”২০১৪ সালের এইচএসসি ব্যাচটি হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার ইতিহাসে একটি কলংকিত ব্যাচ।”
অনেকেই দেখলাম এই কথাটি বলে ফেবুর হোমপেজ গরম করে ফেলতেছে।
…আরে ভাই থামেন। আপনার নীতিবাক্য পকেটে ভরেন। হুদাই পোলাপাইনগুলারে আর মানসিক অশান্তিতে রাইখেন না। ওদের জায়গায় আপনি থাকলে আর মুড়ির ঠোঙ্গার মত প্রশ্ন পাইতে দেখলে আপনিও মুখে আঙ্গুল চুষতেন না।
…মিষ্টি খোলা থাকলে মাছি বসবেই। কোনা ছাত্র-ছাত্রীর সাধ্য নাই ‘বিজি প্রেস’ থেকে প্রশ্ন আনা, তাই বলাই যায় যে আসল ভূত সর্ষের মধ্যেই।
”২০১৪ সালের এইচএসসি ব্যাচটি হচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থার ইতিহাসে একটি কলংকিত ব্যাচ।”
অনেকেই দেখলাম এই কথাটি বলে ফেবুর হোমপেজ গরম করে ফেলতেছে।
…আরে ভাই থামেন। আপনার নীতিবাক্য পকেটে ভরেন। হুদাই পোলাপাইনগুলারে আর মানসিক অশান্তিতে রাইখেন না। ওদের জায়গায় আপনি থাকলে আর মুড়ির ঠোঙ্গার মত প্রশ্ন পাইতে দেখলে আপনিও মুখে আঙ্গুল চুষতেন না।
…মিষ্টি খোলা থাকলে মাছি বসবেই। কোনা ছাত্র-ছাত্রীর সাধ্য নাই ‘বিজি প্রেস’ থেকে প্রশ্ন আনা, তাই বলাই যায় যে আসল ভূত সর্ষের মধ্যেই।
সমস্যাটা হচ্ছে আমদের পুরো শিক্ষা ব্যাবস্থায়। আর একটি দেশের পুরো সিস্টেমেই যখন সমস্যা থাকে তখন তা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া স্বভাবতই কষ্টসাধ্য।
‘Quality is more important than Quantity’
ভুড়ি ভুড়ি স্বর্ণের এ+ পাওয়ার চেয়ে শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি জরুরী।
…হুম পাওয়ায় দিলেন হাজার হাজার এ+ কিন্তু লাভটা কি?
হ্যাঁ পারবেন খুব বড় করে মিডিয়া কভারেজ করতে, সবাই V sign দেখিয়ে কলেজ প্রাঙ্গনে ছবি তুলতে, ‘দেশে শিক্ষা ব্যাবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে’, ‘মেধাবীদের #বাম্পার_ফলন হয়েছে’ এইসব লিখে পরেরদিন পত্রিকায় বড় বড় হেডিং দিতে।
‘এই সাফল্য আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফল’ এই বলে বোর্ডের বড় বড় কর্তা ব্যাক্তিরা মুল্যবান মতামত দিতে পারবেন।
আবার হয়ত এমনি এক কলেজের প্রিনসিপাল #গর্বে_গর্ভবতী হয়ে পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিবেন যার কলেজেরই শত শত ছাত্র-ছাত্রী প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দিছে।
এভাবে টিভি-পত্রিকার নাটক চলল কতদিন, মিষ্টির বন্যায় ভেসে গেল দেশ, মেধাবী সংবর্ধনার রব উঠে গেল।
কিন্তু তারপর…
পারবেন তাদের সবাইকে ভাল ভার্সিটিতে পড়ার সুযোগ নিশ্চিত করতে, ভাল চাকুরীর ব্যাবস্থা করতে?
দেখা যাবে এই মেধাবীদের মধ্যেই কেউ কেউ কোন ভার্সিটিতে চান্স পাবে না। দশ-বার বছর পড়াশুনা করার পরে এ+ পেয়েও যখন কেউ ভার্সিটিতে ভর্তির জন্য মেধা যাচাইয়ের পরীক্ষা দিয়ে ব্যার্থ হয় তখন তার কয়েক মাস আগের এ+ পাওয়া মেধাটা কোথায় যায়? নাকি সত্যিকার অর্থে সে মেধাবী না? আর যদি আসলেই সে মেধাবী না হয় তাহলে A+ পেল কীভাবে?
এই একটা প্রশ্ন থেকেই এইচএসসি/এসএসসি পরিক্ষাগুলোর ত্রুটি সম্পর্কে আশা করি ধারনা করা যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলেই অনেক টাকা ছাপিয়ে সবার হাতে দিতে পারে কিন্তু যথাযথ রিজার্ভ ছাড়া এটা করলে লাভ তো হবেই না বরং Inflation হবে এবং আর্থিক ব্যাবস্থা ভেঙ্গে যাবে।
তদ্রূপ উপযুক্ত ক্ষেত্র তৈরী না করে আর গুনগত মান বৃদ্ধি না করে এভাবে ভাল রেজাল্ট করিয়ে শুধু শিক্ষিত বেকারের সংখাই বাড়ানো যায় আর তাদেরকে দেশের বোঝা বানানো হয়!
