গাধার বাচ্চার মাজার নিয়ে একটি ঘটনা প্রচলিত আছে। একস্থানে একটি মাজারের খাদেম ছিলেন একজন খুব ধার্মিক পরহেজগার লোক। সাথে তার কয়েকজন শিষ্য ছিল। একদিন কোন এক শিষ্য একটা ভূল করে বসল এবং খাদেম তাকে মাজার থেকে বের হয়ে যেতে বলল।
গুরুর কথা মেনে শিষ্য বের হয়ে যাবার আগে সে গুরুর কাছে স্মৃতিসরূপ কিছু একটা আবদার করে। তখন গুরু পাশে বেঁধে রাখা রুগ্ন একটা গাধার বাচ্চা তাকে দিয়ে বলল, “এই নে এটাই তোর প্রাপ্য। তুই অবাধ্য এরচেয়ে বেশি আর কিছুই তোর জন্য না। এবার বিদায় হ।”
গাধার বাচ্চার মাজার নিয়ে একটি ঘটনা প্রচলিত আছে। একস্থানে একটি মাজারের খাদেম ছিলেন একজন খুব ধার্মিক পরহেজগার লোক। সাথে তার কয়েকজন শিষ্য ছিল। একদিন কোন এক শিষ্য একটা ভূল করে বসল এবং খাদেম তাকে মাজার থেকে বের হয়ে যেতে বলল।
গুরুর কথা মেনে শিষ্য বের হয়ে যাবার আগে সে গুরুর কাছে স্মৃতিসরূপ কিছু একটা আবদার করে। তখন গুরু পাশে বেঁধে রাখা রুগ্ন একটা গাধার বাচ্চা তাকে দিয়ে বলল, “এই নে এটাই তোর প্রাপ্য। তুই অবাধ্য এরচেয়ে বেশি আর কিছুই তোর জন্য না। এবার বিদায় হ।”
গাধার বাচ্চা নিয়ে সেই শিষ্য চলে আসে। তার থাকার কোন যায়গা নাই। রাস্তায় রাস্তায় গাধার বাচ্চা নিয়ে ঘুরে ঘুরে দিন কাটায়। গুরুর শেষস্মৃতিকে সে খুব যত্নে রাখারই চেষ্টা করে। কিন্তু তার নিজের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকায় ঠিকমত খাবার দিতে পারছিল না। রুগ্ন গাধার বাচ্চাটি একপর্যায়ে খাদ্যের অভাবে মারা যায়।
তখন সে যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল সে রাস্তার পাশে ফাঁকা জমিতে গাধাটিকে কবর দিয়ে দেয় গাধার বাচ্চা মারা যাওয়াতে সেই শিষ্য খুবই মর্মাহত হয়ে পড়ে। গুরুর দেওয়া শেষ উপহার সে হারিয়ে ফেলেছে এই ভেবে সে গাধার কবরের পাশে বসে মনের দুঃখে হাটাহাটি থামিয়ে প্রতিদিনই কান্নাকাটি করে।
লোকজন রাস্ত দিয়ে যাতায়াত করে। এলাকার লোকজন এবং পথচারীরা প্রতিদিনই দেখে যে এক হুজুর টাইপের এক লোক কবরের পাশে বসে থেকে কান্নাকাটি করে। দু একজন মায়া করে দু-এক টাকা দেয়। এই নিয়েই সেই শিষ্যের দিন কেটে যায়। এভাবে একজন টাকা দেয়, আরেকজন দেয়। পাশের লোকজন ভেবে নিল নিশ্চয় কোন আউলিয়া, ওলী বা কোন পীরের কবর হবে। এভাবে আস্তে আস্তে সেটি একটি মাজারে রূপ নিল আর সেই শিষ্য তখন সেই মাজারের খাদেম হয়ে গেল। কিন্তু কেও জানলনা সেটি একটি গাধার কবর ছিল। আর সেই গুরু বিতাড়িত শিষ্য মানুষকে সত্য কথাটি জানালনা কারণ এতে তারও লাভ হচ্ছিল।
কিছুদিন পর আগের মাজারের খাদেম জানতে পারল নতুন এক মাজারের কথা এবং অনেক নাম ডাকও শুনল। সে মনে মনে ভাবল না জানি কত বড় আউলিয়ার মাজার। তার মনে নতুন মাজার সফর করার খায়েশ জাগল।
যথারীতি সে একদিন নতুন মাজার জিয়ারত করতে আসল। এসে দেখে, তার বিতাড়িত শিষ্য খাদেম সেজে বসে আছে।
নতুন মাজারের খাদেম তার গুরুকে চিনতে পেরে গুরুকে অন্দরমহলে নিয়ে গিয়ে আসল ঘটনা অর্থাৎ সেই গাধার বাচ্চার কবরের ঘটনা জানাল এবং বলল হুজুর আমার ভুল হয়ে গেছে। আমি কি করব! লোকজন আমাকে টাকা দিচ্ছিল, এই দেখে অন্যান্যরা এটাকে মাজার মনে করে নিয়েছে। তাছাড়া আমার আর কোন উপার্জনের রাস্তা ছিল না। শিষ্য গুরুর পা জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিল।
