থাকবো ।ধন্যবাদ ।