“গ্লামার”
পরিচালকঃ মহুয়া চক্রবর্তী (ভারত)
আমি এই প্রথম কোন বিদেশী সিনেমার সেটে। ভাবতেই অন্যরকম লাগছে।
আমরা যারা বাংলাদেশে কাজ করি তাদের ধারনা কলকাতার সিনেমা আমাদের থেকে অনেক বেশি পরিপাটি। কিন্তু সরাসরি গ্লামার সিনেমার সেটে গিয়ে আমার অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম।
এখানে কাজের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমেই আমার নজরে পড়লো তা হল সেটের প্রতিটি মানুষই খুব ফুরফুরে মেজাজে থাকে। কেউ কেউকে কাজের নির্দেশ দেয় না। যার যার কাজ সে করছে। একান্তই তার নিজের মত করে।
প্রথমেই রুহি আপু আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন সবার সাথে। পরিচয় পর্বেই আমি মুগ্ধ
রুহি আপুঃ আনন্দ কুটুম, বাংলাদেশের একজন সহকারী পরিচালক।
“গ্লামার”
পরিচালকঃ মহুয়া চক্রবর্তী (ভারত)
আমি এই প্রথম কোন বিদেশী সিনেমার সেটে। ভাবতেই অন্যরকম লাগছে।
আমরা যারা বাংলাদেশে কাজ করি তাদের ধারনা কলকাতার সিনেমা আমাদের থেকে অনেক বেশি পরিপাটি। কিন্তু সরাসরি গ্লামার সিনেমার সেটে গিয়ে আমার অনুভূতিটা সত্যিই অন্যরকম।
এখানে কাজের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি প্রথমেই আমার নজরে পড়লো তা হল সেটের প্রতিটি মানুষই খুব ফুরফুরে মেজাজে থাকে। কেউ কেউকে কাজের নির্দেশ দেয় না। যার যার কাজ সে করছে। একান্তই তার নিজের মত করে।
প্রথমেই রুহি আপু আমাকে পরিচয় করিয়ে দিলেন সবার সাথে। পরিচয় পর্বেই আমি মুগ্ধ
রুহি আপুঃ আনন্দ কুটুম, বাংলাদেশের একজন সহকারী পরিচালক।
কেউ হ্যান্ড সেক করলো, কেই হাই/ হ্যালো বলল, কেউ বা আবার হাত জোড় করে নমস্কার জানালো। এর পর মহুয়া দিদি এবং রুহি আপুকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালাম।
পরিচয় হল মহুয়া দিদির সাথে (পরিচালক), প্রতিক, রজত আরও অনেকের সাথে। সবাই খুব বিনয়ের সাথে কথা বলল। আর একটি বিষয় লক্ষ করলাম বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকই অসাধারন ইমোশনাল।
মহুয়া দিদির সাথে কথা হল খুব কম সময়। এর মধ্যেই বুঝে গেলাম কেন তিনি তার সিনেমার নাইকা হিসেবে রুহি আপুকে বেছে নিলেন।
রজত তো আমাদের তৃষা আর ফারুকি বলতে পাগল। রজত যে পরিমান তৃষা আপুর ভক্ত এমন ভক্ত হয়তো বাংলাদেশেও খুজে পাওয়া যাবেনা তৃষা আপুর জন্য।
মহুয়া দিদি খুব অল্প কথায় বুঝিয়ে দিলেন “বাংলা সিনেমার বিভাজন সম্ভব না। দুই বাংলার সিনেমা এক এবং অভিন্ন। আমরা সবাই চাই ঢালিউড এবং টলিউড একসাথে কাজ করুক।”
এদের লাইট, মেকাপ এবং ফ্রেমিং সেন্স খুব ভালো। সব থেকে বড় কথা এদের ইগো সমস্যা নেই। আমরা যেমন কাজের থেকে নিজেকে প্রকাশ করাটা বেশি পছন্দ করি, এরা তেমনটি না। হয়তো এই কারনেই এরা আমাদের থেকে উন্নত।
কথা হল এখানের চলচ্চিত্র শিক্ষা, কাজের ধরন, বেতন/ সম্মানি, শিল্পি ও কলাকুশলীদের স্বার্থ নিয়ে।
খুব অল্প সময়ে জানতে চেষ্টা করলাম কি করে এখানে নিজেকে চলচ্চিত্রের অংশ করে তুলতে পারি। সবাই যেভাবে সহযোগিতা পরায়ণ মনোভাব প্রকাশ করলেন তাতে নিশ্চিত করে বলতে পারি এখানে ক্যারির তৈরি করাটা আমার জন্য সামান্য কষ্টকর হলেও অসম্ভব না।
তৃষা নাকি তিশা?
তৃষা নাকি তিশা?
হুম
হুম