যুক্তি বিশ্বাসের বটবৃক্ষ। আপনি বিশ্বাস করলে করবেন না করলে অবিশ্বাসী হবেন। মূল কথা হলো, অস্তিত্বের বেজমেন্ট পাকাপোক্ত করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসের বিকল্প কিছু নেই। বিজ্ঞান মানুষকে প্রত্যক্ষ এবং প্রমানিত বিষয়ে ধারণা প্রদান করে। আর আমরা সেই ধারণাকে বিশ্বাসের বেদিতে জায়গা দেই। বর্তমান সময়ে ইসলাম, বৌদ্ধ, ইহুদী ধর্মের মতো বিজ্ঞানও একটি ধর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিজ্ঞান যা প্রমান করে আমরা তার উপাসনায় উপনীত হই। আমরা এখন বিশ্বাস করি, মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন পরমাণু থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে; যা বর্তমানে মহা বিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং থিওরী নামে পরিচিত।
যুক্তি বিশ্বাসের বটবৃক্ষ। আপনি বিশ্বাস করলে করবেন না করলে অবিশ্বাসী হবেন। মূল কথা হলো, অস্তিত্বের বেজমেন্ট পাকাপোক্ত করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসের বিকল্প কিছু নেই। বিজ্ঞান মানুষকে প্রত্যক্ষ এবং প্রমানিত বিষয়ে ধারণা প্রদান করে। আর আমরা সেই ধারণাকে বিশ্বাসের বেদিতে জায়গা দেই। বর্তমান সময়ে ইসলাম, বৌদ্ধ, ইহুদী ধর্মের মতো বিজ্ঞানও একটি ধর্ম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বিজ্ঞান যা প্রমান করে আমরা তার উপাসনায় উপনীত হই। আমরা এখন বিশ্বাস করি, মহাবিশ্ব একটি সুপ্রাচীন পরমাণু থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে; যা বর্তমানে মহা বিস্ফোরণ বা বিগ ব্যাং থিওরী নামে পরিচিত।
আমরা যাকে মতবাদ বলি তার সংজ্ঞায় বলা হয়, যে ঘটনাকে বৈজ্ঞানিকভাবে সম্পূর্ণরুপে সঠিক বা ভুল প্রমাণ করা যায় না সেটাই মতবাদ। এখন কথা হচ্ছে, ডারউইন বা স্টিফেন হকিং কিন্তু বিগ ব্যাং থিওরী অথবা বায়োলোজিক্যাল ইভ্যুলুয়েশন মতবাদকে দলীল দস্তাবেজসহ প্রমাণ করতে পারবেন না। সেটা সম্ভবও নয়। তাহলে আপনি বা আমি কেন শুধুমাত্র একজন মানুষের মতবাদকে বিশ্বাস করে নেবো চোখ বন্ধ করে। আমাদের তো প্রশ্ন থাকতেই পারি। আমরাও মুক্তবুদ্ধির কলি কালে বাস করি!
মহামান্য ডারউইন বলেন, বিভিন্ন প্রাণী বিবর্তিত হয়ে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি তার বইয়ে এটা বলেন না এই প্রাণ আসলো কোথা থেকে? কে সৃষ্টি করলো এই প্রাণীগুলোকে? ডারউইন তত্ত্বের ভূল প্রমাণ করার জন্য একটি প্রশ্নই যথেষ্ট। আপনি নিশ্চয় জানেন মানুষের ডিএনএ বা জীন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়! যা বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাহলে কিভাবে বানর থেকে মানুষ হওয়া সম্ভব? অথবা আর কয়েকটি প্রশ্ন; ডারউইনের মতে, প্রায় ৩৮ বিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবীতে কোন জীবন্ত বস্তুর অস্তিত্ব ছিল না তখন প্রথম সরল এককোষী জীবের উদ্ভব হয়। সেই এককোষী জীবের উদ্ভব কিভাবে হলো? কেননা, ডারউইনের বই বের হওয়ার পাঁচ বছর পর বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রমাণের ভিত্তিতে ডারউইনের