মৃত্যুর আগে লোকটার বয়েস ছিল সাড়ে বাহান্ন
বাহান্নটা বছর মানে বাহান্নটা বৃষ্টির দিন, বাহান্নটা গ্রীষ্ম আর ততগুলোই শীত।
লোকটা সিজনাল ফল খেয়েই ভাবতো ঋতুগুলো ভালো গেছে
সিজনাল পোশাকে বেশ মানিয়ে যেত। মাথার ফ্যানটা ঘুরলে কিংবা উপরে ছাতাটা মেলতে পারলেই বলতো ভালোই আছি!
লোকটা বেমালুম ভুলে যেত শরৎ বসন্তের কথা।
একটা দুটা ফুল কিংবা একটা দুইটা পাখির অনুপস্থিতির কথা টেরই পেত না, টের পেত বাজারে সবজির সল্পতা হেতু দামটা একটু চড়া।
প্রতি বৈশাখ এলে লোকটা বয়সের ঘড়ে একটা এক যোগ করে নিত, তেমনি একেক করে একুশ এলে লোকটা টের পেলো তার কোথায় যেন কিসের ক্ষত!
মৃত্যুর আগে লোকটার বয়েস ছিল সাড়ে বাহান্ন
বাহান্নটা বছর মানে বাহান্নটা বৃষ্টির দিন, বাহান্নটা গ্রীষ্ম আর ততগুলোই শীত।
লোকটা সিজনাল ফল খেয়েই ভাবতো ঋতুগুলো ভালো গেছে
সিজনাল পোশাকে বেশ মানিয়ে যেত। মাথার ফ্যানটা ঘুরলে কিংবা উপরে ছাতাটা মেলতে পারলেই বলতো ভালোই আছি!
লোকটা বেমালুম ভুলে যেত শরৎ বসন্তের কথা।
একটা দুটা ফুল কিংবা একটা দুইটা পাখির অনুপস্থিতির কথা টেরই পেত না, টের পেত বাজারে সবজির সল্পতা হেতু দামটা একটু চড়া।
প্রতি বৈশাখ এলে লোকটা বয়সের ঘড়ে একটা এক যোগ করে নিত, তেমনি একেক করে একুশ এলে লোকটা টের পেলো তার কোথায় যেন কিসের ক্ষত!
যে মানুষটাকে পেলে শরৎ-বসন্তের খোঁজ পেত, সেই অতিমানবী যেদিন পাল্কির বদলে বিমানে চড়ল সেদিন লোকটা গুনতে শুরু করেছিল
কয়টা এক যোগ হলে পরে বিমান চড়া যায়!
গুনতে গুনতে লোকটা একুশের পর বাইশ করতে ভুলে গেলো,
যেদিন একুশ সংখ্যা বেড়ে পঁচিশ হল
ঘোষদের মিষ্টির বাক্সতে চড়ে একটা জয়েন লেটার এলো, সেই অবধি
লোকটা বিমান ভাড়া ভুলে আরেক লোকের আয় ব্যয় গুনতে লাগলো!
তারপর লোকটার যেদিন বিছানা ভরা ফুল সাজানো হল, ভাবল এবার বুঝি ঘড়ের ভেতর আস্ত সিনেমা হবে
শিল্পের কলাকৌশল বলতে লোকটা বুঝত কাগজে আঁকিবুঁকি আর পাথর মূর্তি
লোকটার বেডরুম সাহিত্য শেখার সময় অবসর হয়নি কোনদিন।
লোকটা সেদিন ছোট বিজ্ঞাপনকে থিয়েটার ভেবে সুখী ঘুম গেলো।
যেদিন তার অতি মেধাবী ছেলেটা একটা চিলের পথ ধরে উড়ে গেলো, সেদিনও তার ঘুম হয়েছিল ভালো
ছেলেটা মেধাবী বলেই ফিরে আসেনি। পাশে প্রায় মেধাবিরাও কেও ছিলনা
লোকটা তার বয়েস একেক করে গুনতে গুনতে নিশ্বাস নিতেই ভুলে গেলো!
আর সেদিনও লোকটার নামটাই জানা হল না, শুধু মসজিদের মাইকে শোনা গেলো,
লোকটার বয়েস হয়েছিলো বাহান্ন।