এ+ পাওয়ার পর যেই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সংবর্ধনা দিয়েছিল তাদের কাছে চাকুরীর জন্য গেলেই হয়ত তখন আগে বলবে ‘কোন ভার্সিটি?’, যেই কলেজের প্রিনসিপাল ‘আমার ছাত্র’ বলে গর্ব করতে তার কলেজে শিক্ষকতার জন্য গেলেই হয়ত আগে বলবে ঢাকা/জাহাঙ্গীরনগর অথবা অন্য পাবলিক ভার্সিটির ছাত্র ছাড়া নিবে না।
ছোটবেলায় শুনতাম আগে কেউ ফার্স্ট ক্লাস পেলে তাকে নিয়ে দশ গ্রামের মানুষ মাতামাতি করত এবং আসলেই ওই সময় যারা ভাল পড়াশুনা করতো তার ভাল জায়গায়ই যেত।
…তখন মাত্র ৬০ নাম্বার পেয়ে ফার্স্ট ক্লাস হয়ে দেশের বড় পদে চাকুরী পেতো তাহলে এখন কেন ৮০ মার্কস অর্থাৎ এ+ পেয়েও সবাই চাকুরী পাওয়া তো দূরের কথা উচ্চ শিক্ষার সুযোগই পায় না?
কয়দিন আগে এলাকার এক মেয়ে JSC তে এ+ পাইছে অথচ ওই মেয়ে অংকের সুত্রও ঠিকমত পারে না। আরেক এইচএসসি পরীক্ষার্থি ছোট ভাই ইংরেজী পরীক্ষার পর বলল ৯০ পাবে তৎক্ষনাত একটা গ্রামাটিকাল প্রশ্ন জিজ্ঞাস করার পর দেখলাম ওইটা সম্পর্কে ওর বিন্দুমাত্র ধারনা নাই। আর এই টাইপের স্টুডেন্টদের জন্যই অনেক সত্যিকার মেধাবীর দাম নাই কারন কাগজের ভাষায় সবাই এ+ কিন্তু ভিতরের জিনিস বুঝা যায় না।
আর এরাই হয়ত সার্টিফিকেটের ভাষায় এ+ পেয়েও কোথাও চান্স পাবে না আর দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়বে #ব্যাতিক্রমভাবে হয়ত আবার এদের মধ্যেই অনেকে রাষ্ট্রযন্ত্র চালাবে আর পুরো ব্যাবস্থাকে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
যাই হোক, হয়ত বরাবরের ন্যায় এবারও হাজার হাজার A+ এর ছড়াছড়ি হবে, দেখা যাবে হাস্যোজ্জ্বল মুখ, কয়দিন পর কেউ চান্স পেয়ে খুশী হবে, কেউ না পেয়ে ‘আমিও তো এ+ পাইছিলাম, তাহলে আমি কেন চান্স পেলাম না’ এই চিন্তায় বিভোর হয়ে হতশার গ্লানি বহন করবে।
………
………
এতকিছুর পরেও আমরা হতাশাবাদীদের দলে নয়, আশায় বুক বাধি। কারন আমরা স্বপ্ন দেখি…
♥ আমরাই পারবো!
♥ আধার কাটিয়ে দেশ এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির দিকে!
বাংলাদেশে বর্তমানের শিক্ষা
বাংলাদেশে বর্তমানের শিক্ষা পদ্ধতি কি অন্য দেশগুলোতে বাস্তবায়িত হচ্ছে না? তারা কি ব্যর্থ? বরং পুর্বের শিক্ষা পদ্ধতি অনেক ত্রুটিযুক্ত ছিল।
প্রুচুর পাশ দিছে আহা কি ভাল
প্রুচুর পাশ দিছে আহা কি ভাল
লেখকের সাথে একশত ভাগ সহমত
লেখকের সাথে একশত ভাগ সহমত পোষণ করলাম।
লেখাপড়াকে আমি সার্টিফিকেটের
লেখাপড়াকে আমি সার্টিফিকেটের মানদণ্ডে পরিমাপ করি না । সুতরাং কে এ প্লাস পেলো আর কে পেলনা তারচে বড় কথা সকল ছেলে মেয়ে সাম্যের ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছিল কিনা ? অবস্থাদৃষ্টে যা মনে হচ্ছে আমরা প্রতিবছর হাজারে হাজারে গোল্ডেন এ প্লাস উৎপাদন করছি কিন্তু মানবসম্পদ সৃষ্টি করতে পারছি না । এভাবে কোন জাতির মেরুদণ্ড শক্ত হতে পারে না ।
সহমত রাহাত ভাইয়ের সাথে।
সহমত রাহাত ভাইয়ের সাথে।
সবচেয়ে বড় কথা দেশ হচ্ছে একটা,
সবচেয়ে বড় কথা দেশ হচ্ছে একটা, কিন্তু শিক্ষা পদ্ধতি কত ধরনের যে আছে! পুরাই একটা আবাল জাতি আমরা।