বিবর্তনবাদের অসারতা প্রমান করেন। তিনি বলেন, কোন বস্তুই নিজে নিজে সংঘটিত হতে পারে না। ডারউইন বলেন, ক্রমাগত একটি নির্দিষ্ট পরিবেশের অবস্থার মধ্যে থাকতে থাকতেই প্রজাতিতে পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে। অর্থাৎ সংকরায়নের মাধ্যমেও প্রাণী বিবর্তিত হচ্ছে। তাহলে প্রশ্ন হলো, ভেড়ার সংকরায়নের মাধ্যমে যেহেতু ভেড়ারই জন্ম হয়; কিভাবে বানরের বিবর্তনে মানুষ হওয়া সম্ভব? আর একটি প্রশ্ন, এখন পর্যন্ত যতোগুলো জীবাশ্ম আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে বানর থেকে মানুষ হওয়ার মধ্যবর্তী কারো জীবাশ্ম পাওয়া যায়নি। কিন্তু কেন? এ ব্যাপারে বিজ্ঞানী রবার্ট ক্যারোল স্বীকার করেন যে, ফসিলের আবিষ্কার ডারউইনের আশাকে পূরণ করতে পারেনি।
ডারউইনকে ভূল প্রমাণিত করার জন্য উচ্চমাধ্যমিকের জীববিজ্ঞান বইটিই যথেষ্ট! আমরা জানি প্রতিটি কোষের মূল উপাদান হচ্ছে প্রোটিন। আর প্রোটিন হচ্ছে কোষের প্রোটোপ্লাজমের মূল উপাদান। সকল উদ্ভিদ ও প্রানি দেহে এটি ব্যাপকভাবে বিদ্যমান। আবার প্রোটিন হল অসংখ্য অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত বৃহদাকার যৌগিক জৈব অনু। এই অ্যামিনো এসিড গুলি প্রোটিনের ভিতরে শুধু পেপটাইড নামক এক প্রকার বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। কোষের বাইরে এই অ্যামিনো এসিড গুলি আরো অনেক বন্ধনে যুক্ত হয়। কিন্তু কোষের ভিতর এই অ্যামিনো এসিড গুলি শুধুমাত্র পেপটাইড বন্ধনেই আবদ্ধ থাকে। প্রোটিন গঠনকারী এই অ্যামিনো এসিডের রয়েছে ২০টি প্রকারভেদ। এই ২০ প্রকারের অ্যামিনো এসিড নিজেদের ভিতর সঠিক ক্রমানুসারে সজ্জিত হতে হয়। একটি সাধারন আকারের প্রোটিন কম পক্ষে ৫০০ টি অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত। তবে সবচেয়ে অবাক করা জিনিস হল এই অ্যামিনো এসিড গুলি আবার ডান-হাতি ও বাম-হাতি। প্রোটিন গঠনে শুধু মাত্র বাম হাতি অ্যামিনো এসিড গুলি যুক্ত থাকে। প্রোটিন কাঠামোর মাঝে যদি একটিও ডান হাতি অ্যামিনো এসিডের প্রবেশ ঘটে তবে এই প্রোটিন কাঠামোটি তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য একটি অকার্যকর খন্ডে পরিনত হবে। এখন আমরা একটি প্রানী কোষের মূল উপাদানে প্রোটিনের যে বৈশিষ্ট্য গুলি পেলাম তা হল, প্রোটিনের মাঝে অ্যামিনো এসিড শুধুমাত্র পেপটাইড বন্ধন দ্বারা আবদ্ধ থাকে। প্রোটিন সমূহের সংগঠনে ব্যবহৃত ২০ টি বিভিন্ন অ্যামিনো এসিড গুলি শুধু মাত্র বাম হাতি হতে হয়। এখন ডারউইনের মতে কাঁকতালিয় ভাবে যদি প্রানের উৎপত্তি হয়ে থাকে তাইলে সামান্য ৫০০ অ্যামিনো এসিডের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রোটিন অনু গঠিত হবার সম্ভাবনা পরিসংখ্যান অনুসারে দাড়ায়; ১ সংখ্যাটির পরে একটানা ৯৫০ টি শূন্য বসালে যে সংখ্যাটি দাঁড়ায় সেই সংখ্যাটি দ্বারা ১ সংখ্যাটি ভাগ করলে যে ভাগফল দাঁড়াবে ঠিক ততভাগের একভাগ। বুঝতেই পারছেন যা আদৌ সম্ভব নয়। আর যদি সম্ভবও হয় তবে, তা হতে সময় লাগবে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে যতোদিন তারচেয়েও হয়তো কিঞ্চিত বেশি। এখানে শুধু প্রোটিনের কথাই বলা হলো; মাইটোকন্ড্রিয়া, সাইটোপ্লাজম গঠন হওয়া যে আরও কত কঠিন তা আপনারাই বুঝতে পারবেন।
