কয়েকদিন আগে এক দক্ষীনপন্থী বন্ধু তর্কের মাঝেই বলে উঠলো শাহবাগে যারা আছিলো সবই নাস্তিক ! পুরোনো প্যাচাল । তারপরও নতুনভাবে জবাব দিতে চাইলাম । বললাম ‘মুসলমান কারা? কেউ যদি নামাজ না পরে তবেই কি তাকে কাফের বলা যাবে ?’
জবাব দিলো অবশ্যয়ই যাবে । কারন কুরআনে আছে নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমান ও কাফেরদের মাঝে পার্থক্যকারী!
আমি বললাম, কোনো মুসলমানকে কাফের ঘোষনা করা ধর্মমতে বৈধ নয় । তাছারা যারা নামায না পরে তাদের জন্য “ফাসিক মুসলমান” নামে একটা পরিভাষা আছে । আর কাফির বলা হয়েছে তাদেরকেই যারা নামাযকে অস্বীকার করে।
কয়েকদিন আগে এক দক্ষীনপন্থী বন্ধু তর্কের মাঝেই বলে উঠলো শাহবাগে যারা আছিলো সবই নাস্তিক ! পুরোনো প্যাচাল । তারপরও নতুনভাবে জবাব দিতে চাইলাম । বললাম ‘মুসলমান কারা? কেউ যদি নামাজ না পরে তবেই কি তাকে কাফের বলা যাবে ?’
জবাব দিলো অবশ্যয়ই যাবে । কারন কুরআনে আছে নিশ্চয়ই নামাজ মুসলমান ও কাফেরদের মাঝে পার্থক্যকারী!
আমি বললাম, কোনো মুসলমানকে কাফের ঘোষনা করা ধর্মমতে বৈধ নয় । তাছারা যারা নামায না পরে তাদের জন্য “ফাসিক মুসলমান” নামে একটা পরিভাষা আছে । আর কাফির বলা হয়েছে তাদেরকেই যারা নামাযকে অস্বীকার করে।
এবারের জবাবটাও বেশ জোড়ালোভাবেই দিলো- নামাজ না পড়া কিন্তু এ ব্যাপারে নিজেকে অপরাধী ভাবা বা অনুতপ্ত হওয়া হলো ফাসেকী । কিন্তু ক্রমাগত নামাজ ত্যাগ করে এ বিষয়ে থোরাই কেয়ার করা নামাজকে অস্বীকার করারই নামান্তর ।
এইবার মহাশয় টু দ্য পয়েন্টে আসলো । আসলে আমি এই জবাবটার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম । জামাতি হেফাজতি বা অন্য যেকোনো (ইসলাম) ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রমাগত এবং বেশ জোড়ালো ভাবে বলা হয় ‘নব্বই ভাগ মুসলমানের এই দেশে কোনো নাস্তিক থাকতে দেয়া হবে না, ধর্মহীন শিক্ষা চলবে না , ধর্মবিরুদ্ধ কাজের বিরুদ্ধে জোড়ালো আইন চালু করতে হবে , ব্লা ব্লা ব্ল (কল্পনা করুন হেফাজতের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার তেরো দফা !)’
অথচ তাদের দেয়া ‘ফতোয়া’ অনুসারে যদি পরিসংখান করা হয় তবে ‘খাটি’ মুসলমানের সংখ্যাটা শতকরা পাঁচ পারসেন্ট হবে কিনা সন্দেহ ! আর ‘মোটামুটি’ (যারা কালেভদ্র নামাজ পড়ে এবং মনে করে এটা সবসময় পালন করা উচিত্) মুসলমান মিলিয়ে সংখ্যাটা পনেরো থেকে বিশ পার্সেন্টে যেতে পারে । আর যদি ধর্মজ্ঞানশুন্য অথচ ধর্মান্ধ কিছু পাবলিকসহ ‘ফাসিক’ মুসলমানসহ হিসেব করি তবে শতকরা হিসেবটা পচিশ কিংবা ত্রিশে পৌছতে পারে বহুকষ্টে।
কেবলমাত্র তখনই পার্সেন্টিসটা পঁচাশি বা তার উপরে উঠবে যদি জন্মসুত্রে এবং নামসুত্রে মুসলমান হিসেব করা হয় । তবে তখন তার মধ্যে বহু ‘রাম-বাম’ ‘নাস্তিক’ কিংবা ‘নাস্তিকদের দোষর’ থাকবে । তার উপরে বিভীন্ন ‘বেদায়াতি ফেরকা’ আছে যাদেরকে ‘সংখ্যাগুরু খাটি’ মুসলমানরা মুসলমান মনে করে না।
এরপরও কি বলা হবে নব্বই ভাগ মুসলমানদের দেশে কোনো ‘কুফরী’ আইন চলবে না?
মিথ্যা বলা মহাপাপ (কবীরা গুনাহ) এবং মুনাফেকের আলামত । সুতারং আশাকরি নিজের ‘ঈমান’ রক্ষার প্রতি সচেষ্ট হয়ে ভবিষ্যতে ‘আলেম’ সমাজ সঠিক তথ্য দানে বাধিত থাকিবেন।
হিন্দুধর্মের কে যেন বলেছিলেন
হিন্দুধর্মের কে যেন বলেছিলেন ‘বহিরাঙ্গে সাধু সেজো না’ আজকাল এর পরিমাণই বেশি।
(No subject)
😀
বহিরাঙ্গ ইজ এনাফ টু শো !
বহিরাঙ্গ ইজ এনাফ টু শো !
সহমত
সহমত
ভাল লিখেছেন।
ভাল লিখেছেন।
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
ভালো লাগল…
ভালো লাগল…