উত্তেজনা ছড়াইনা, কেননা এই মৃত বাদশাহের দেশে আগুনের ফুলকিগুলো শ্মশানের বাহবা বাড়ায়-
সাবাশ বীরেন দাদা!
আমরাও উত্তেজনা ছড়াইনা, আমরা কেবল ছোট ছোট গদ্য লিখি আর পদ্য পড়ি,
যেমন ধরুন—
আমরা কিছুতেই আপোষ করতে রাজী নই, কেননা আমরা বলি রুটি মানুষের সবথেকে প্রয়োজনীয় উপাদান,
এবং তাকে পাবার উপযুক্ত বস্তু হচ্ছে রাইফেল।
তবে দাদা তার জন্য আমাদের গলায় কেউ ফুলের মালা দেয় না।
বরং আমাদের বুকের ঠিক যেই যায়গাটায় হৃদপিন্ড সেখানে গুলিবিদ্ধ করে জার্মান মাউজার।
অতঃপর সিলভেস্ত্রেস রেভ্যূলতাসের মত মানুষ যখন চুড়ান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করেন ভূমিতে
উত্তেজনা ছড়াইনা, কেননা এই মৃত বাদশাহের দেশে আগুনের ফুলকিগুলো শ্মশানের বাহবা বাড়ায়-
সাবাশ বীরেন দাদা!
আমরাও উত্তেজনা ছড়াইনা, আমরা কেবল ছোট ছোট গদ্য লিখি আর পদ্য পড়ি,
যেমন ধরুন—
আমরা কিছুতেই আপোষ করতে রাজী নই, কেননা আমরা বলি রুটি মানুষের সবথেকে প্রয়োজনীয় উপাদান,
এবং তাকে পাবার উপযুক্ত বস্তু হচ্ছে রাইফেল।
তবে দাদা তার জন্য আমাদের গলায় কেউ ফুলের মালা দেয় না।
বরং আমাদের বুকের ঠিক যেই যায়গাটায় হৃদপিন্ড সেখানে গুলিবিদ্ধ করে জার্মান মাউজার।
অতঃপর সিলভেস্ত্রেস রেভ্যূলতাসের মত মানুষ যখন চুড়ান্তভাবে প্রত্যাবর্তন করেন ভূমিতে
তখন ল্যাটিন আমেরিকার বাতাস কি গুঞ্জন ছড়ায় তা জানে শুধু একজন তিনি পাবলো নেরুদা।
নবী জরথুস্তকে আমরা অন্তর থেকে শ্রদ্ধা,ভক্তি, ভালোবাসায় সিক্ত করি এই মর্মে যে,
তিনি বললেন, “চুড়ান্ত সত্য বলে কিছু নেই। প্রত্যেক চুড়ান্ত সত্য অপর এক চুড়ান্ত সত্যের অধীন।”
১. জঙ্গল আমাদের ফিরায়ে দেন বাবুরা, আর যদি দাবী না মানেন তবে নকশাল হয়ে যাবো — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
২. শান্তিপূর্ণ সহবস্থান এটা মনুষ্যত্বের প্রথম সত্য — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
৩. আমরা কেউ কারো কথার সাথে একমত হবো না- এ বিষয়ে একমত — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
৪. অন্ধকার যখন আরো জমবে, ঘুমাবে পাশাপাশি ঐ পাড়াগুলো; কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় তখন বের হবেন, তখন তার হাতে থাকবে টাঙ্গি যাতে রক্তের দাগ লেগে আছে — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
৫. মানুষ জন্মায় — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
৬. মানুষের মৃত্যু হয় — এটাও চুড়ান্ত সত্য।
৭. সবাই উদ্বাস্তু, কেউ উৎখাত ভিটেমাটি থেকে, কেউ উৎখাত আদর্শ থেকে —
মহামান্য সক্রেটিস এবার আপনি বলুন এই দুয়ের মধ্যে কোন দল চুড়ান্ত সত্য!!!
—- লেখক : এস এম তুষার
লেখক পরিচিতি :
এস এম তুষারের পুরো নাম ‘সাদেকিন মোর্শেদ তুষার’।
বরিশাল এর ঐতিহ্যবাহী বি এম কলেজের সামনেই তার বাসা। ছোট বেলা থেকে এলাকাতেই বেড়ে ওঠা তার, তবু সবার চেয়ে কেমন যেন একটু আলাদা। বাড়ির উঠোনের কলেজটি থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতোকত্তর ডিগ্রী নেয়ার অনেক আগে থেকেই
সে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতা পেশার সাথে। স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করছেন তিনি। তবে সাংবাদিকতা তার জীবনের একটা অংশ মাত্র। স্বপ্ন ছিল তার ফিল্ম বানানো। বিপ্লবী সিরাজ সিকদারের জীবন কাহিনী অবলম্বনে “গনযুদ্ধের পটভূমি” নামের একটি ‘ডকু-ফিকশন'(তুষার ভাইয়ের ভাষায়) ধারার শর্ট ফিল্ম তৈরী করেছিলেন তিনি। যার অধিকাংশ কলা-কুশলীরা ছিলেন ব্রজমোহন থিয়েটারের সেই সময়কার কর্মী। সেই শর্ট ফিল্ম এর এমনই এক কুশলী (অভিনেতা) বর্তমানে বরিশাল অমৃতলাল.মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিক দেবাশীষ চক্রবর্তী একবার কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন,