সব কথার শেষ কথা হলো- বিশ্বাস। আমি যদি বিশ্বাস করি বাতাস বলতে কিছু নেই; কারণ আমি দেখতে পাই না! সেটা আমার বিশ্বাস। আর আমি যদি বিজ্ঞানকে ধর্ম মেনে বিশ্বাস করি বাতাস আছে; সেটাও আমার বিশ্বাস। সুতরাং, এতো যুক্তি তর্কের পরেও কেউ যদি নিজেকে বানরের বংশধর মনে করেন তাহলে আসলে কিছুই করার থাকে না। তবে আমি মনে করি, অবিশ্বাসীদের চিন্তাশক্তির আয়ুষ্কাল নির্দিষ্ট কয়েকটা বছর; ঠিক মৃত্যু পর্যন্ত। তারপর শুধুই অন্ধকার।
মহামান্য ডারউইন বলেন, বিভিন্ন
মহামান্য ডারউইন বলেন, বিভিন্ন প্রাণী বিবর্তিত হয়ে বানর থেকে মানুষ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি তার বইয়ে এটা বলেন না এই প্রাণ আসলো কোথা থেকে? কে সৃষ্টি করলো এই প্রাণীগুলোকে? ডারউইন তত্ত্বের ভূল প্রমাণ করার জন্য একটি প্রশ্নই যথেষ্ট। আপনি নিশ্চয় জানেন মানুষের ডিএনএ বা জীন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়! যা বর্তমান সময়ে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। তাহলে কিভাবে বানর থেকে মানুষ হওয়া সম্ভব? অথবা আর কয়েকটি প্রশ্ন; ডারউইনের মতে, প্রায় ৩৮ বিলিয়ন বছর আগে যখন পৃথিবীতে কোন জীবন্ত বস্তুর অস্তিত্ব ছিল না তখন প্রথম সরল এককোষী জীবের উদ্ভব হয়। সেই এককোষী জীবের উদ্ভব কিভাবে হলো? কেননা, ডারউইনের বই বের হওয়ার পাঁচ বছর পর বিজ্ঞানী লুই পাস্তুর বৈজ্ঞানিক যুক্তি প্রমাণের ভিত্তিতে ডারউইনের বিবর্তনবাদের অসারতা প্রমান করেন।
খুব ভালো লিখেছেন। আপনার
খুব ভালো লিখেছেন। আপনার চেষ্টা কে সাধুবাদ। কয়েকটি নতুনত্ব আছে আপনার লেখায় –
১। ডারউইন এর তত্ত্ব বা মতবাদ ভুল প্রমান করার জন্যে যে উচ্চ মাধ্যমিক এর জীব বিজ্ঞান বইটি ই যথেষ্ট এটা জানা ছিল না, এটা আজ জানলাম।
২। বিজ্ঞান ও যে একটা ধর্মবিশ্বাস এটাও নতুন করে জানলাম।
৩। বাতাস যে দেখা যায় না, এটাও জানলাম এই প্রথম বারের মতো।
তবে বিজ্ঞান এর সাথে ধর্মের পার্থক্য হচ্ছে, বিজ্ঞান কে চ্যালেঞ্জ করা যায়, বিজ্ঞান তা সব সময় স্বাগত জানায়, বিজ্ঞানের যখন কোনও তত্ত্ব বা মতবাদ ভুল প্রমানিত হয় তখন বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান মনস্ক মানুষের কাছে সেই সব ভুল তত্ত্ব পুরনো দিনের সংবাদপত্রের চাইতেও মূল্যহীন হয়ে যায়। কিন্তু ধর্ম কে চ্যালেঞ্জ করা যায় না, ধর্ম কখনও ভুল হয় না, ধর্ম কখনও ভুল প্রমানিত হয় না, ধর্ম নিজেও কখনও চ্যালেঞ্জ পছন্দ করে না, ধর্ম বলে আমাকে বিশ্বাস কর ……… ! যাই হোক, ভীষণ ইন্টারেস্টিং লেখার জন্যে ধন্যবাদ।
সারওয়ার, আপনি ৩ নং পয়েন্টের
সারওয়ার, আপনি ৩ নং পয়েন্টের মাধ্যমে কি দুষ্টামী করলেন? যাই হোক। পরের লাইন গুলো বেশি সুন্দর। ধন্যবাদ।
ভাই দুস্টামি করবো কেনও ? আপনি
ভাই দুস্টামি করবো কেনও ? আপনি কি আমার বন্ধু বা আত্মীয় ? তিনটা বিষয় ই আপনার লেখা থেকেই প্রথম জানলাম। জানার তো কোনও শেষ নাই তাই না ভাই ? আর দেরি করে জানা টা তো না জানার চাইতে ভালো, তাই না ?