গুরু শিষ্যের কান্না সহ্য করতে না পেরে শিষ্যকে কথা দিল কাওকে ঘটনাটা বলবে না। তারপর তাকে সান্তনা দিতে দিতে বলল- বাবা, তোর আর কি দোষ। আসলে আমি যে মাজারের খাদেম সেটি হল এই গাধার বাচ্চার মা-এর মাজার। যেটি আমার গুরু আমাকে দিয়েছিল।
গল্পটা পড়ে বুঝেন কি অবস্থা! আর বর্তমানে যে হারে মাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কতগুলো সঠিক মাজার আর কতগুলো এইরকম গাধার বাচ্চার মাজার কে জানে? বিশেষ করে ঢাকা শহর তো এখন নানা রকমের বাহারী নামের বাবায় ভর্তি। অমুক বাবা, তমুক বাবা… ব্লা ব্লা ব্লা।
মজা পাইলাম ভাই। পীর আর মাজার
মজা পাইলাম ভাই। পীর আর মাজার বানাইতে আমাদের জুড়ি নাই। :শিস:
পীর আর মাজার বানাইতে আমাদের
পীর আর মাজার বানাইতে আমাদের যেমন জুড়ি নাই ঠিক তেমনি সেগুলোতে অন্ধ ভক্তও পাওয়া যায় বেশ কিছু। আবার কিছু স্থানে ভাড়াতে ভক্তেরও দেখা মেলে।
দুর্দান্ত লিখেছেন ভাই !
দুর্দান্ত লিখেছেন ভাই ! স্যাটায়ার কাকে বলে বুঝায় দিলেন । কিন্তু এটি বুঝতে পারার মগজ কজনের আর আছে ?
ধন্যবাদ।
আশাকরি সবাই পারবে।
ধন্যবাদ।
আশাকরি সবাই পারবে। আর না পারলে সে গাধার বাচ্চার চেয়েও কম মগজের লোক।
আসাধারণ স্যাটায়ার। এই
আসাধারণ স্যাটায়ার। এই স্যাটায়ার বোঝার মত বুদ্ধি গাধার বাচ্চাদের আছে বলে মনে হয় না। তবে আপনার স্যাটায়ার পড়ে ব্যাপক বিনোদিত হইলাম। গাধার বাচ্চাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।
গাধার বাচ্চাদের শুভ বুদ্ধির
আমিও চাই :তালিয়া: কিন্তু শুভবুদ্ধি গাধার মগজে কতদিন থাকবে সেটি ভাবাবার বিষয়।
অসাধারণ একটি স্যাটায়ার । পড়ে
অসাধারণ একটি স্যাটায়ার । পড়ে অনেক বেশি বিনোদিত হলাম ।
ধনবাদ স্যার। আপনাকে বিনোদিত
ধনবাদ স্যার। আপনাকে বিনোদিত করতে পেরে আমি উচ্ছ্বসিত।
বাংলায় ইসলামের আবির্ভাব আর
বাংলায় ইসলামের আবির্ভাব আর বিকাশ দুটোই পীর , ফকির , আউলিয়া ,মাজারের হাত ধরে । এটা বাংলার ইসলামিক সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ । চাইলেই সাধারণ মানুষের মন থেকে এগুলো দুর করা যাবে না ।
সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ভন্ডদের
সেটা ঠিক আছে। কিন্তু ভন্ডদের দখল হতে মুক্ত করার চেষ্টা করা যেতে পারে।
পুরাই বিনুদুন রে…… মামু,
পুরাই বিনুদুন রে…… মামু, মজা পাইলাম।। তয় গাধার বাচ্চা মাথায় সন্দেহ ঢুকাই দিল, “কোন মাজারটা সলিড??”
(No subject)
:হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে:
কোন মাজার সলিড একই প্রশ্ন
কোন মাজার সলিড একই প্রশ্ন আমারও। তবে বর্তমান সময়ে গজিয়ে উঠা অধিকাংশ মাজারই ভুয়া।
আমারও তাই মনে হয়।। আমাগর
আমারও তাই মনে হয়।। আমাগর পাশের এলাকায় এক্কান মাজার আছে, রাইত হইলেই গাজার ছড়াছড়ি।।
এখন বেশিরভাগ মাজারে এটাই
এখন বেশিরভাগ মাজারে এটাই হয়…
জটিল লিখসেন ভাই। বেফুক বিনোদন
জটিল লিখসেন ভাই। বেফুক বিনোদন পাইলাম। :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: :হাহাপগে: