এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে নিজেদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে ঘোষণা দিয়েও মনুষ্যকূলের সবচেয়ে লজ্জা হচ্ছে নিজেদের বৈষম্য। এখনো আমরা বলি ও তো হিন্দু, ও মুসলমান, ও আস্তিক, ও নাস্তিক.. সে কৃষ্ণাঙ্গ, এ শ্বেতাঙ্গ.. আরে ও তো মেয়ে, ও ছেলে, আরে বেটা হিজরা।।
ছিঃ ছিঃ এ লজ্জা সভ্যতা কতদিন বয়ে বেরাবে। ভাবতে অবাক লাগে এই অঞ্চলেই জন্মেছিলেন লালন। কত শত বছর পূর্বেই তিনি সকল বৈষম্য ছিন্ন করে মানবতার গান গেয়েছেন.. আর আমরা আজও গন্ডি পেরোতে পারলাম না।
//সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।।
লালন বলে জাতের কী রূপ
আমি দেখলাম না দুই নজরে।
কেউ মালা’য় কেউ তছবি গলে,
তাইতো যে জাত ভিন্ন বলে
এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে নিজেদের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী হিসেবে ঘোষণা দিয়েও মনুষ্যকূলের সবচেয়ে লজ্জা হচ্ছে নিজেদের বৈষম্য। এখনো আমরা বলি ও তো হিন্দু, ও মুসলমান, ও আস্তিক, ও নাস্তিক.. সে কৃষ্ণাঙ্গ, এ শ্বেতাঙ্গ.. আরে ও তো মেয়ে, ও ছেলে, আরে বেটা হিজরা।।
ছিঃ ছিঃ এ লজ্জা সভ্যতা কতদিন বয়ে বেরাবে। ভাবতে অবাক লাগে এই অঞ্চলেই জন্মেছিলেন লালন। কত শত বছর পূর্বেই তিনি সকল বৈষম্য ছিন্ন করে মানবতার গান গেয়েছেন.. আর আমরা আজও গন্ডি পেরোতে পারলাম না।
//সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।।
লালন বলে জাতের কী রূপ
আমি দেখলাম না দুই নজরে।
কেউ মালা’য় কেউ তছবি গলে,
তাইতো যে জাত ভিন্ন বলে
যাওয়া কিংবা আসার বেলায়
জাতের চিহ্ন রয় কার রে।।
সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।।
যদি ছুন্নত দিলে হয় মুসলমান,
নারীর তবে কি হয় বিধান,
বামণ চিনি পৈতে প্রমাণ,
বামণি চিনে কি প্রকারে।।
সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।।
জগত্ বেড়ে জাতের কথা,
লোকে গৌরব করে যথা তথা
লালন সে জাতের ফাতনা ঘুচিয়াছে সাত বাজারে।।
সব লোকে কয় লালন কী জাত সংসারে।।//
এ অঞ্চলেই জন্মেছিলেন নজরুল.. মানবমুক্তির গান গেয়েছেন..
//হিন্দু হিন্দু থাক, মুসলমান মুসলমান থাক, শুধু একবার এই মহাগগনতলের সীমা হারা মুক্তির মাঝে দাঁড়াইয়া মানব তোমার কন্ঠে সেই সৃষ্টিতে আদিমবানী ফুটাও দেখি। বল দেখি “আমার মানুষ ধর্ম”। দেখিবে দশদিকে সার্বভৌমিক সাড়ার আকুল স্পন্দন কাঁপিয়া উঠিতেছে। — মানবতার এই মহান যুগে একবার গন্ডী কাটিয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রাহ্মন নও, শুদ্র নও, হিন্দু নও, মুসলমানও নও, তুমি মানুষ – তুমি ধ্রুব সত্য।//
অদ্ভুত অন্ধকারে নিপতিত সব।
অদ্ভুত অন্ধকারে নিপতিত সব। আশা হারাইনি, আলো আসবেই…
হুম..
হুম.. 🙂