চমৎকার লিখা ভালো লাগলো
চমৎকার লিখা ভালো লাগলো
এখন ডারউইনের মতে কাঁকতালিয়
ভালো লেগেচে।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
এখন ডারউইনের মতে কাঁকতালিয়
ভাই, সম্ভাবনা যেমন এক বিলিওনের মধ্যে একবার হওয়ার কথা বলে, তেমনি ১ বারের মধ্যে একবার হওয়ার কথাও বলে। এক বিলিওনের মধ্যে যে একবার হওয়ার কথা, সেটা কিন্তু প্রথমবারেও হতে পারে।
আশা করি ব্যাপারটা বুঝেছেন।
কাজেই আপনার কথা ১০০% জাস্টিফাই করতে পারছিনা।
আপনার কথা ঠিক আছে। আর যদি
আপনার কথা ঠিক আছে। আর যদি সম্ভবও হয় তবে, তা হতে সময় লাগবে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে যতোদিন তারচেয়েও হয়তো কিঞ্চিত বেশি। বাকি যুক্তিগুলো সম্পর্কেও কিছু বলুন।
আর যদি সম্ভবও হয় তবে, তা হতে
এই কথার স্বপক্ষে একটা রেফারেন্স দেন যে কোথা থেকে এটা পেয়েছেন!
সব কথা যদি অন্য কোথা থেকে কপি
সব কথা যদি অন্য কোথা থেকে কপি করে এনে দেই তাহলে তো আর ব্লগে আমার লেখার দরকার নাই। যে লাইনটি কোট করেছেন সেটি প্রমাণ করতে চাইলে সঠিক ক্রমানুসারে অবস্থানের সম্ভাবনা সমাধানটি দেখুন।
১. ১/২০^৫০০= ১/১০^৬৫০ [ যেহেতু Log { (20)^500 }=500Log20=650 এবং Log { (10)^650}= 650log10=650 ]
২. সবগুলি বাম হাতি হবার সম্ভাবনা = ১/২^৫০০= ১/১০^১৫০ [ পূর্বের নিয়মে লগারিদম করে ]
৩. পেপটাইড বন্ধনে আবদ্ধ হবার সম্ভাবনা = ১/২^৪৯৯= ১/১০^১৫০ [ পূর্বের নিয়মে লগারিদম করে ]
সর্ব মোট সম্ভাবনা= ১/১০^৯৫০ অর্থ্যাৎ ১০^৯৫০ ভাগের একভাগ।
যা পৃথিবির বয়সের হিসাব অনুযায়ী একটা ধারণা দেবে।
বিভিন্ন প্রাণী বিবর্তিত হয়ে
ডারউইন এই কথা কোন বইয়ে, কত নম্বর পাতায়, কোন কলামে কোন লাইনে বলেছেন? আর ডারউইনের তত্বটা কি- একটু ডিটেলে জানালে খুশি হতাম।
মহামান্য ডারউইন এই কথাটি
মহামান্য ডারউইন এই কথাটি জীবিত বা মৃত কোন অবস্থাতেই বলেন নি। কারণ উনি বাংলা জানতেন না!
Darwin’s theory of evolution is based on key facts and the inferences drawn from them, which biologist Ernst Mayr summarised as follows:
Every species is fertile enough that if all offspring survived to reproduce the population would grow (fact).
Despite periodic fluctuations, populations remain roughly the same size (fact).
Resources such as food are limited and are relatively stable over time (fact).
A struggle for survival ensues (inference).
Individuals in a population vary significantly from one another (fact).
Much of this variation is inheritable (fact).
Individuals less suited to the environment are less likely to survive and less likely to reproduce; individuals more suited to the environment are more likely to survive and more likely to reproduce and leave their inheritable traits to future generations, which produces the process of natural selection (inference).
This slowly effected process results in populations changing to adapt to their environments, and ultimately, these variations accumulate over time to form new species (inference). (উইকিপিডিয়া থেকে)
আদম যে বানর প্রজাতির ছিল না
আদম যে বানর প্রজাতির ছিল না এটা কেমনে বিশ্বাস করি? অথবা বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আদমের সৃষ্টি হয়েছে এটা কিভাবে অস্বীকার করব?
