ছুটির দিনে বাসায় থাকাটা একটা বড় সমস্যা । কেউ না কেউ কোন না কোন কাজে ঝুলিয়ে দিবে । বাবার কৃষি মন্ত্রনালয়ের একটা কাজের বিল অনেক দিন ধরে আটকে আছে । ওটার নাকি কি একটা প্রব্লেম আছে , মন্ত্রনালয় থেকে নাকি ফান্ড আসে নি , তাই পি ডব্লিউ ডি থেকে বিল পে করছে না । মন্ত্রনালয় থেকে সাইনিং করিয়ে আনতে হবে । তাই বাধ্য হয়ে কাগজপত্র নিয়ে আমাকেই বেরোতে হল ।
ছুটির দিনে বাসায় থাকাটা একটা বড় সমস্যা । কেউ না কেউ কোন না কোন কাজে ঝুলিয়ে দিবে । বাবার কৃষি মন্ত্রনালয়ের একটা কাজের বিল অনেক দিন ধরে আটকে আছে । ওটার নাকি কি একটা প্রব্লেম আছে , মন্ত্রনালয় থেকে নাকি ফান্ড আসে নি , তাই পি ডব্লিউ ডি থেকে বিল পে করছে না । মন্ত্রনালয় থেকে সাইনিং করিয়ে আনতে হবে । তাই বাধ্য হয়ে কাগজপত্র নিয়ে আমাকেই বেরোতে হল ।
পৌছলাম কৃষি মন্ত্রনালয়ের ভবনের সামনে । সাইনিংটা সেক্রেটারিয়াল লেভেল থেকে করাতে হবে । কাজেই চলে গেলাম উত্তর দিকটায় । মন্ত্রীর রুমের সামনে যথারীতি প্রচুর ভিড় । ভিড় হবার আরেকটা কারন , মন্ত্রী নেই । তিনি কি জরুরী কাজে বাইরে গেছেন , আসতে দেরী হবে । সাথে নিয়ে গেছেন তার পি এস আর সচিব কে । মন্ত্রনালয়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে শঙ্কিত হলাম , সত্যি ঠিক জায়গায় এসেছি তো? চারিদিকে কিছু ইতঃস্তত পুলিশ ঘুরে ফিরছে, দূরে একটা র্যাবের গাড়ী দাঁড়ানো, তার সামনে দাঁড়িয়ে একজন কলা খাচ্ছে । যা হোক আমি চারদিকে ঘুরে ফিরে দেখতে লাগলাম । হঠাৎ এক পরিচিত মুখের দেখা । আমার বন্ধুর বাবা। উনি এখানেই চাকরি করতেন জানতাম , কিন্তু এভাবে দেখা হয়ে যাবে ভাবি নি । তো উনার সাথেই একটু ভেতরে ঢোকার সৌভাগ্য হল ।
আমাদের কৃষি মন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী , উনার বেশভুষার মতই উনার অফিস কামরার চেহারা । খুব সাধারণ একটা টেবিল , তা আবার কোণ টার কাছে ঘুণেও খেয়েছে দেখলাম । খুব সস্তা একটা ফ্লাওয়ার ভাস, তাতে আরো সস্তা কিছু প্লাস্টিকের জীর্ণ ফুল ডান দিকে কাত হয়ে ঝুলে রয়েছে । কম্পিউটার টা বোধ হয় আজ থেকে ২০ বছর আগের । ঘুরতে ঘুরতে পাশের রুমে চলে গেলাম । এটা উনার রেস্ট রুম । আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন , গুলিস্তানে হকি স্টেডিয়ামটার নিচে কিছু লোক চাদর বিক্রী করে, ২৫০-৩০০ টাকা দামের । নিম্নবিত্ত লোকেরা সে গুলো কেনে । সেইরকম ই একটা ফুল তোলা ক্যাটক্যাটে লাল রঙের চাদর পাতা একটা বিছানার উপর, আর পাশে একটা কাঠের চেয়ার ।
খুব অবাক হয়ে বললাম – ” এটা কি মন্ত্রীর বিছানা ? ”
পাশ থেকে এক বয়স্ক লোক , সম্ভবত কেরানীগোছের কেউ , বললেন – ” হুম , এই চাদর দেখতেছেন, দাম ৩৫০ টাকা, পি এস সাহেব কিনছেন, আর ম্যাডামরে বলছেন ২০০ টাকা । ৩৫০ টাকা দিয়া চাদর কিনছে জানলে ম্যাডামে মাইন্ড করত । ”
আমি তো অবাক -” বলেন কি ?”
ভদ্র লোক তখন ঘরের একটা কোণা দেখিয়ে বললেন – ” অই দেহেন, সিলিংএর প্লাস্টার খসে পড়তেছে , ইঞ্জীনিয়ার বলছে টাইলস লাগাতে, ম্যাডাম বলল – টাকার কি গাছ লাগানো হইছে যে সিলিং এ এখন টাইলস লাগাতে হবে ? ”
কিছু বললাম না , চুপ করে রইলাম । এধরনের মানুষ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করার অধিকার আমার নাই । যাদের ভিতরে পাপ-পূণ্যের বোধ শূণ্য , শুধু তারাই এ শ্রেনীর মানুষ সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করতে পারে । যেমন তারেক জিয়া – বৈধতার প্রশ্নে যেখানে তার নিজের জন্ম নিয়ে তার বাবা সন্দিহান (যে কারণে মুক্তিযুদ্ধের পর তার মা খালেদা জিয়াকে তার বাবা জিয়াউর রহমান মেনে নিতে চাননি), সেখানে তিনি জাতির পিতাকে নিয়ে সন্দেহ পোষণ করেন ।
হায় বাঙ্গালী , জন্মেছ নিমকহারাম হয়ে, মানুষ হউনি ।
লেখকের আরো লেখা পড়তে ও মন্তব্য ও যোগাযোগের জন্য https://www.facebook.com/rifat.rayhan.359?ref=tn_tnmn
হুম ভালোকে ভালো বলতেই হবে। তা
হুম ভালোকে ভালো বলতেই হবে। তা নাহলে মানুষ ভালো থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ধন্যবাদ বিষয়টা শেয়ার করার জন্য।