‘সিরাজ সিকদারের উপর ঐ কাজটির পূর্বে বা পরবর্তীতে আজ পর্যন্ত ঐরকম আর কোন কাজ হয়নি । অথচ ঐ কাজটির কোন প্রিন্টও পাওয়া যাচ্ছেনা।’ বিভিন্ন জনের সাথে এনিয়ে আলাপকালে জানা গিয়েছে ইতিহাসের বিতর্কিত চরিত্র বিপ্লবী সিরাজ সিকদারের জীবন কাহিনী নিয়ে নির্মিত হওয়ার কারনেই ঐ শর্ট ফিল্মটির সব প্রিন্ট রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা বাহীনি ডিজিএফআই পুড়িয়ে ফেলেছিল। ঐ সময় এস এম তুষার’ও তাদের অত্যাচারের শিকার হয়েছিল বলে কেউ কেউ জানিয়েছেন। তবে নির্ভরযোগ্য কোন সূত্র এর সত্যতা নিশ্চিত করেনি। অবশ্য এর পরপরই শুরু হয় তার সমাজবিচ্যুত জীবন যাপন।
ব্যক্তিগতভাবে আমার একজন প্রিয় কবি ও লেখক এস এম তুষার। তাকে আমরা ডাকি ‘ওস্তাদ’ বলে।
তার লেখা গান ও কবিতা আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।
আত্মীয়তা সূত্রে তিনি সিরাজ সিকদারের ঘনিষ্ট সহচর বিপ্লবী কবি হুমায়ুন কবিরের ভাগ্নে। তার লেখায় তার এই বিখ্যাত মামার প্রভাব ব্যাপক বলে তিনি নিজেই স্বীকার করেন। গদ্য ও পদ্য-এ দুই ধারারই বহু বইয়ের রচয়িতা তিনি। এর মধ্যে ‘অস্ত্র জাতির শেষ কথা’ তার অনবদ্য সৃষ্টি বলে জানিয়েছেন বরিশালের স্থানীয় বোদ্ধা মহলের একাধিক সিনিয়র ব্যক্তিত্ব।
রাজনৈতিক আদর্শেও তিনি তার মামা ধারা প্রভাবিত।
এখনো বেঁচে আছেন এস এম তুষার। তবে তার শরীরের অবস্থা ভালো নয়। অধিকাংশ সময় বাসাতেই থাকেন তিনি। তবু এখনো স্বপ্ন দেখেন বিপ্লবের।
একটি ‘আর্মস রেবুলেশনের’। মাঝে মাঝেই কয়লা বা ইট দিয়ে দেয়ালের উপর আনমনে লিখে যান তার জীবনের সবচে প্রিয় শ্লোগান-
“পুঁজিবাদ নিপাত যাক,
সর্বহারা মুক্তি পাক” ।
বা কখনো বিমগ্ন চিত্তে লিখতে থাকেন স্বরচিত শিব সংগীত- “অন্ধকার আর নামবে না মা/
খান্ডব’ও বনেতে আর/
যদু বংশ ধ্বংস হবে/
থাকবেনা কৌরব যোদ্ধারা/
পশ্চিমের বসতি জ্বলে মা/
ঝরো হওয়া বয় যে ঐ/
মহাবীর কর্ণের জয় হোক/
বলবেনা আর রণাঙ্গণ।”
এক নজরে তার কর্মযজ্ঞ :
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে খবর গ্রুপ অব পাবলিকেসন্স ছাড়াও বরিশালের স্থানীয় দৈনিক শাহনামা, দৈনিক পল্লীঅঞ্চল, সাপ্তাহিক ইতিবৃত্ত, দৈনিক প্রবাসী, ও দৈনিক আজকের বার্তায় কাজ করেছেন।
১৯৯৫ সালে তুষারের প্রথম গ্রন্থ ‘অস্ত্র যাদের শেষ কথা’ প্রকাশ করে নুজাইম প্রকাশনী। পরবর্তী দু’বছরে তার আরো দুটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। এগুলো হচ্ছে বাংলাদেশের গোপন রাজনীতি (১৯৯৬) এবং ক্যাপ্টেনের মৃত্যু সংবাদ (১৯৯৭)।
এর আগে ১৯৮৯ সালে তুষার নির্মাণ করেন নিরীক্ষাধর্মী চলচিত্র ’দ্যা গ্রাউন্ডস অব দ্যা পিপলস ওয়ার (গনযুদ্ধের পটভূমি)’। সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গড়ে ওঠা প্রতিরোধ আন্দোলনের অন্যতম নেতা সিরাজ সিকদারের কাব্যগ্রন্থ ‘গনযুদ্ধের পটভূমি’ অবলম্বনেই এটি নির্মিত হয়। তুষারের দাবি, ডেনমার্কের দার্শনিক সোরেন কিয়ের্কেগার্ডের অস্তিবাদী দর্শনের ভাবাধারায় তিনি এ চলচিত্রটি নির্মাণ করেছেন।
কাব্যচর্চার পাশাপাশি প্রাচীন দর্শন, ধর্মতত্ত্ব ও জ্যোর্তি-পদার্থ বিজ্ঞান লেখা-লেখি করেছেন এবং করছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি সংকেত বিজ্ঞান এবং স্যার স্টিফেন হকিংস’র ‘দ্যা থিউরি অব-ইনফ্লেশন’ নিয়ে গবেষনা করছেন।
নতুন একজন লেখকের সাথে পারিচিত
নতুন একজন লেখকের সাথে পারিচিত হলাম ।ধন্যবাদ ।
আপনার লিখায় সম্বোধনের ক্ষেত্রে একবার ‘সে’ আবার একবার ‘তিনি’ ব্যবহার করেছেন যা পড়তে গেলে দৃষ্টিকটু লাগে ।এরকম কোন লিখা হলে পরবর্তীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি ।
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: