আচ্ছা , আপনাকে যদি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন বিরোধিতাকারীকে , যে কিনা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মানুষ খুন করেছে , শাস্তি দিতে বলা হয় তাহলে আপনি কী শাস্তি দিবেন? মনে করেন , গু আজম , সাঈদী অথবা সাকা চৌধুরীকে তাদের অপরাধের শাস্তি হিসেবে জনতার হাতে তুলে দিল আদালত। তাহলে জনগণই বা কী করবে? আমার মনে প্রত্যেকেই চাইবে যত নিষ্ঠুর ভাবে ওদের মারা যায় ততোই ভালো।
আচ্ছা , আপনাকে যদি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের কোন বিরোধিতাকারীকে , যে কিনা স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েকজন মানুষ খুন করেছে , শাস্তি দিতে বলা হয় তাহলে আপনি কী শাস্তি দিবেন? মনে করেন , গু আজম , সাঈদী অথবা সাকা চৌধুরীকে তাদের অপরাধের শাস্তি হিসেবে জনতার হাতে তুলে দিল আদালত। তাহলে জনগণই বা কী করবে? আমার মনে প্রত্যেকেই চাইবে যত নিষ্ঠুর ভাবে ওদের মারা যায় ততোই ভালো।
ঘটনা এখনকার নয়। সময় ১৯৭১ সাল , নভেম্বর মাসের কোন এক বিকেল। গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল গ্রামের কোন এক বাড়ি। বাড়ির উঠোন ভরে গেছে এলাকার মানুষে। তাদের সবাই দেখতে এসেছে দুজনকে। তারা বাপ বেটা। দুজনকে একসাথে বেধে রাখা হয়েছে। ছেলেটার বয়স আর কতো হবে? বাইশ তেইশ হবে বোধয়। একটু পরে সকলের ভীর ঠেলে প্রবেশ করলেন এক লোক। সুঠাম দেহের অধিকারী। দাড়ি গোফে মুখ ছেয়ে আছে।
এলাকার সবাই তাকে চেনে। সবাই সমীহ করে তাকে। যুদ্ধে যাওয়ার পরে হেমায়েত বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। তখন থেকে সবার সমীহ যেন আরো বেড়ে গেছে। তিনি এসে বাপ বেটাকে টেনে নিয়ে গেলেন। তাদের জন্য রান্না করা হয়েছে। পাশের গ্রাম থেকে আনা মুরগির মাংস সাথে ডাল। বাড়ির মহিলারা তাদের সাথে অতিথির মতো ব্যবহার করলেন। কিন্তু কীসের কি? তাতেও বাপ বেটার মুখে ভাত রোচল না। মুখে ভাত পুরলেন কয়েক বার। থালার ভাত থালায়ই রইল।
বাপ বেটাকে নিয়ে নৌকায় উঠলেন মুক্তিযোদ্ধারা। উদ্দেশ্য …… তাদের যে কী শাস্তি দেয়া হবে তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নৌকায় বসে তরুণ যোদ্ধা একজন কসিয়ে থাপ্পড় মারল বাপ বেটাকে। ওদের অপরাধ হচ্ছে উপজেলার পয়সা এলাকায় কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে এরা পাকিদের হাতে ধরিয়ে দেয়। পুরিয়েছে অনেক হিন্দুদের বাড়িঘর …. তাই কয়েrকজন মুক্তি বাপবেটাকে ধরে আনে। ছেলেটাকে মারবে কিনা এ নিয়ে প্রথমে দ্বিধা ছিল। কিন্তু খবর নিয়ে দেখা গেছে পিতা পুত্র দুজনেই সমান অপরাধী , তাই ক্ষমা করার প্রশ্নই আসেনা।
তাদের নৌকা ভেড়ানো হলো নির্জন এক বাড়িতে …সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। নামানো হলো দুজনকেই। বাড়িতে ওঠে কী যেন মনে করে চুলা জ্বালালো মুক্তিযোদ্ধাদের একজন। বাকি সবাই বসে রইল। মনে পড়ে গেল তাদের সহযোদ্ধাদের কথা যারা প্রাণ হারিয়েছে এদের জন্য। কিছুক্ষণ পড়ে চুলায় পোড়ানো লাল একটা রড নিয়ে আসলো একজন। সেটা ছেলেটার এক কানের মধ্য দিয়ে ঠেসে প্রবেশ করানো হলো। মাথার অন্য পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেল। চিতকার করে উঠলো ছেলেটা। হাত পা ঠেসে ধরেছিল অন্যান্যরা। আস্তে আস্তে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরলো। আর ওর বাপ? প্রথমে ওর বাপ ঐ অবস্থা দেখে অজ্ঞান হয়ে পরে। পরে তাকেও একইভাবে মারা হয়।
কী আপনাদের শুনে খারাপ লাগলো। যাদের খারাপ লাগলো তাদের আমি চুদির ভাই ছাড়া কিছুই কইতাম না। ক্যান আপনারা জানেন না , পাকিরা আমাদের মা বোনদের উপর কেমন অত্যাচার করেছিল। তাদের শরীরে শাড়ি রাখতে দেয়নি। কারণ যদি তারা পরনের শাড়ি গলায় পেচিয়ে আত্মহত্যা করে! আর মুক্তিযোদ্ধাদের উপর যে অত্যাচার করেছে তাও অবর্ণনীয়। তাহলে তাদের সহযোগীদের উপর আমাদের মায়া জমে কেন? আর যারা বলে একাত্তরে যুদ্ধ হয়নি কিংবা শহীদ হয়েছে তিন লাখ তারা আসলে হতভাগা। তারা যে কতো কিছু থেকে বঞ্চিত হয় সে কথা নাহয় নাই বললাম। শুধু বলি ওরা এই দেশটাকে মায়ের মতো ভালোবাসতে পারবে না। ওরা বিজয় দিবসের আনন্দ মিছিলে দুহাত তুলে স্লোগান দিতে পারবে না। ওরা বাংলার মানুষের কিছু জয়ে আনন্দে উদ্ভাসিত হতে পারবেনা। ওরা প্রাণ থেকে গাইতে পারবে না আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। ওরা বুকের গভীর থেকে নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে পারবেনা জয় বাংলা। ওরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালীকে জাতির পিতা বলতে পারবে না। ওরা শাহবাগ চত্বরের অংশ হতে পারেনি। এগুলো কি কম?
এই আগুনটার যত্ন নিয়েন –
এই আগুনটার যত্ন নিয়েন – ভবিষ্যতে কাজে দেবে ।
যাহোক আপনার কাহিনীর শৈল্পিক বিশ্লেষণে যাবনা কেবল একটা কথাই বলবো, বারবার দ্রোহে জ্বলে উঠি আমি নতুন করে গড়বো বলে …
ধন্যবাদ ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
ঠিকই কইছেন ভাই
ঠিকই কইছেন ভাই
হক কথা
হক কথা
ফাটাইয়া দিছেন দেখি ।
ফাটাইয়া দিছেন দেখি ।
(No subject)
😛 :'(
দ্রোহের আগুনে জ্বলছ তুমি
এই
দ্রোহের আগুনে জ্বলছ তুমি
এই আগুন তো নিভবার নয়,
এই আগুনে জ্বলে পুড়ে যাক
আছে যত রাজাকার আর অনাচার।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ। 😐