উপরের যুক্তিগুলো থেকেই
উপরের যুক্তিগুলো থেকেই বিশ্বাস করুন আদম বানরের প্রজাতি ছিলো না এবং বিবর্তনের ধারায় পরিবর্তিত হন নি।
ডারউইনিজম বা বিবর্তনবাদের উপর
ডারউইনিজম বা বিবর্তনবাদের উপর রিচার্ড ডকিন্সের ” দি গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ বইটা পড়তে পারেন।
http://kmhb.wordpress.com/
আপনার লেখার জন্য সাধুবাদ
থ্যাংক ইউ ব্রাদার।
থ্যাংক ইউ ব্রাদার।
অসংখ্য অপযুক্তি, অপব্যাখ্যা,
অসংখ্য অপযুক্তি, অপব্যাখ্যা, অপতথ্যে ভরা এইরকম পোষ্ট শুধুমাত্র লেখকের ভণ্ডামি কিংবা অজ্ঞতাকেই প্রকাশ করতে পারে। আমি আশা করি এসব আপনার ইচ্ছাকৃত না, অজ্ঞতাপ্রসূত। বলি কি, বিজ্ঞান নিয়ে কিছু লিখতে গেলে আগে সেটা পড়ুন। যথেষ্ট পড়া হলেই কেবল কলমটা ধরবেন, নাহলে সেটা অন্যায় হবে। অবশ্য কিভাবে বুঝবেন “যথেষ্ট” পড়া হয়েছে তা আমি ঠিক বলতে পারবো না। যাই হোক, আমি আপাতত আপনার কিছু ভুল ভাঙ্গানোর চেষ্টা করি, সাথে হয়তো কিছু প্রশ্ন থাকতে পারে …
বলতে পারেন উল্টোটা, ধারণাকেই প্রমাণ করার চেষ্টা করে। ধারণাটাও আকাশ থেকে আসে না, বরং পর্যবেক্ষণ থেকে আসে।
“সুপ্রাচীন পরমাণু”-র ব্যাপারটা কোথায় পেলেন একটু রেফারেন্স দেখাতে পারেন? অবশ্য আপনি এক জায়গায় বলেছেন দেখলাম,
আপনি যদি লেখেন যে ডারউইন বলেছেন অমুক, কিন্তু কোথায় বলেছেন সেটা দেখাতে না পারেন তার অর্থ হল আপনি একটি কল্পকাহিনী লিখছেন। কল্পকাহিনীতে আপনি যা খুশি লিখতে পারেন। কিন্তু পাঠকদের বিভ্রান্ত করার তো মানে নেই, শুরুতেই বলে নিতেন সব চরিত্র কাল্পনিক! আর তা না হলে রেফারেন্স দিন। যত জায়গায় অন্য কাউকে বা থিওরি কোট করেছেন সব কিছুর রেফারেন্স দেয়াটা আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।
১। বিগ ব্যাং থিওরী কি স্টিফেন হকিং দিয়েছেন বলে মনে হয় আপনার?
২। “সেটা সম্ভবও নয়।” – কিভাবে বলছেন? প্রমাণ করেছেন আপনি যে ওগুলো প্রমাণ করা সম্ভব না?
তিনি কিন্তু এটাও বলেননি মরজিনার মা কেন আজ কাজ করতে আসল না, তাই বলে কি তার তত্ত্ব ভুল হয়ে গেল? তাঁর তত্ত্ব কি প্রাণ কোথা থেকে আসল সে বিষয়ে ? আপনি নিশ্চিত? নাকি প্রাণের বৈচিত্র্য ব্যাখ্যা করা? আপনার প্রশ্নটা কি সেক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হল?
দুঃখিত, আমি সম্পূর্ণ উল্টোটা জানি, আমি জানি DNA পরিবর্তিত হয় mutation এর মাধ্যমে। এইযে দেখুন। এখানেও দেখতে পারেন।
দিনে দুপুরে এরকম ডাহা মিথ্যে কথা বলেন কিভাবে ভাই? যেখানে পৃথিবীর আনুমানিক বয়স ৪.৫৪ বিলিয়ন বছর আর মহাবিশ্বের আনুমানিক বয়স ১৩.৮ বিলিয়ন বছর, সেখানে ডারউইন ৩৮ বিলিয়ন বছর আগেকার কথা কোথায় বলেছেন একটু দেখাতে পারবেন?
রেফারেন্স?
mutation এর মাধ্যমে। আর ব্যাপারটা এমন না যে ২টা বানর থেকে হঠাৎ করে একটা মানুষ জন্ম নিল। বিবর্তনবাদ কখনও এমন কিছু বলেনি। একটু পড়ুন দয়া করে।
কোথায় পেলেন? রেফারেন্স? আপনি কি এটা দেখেছেন? কিংবা এটা?
সবশেষে একটা অনুরোধ, কিংবা উপদেশও মনে করতে পারেন, কিছু নিয়ে লিখতে গেলে বিশেষ করে সেটা যদি বিজ্ঞান হয়, আগে পড়ুন, দরকার হলে ১০ বছর ধরে পড়ুন তারপর লিখুন। আর তার আগেই যদি লিখতে চান, তবে কল্পকাহিনী হিসেবে লেখেন।