কোন একটা শান্ত গ্রাম।গ্রামের নাম নিশ্চিন্তপুর। সে গ্রামের সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করলেও বাংলা তা করতে পারছিলো না। তার স্বামী পাকি মিয়াঁ তার উপর বিভিন্ন ধরনের নির্যাতন চালাতো। এরপর একদিন সে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে আর এই নির্যাতন সহ্য করবে না। সে তার স্বামীর শৃঙ্খল ভেঙে পালিয়ে যায় মুক্ত পাখির মত পাশের জঙ্গলে। আসলে জঙ্গল নয় কারন ঐ স্থানটি তার কাছে বেহেস্তের শামিল মনে হয়। সে ঘুরতে থাকে জঙ্গলের এদিক অদিক খাবারের জন্য জঙ্গল কোন কৃপণতা দেখায় নি।সে তার বুক উজার করে বাংলাকে খাদ্য সরবরাহ করেছে। জঙ্গলে একা বাংলা, পরনে একটাই শাড়ি যেটা পরে সে পালিয়েছে এছাড়া রোদ,বৃষ্টি, ঝড়ে মাথা গুজার ঠাই এর অভাব সে প্রচণ্ড অনুভব করে। সে একটা মাথা গুজার ঠাই খুজতে বেরিয়ে পরে। হাঁটতে হাঁটতে সে জঙ্গলের অপর প্রান্তে কিছু বাড়ি দেখতে পেল। সেখানে দেখতে পেল একটা উঠান রয়েছে,সেই উঠানে গিয়ে বাংলা দাড়ায় দেখে একটি ঘরের সামনে লেখা স্বাধীনতার “স্বপক্ষের শক্তি” অপর পাশে আরেকটি ঘরের সামনে লেখা “স্বাধীনতার ঘোষক শক্তি” । এদুটো ঘর ছিল একটি আরেকটি মুখোমুখি উত্তর ও দক্ষিনমুখী। আর পশ্চিম দিকে রয়েছে ছোটছোট ঘর তাদের ঘর গুলো ছিল ধর্ম ভিত্তিক আর পূর্ব দিকে রয়েছে আরো ছোট ছোট ঘর তারা চায় যে তাদের ঘরের আশে পাশে যে ই আসুক তাকে নিজস্ব ঘর বানাতে সাহায্য করবে এবং যারাই থাকুক শান্তিতে থাকুক এদের ঘরের নাম প্রগতিশীল ঘর। বাংলা এসে দেখতে পেলো যে ধর্ম ভিত্তিক ঘরগুলোর লোকেরা তাকে তার যালিম স্বামীর কাছে ফেরত দিতে চায় আবার এদের কেউ কেউ তাদের নিজেদের ঘরের বাশ,টিন ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে উত্তর ও দক্ষিন দিকের ঘরে গিয়ে সেগুলোকে আরো বড় করছে। আর পুব দিকের ঘর গুলোর কিছু কিছু মানুষও একি কাজ করছে আবার তারা তাদের এই ছোট ছোট ঘরগুলোকে ভেঙে আরো ছোট প্রায় টোং দোকানের মত করে ফেলছে। এতো কিছু দেখার পর বাংলা খেয়াল করলো যে দুজন মানুষ উত্তর ও দক্ষিন দিকের বাড়ি থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সে তাদের দেখতে পাওয়ায় তারা ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।এসে তারা সব কিছু জানার পর এক রকম প্রতিযোগিতায় নেমে পড়লো কে কার ঘরে নিবে বাংলাকে। এরপর ঐ দুই ব্যক্তি বাংলাকে লোভ দেখানো শুরু করলো যে তাদের বাড়ি ফাইভ স্টার হোটেলের মত কোন সমস্যা নাই খাবার-দাবারের সমস্যা নাই। তো বাংলা চিন্তা করলো সে উত্তর দিকের “স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি” এর ঘরে যাবে। ঘরে ঢুকেই সে আবিষ্কার করলো যে লোকটি যা বলেছে সবই ছিল মিথ্যা কথা। বাংলা যখন এগুলো চিন্তা করছে তখন লোকটি তাকে বেধে ফেললো একটি কাঠের চেয়ারে এরপর বাহিরে চলে গেল। এরপর এসে সে একটি সিরিঞ্জ দিয়ে বাংলার শরীর থেকে রক্ত নিলো তা ঢেলে দিলো নিচের সুরঙ্গে। তখন বাংলা জিজ্ঞেস করলো এ রক্ত কথায় যাবে তখন লোকটি বলল যে রক্ত যাবে কিছু রাশিয়া, ভারত, চীন, জাপানসহ অন্যান্য রাষ্ট্রে। তো এরি মাঝে পুব দিকে ঘরের মানুষরা এসে দরজা ধরে ধাক্কাধাক্কি করা শুরু করেছে এতে দরজায় ছোট ফুটো তৈরি হয়েছে এতে একটু আলো দেখা যাচ্ছিলো তা বন্ধ করে দিলো পুটিং নামক বিদেশী পন্য দিয়ে। পরের দিন লোকটি বাহিরে গেল এর ফাকে বাংলা পালাতে সক্ষম হল। এবার সে গেল “স্বাধীনতার ঘোষক শক্তি” এর ঘরে সেখানেও কোন ব্যতিক্রম হল না। এদেরও বাড়ির নিচে সুরঙ্গ আছে এই সুরঙ্গ গিয়ে মিলেছে পাকিস্থান,চীন, আমেরিকা,মধ্য প্রাচ্যের দেশ গুলোতে। এরপর দিন সে আবার পালিয়ে গেল কিন্তু আবারো গেল ” স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি” এর ঘরে। এইভাবে বারবার বাংলা মন্দ থেকে মন্দ বাছাই করতে গিয়ে শোষিত হচ্ছে। আর পূর্ব দিকের ঘরের লোকেরা এসে দরজায় ঝাকাঝাকি করে এরপর বড় দুই ঘরের লোকেদের হাটে মার খেয়ে চুপ হয়ে যায়। আর পশ্চিম দিকের লোকেরা দেখে আর হাসে আর তাকে জোর করে তার যালিম স্বামীর ঘরে দিয়ে আসতে চায়। এভাবেই চলছে, তো একদিন পূর্ব দিকের লোকেরা খুব জোরে ঝাকাঝাকি করায় বড় ফুটো হয়ে গেছে এর ফলে বাংলার মুখে দশ ইঞ্চি আলো পরেছে আর শোষকদের পুটিং ও প্রায় শেষ এ ফুটো বন্ধ করতে পারছে না। এখন বাংলাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে পূর্ব দিকের লোকদের সহয়তায় নিজের ঘর নিজে বানাবে নাকি সারাজীবন মন্দ থেকে মন্দ বাছাই করতে গিয়ে শোষিত হবে।
হ-য-ব-র-ল!
হ-য-ব-র-ল!
আপনার মত আমিও ভালবাসি।
আপনার মত আমিও ভালবাসি।
দেখা যাক বাংলা কি সিদ্ধান্ত
দেখা যাক বাংলা কি সিদ্ধান্ত নেয়… মূল কথা হচ্ছে তার আদৌ কি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে?
মানুষের “কানারীতি” (রাগ করবেন
মানুষের “কানারীতি” (রাগ করবেন না কেউ)যেদিন দূর হবে সেদিন।কারন মানুষ এখনও বিশেষ কিছু দলের অন্ধভক্ত হয়ে আছে।
সেখানে দেখতে পেল একটা উঠান
:ঘুমপাইতেছে: :ঘুমপাইতেছে: :ঘুমপাইতেছে:
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।