একটা বিষয় প্রায়শই লক্ষ করা যায় তা হচ্ছে আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবী বা ভালো দেশপ্রেমিকেরা আমাদের সাথে পাকিস্তানীদের তুলনা করে। তারা বারবার প্রমাণ করার চেষ্টা করে আমারা বাঙালীরা পাকিদের থেকে অনেক অনেক বেশি ভালো। পাকিস্তানে কোথাও বোমা ফাঁটলে ব্লগ ফেবু তে অনেকেই পোস্ট করে, অনেক বুদ্ধিজীবীরা আলোচনার টেবিলে বারবার স্বরণ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে যে আজ আমাদের দেশে এমন হয়নি। পাকিরা ক্রিকেটে হাড়লেও আমরা নিজেদের সাথে তুলনা করি। পাকিস্তান এ কোথাও তালেবানের আক্রমণ হলে আমাদের সাথে তুলনা করে, যেন তাদের চেয়ে আমারা অনেক বেশি ভালো অবস্থানে আছি। অপ্রাসঙ্গিক কথা কিছুটা বলা দদরকার তা হল, আমরা বাঙালী আমাদের সভ্যতা অনেক পুরোনো। পৃথিবীর এই বদ্বীপ অঞ্চল টা অনেক বেশি সমৃদ্ধ ছিল ওই সিন্ধুর আশপাশ থেকে। এই অঞ্চলেই বানিজ্য করার জন্য ক্রিস্টিফার কলম্বাস জাহাজে বেড়িয়ে পরে। এই অঞ্চলের খুব ভালো বর্ণনা পাওয়া যায় ইবনে বতুতার বক্তব্য থেকে, কত বেশি সমৃদ্ধ অঞ্চল ছিল তা ইতিহাস বলে। ১৯৪৭ এর পর পাকিস্তানের ভিন্ন দুইটি প্রদেশে বিভক্ত হয়। এই দুই প্রদেশের পশ্চিম অংশ ছিল শোষক আর পূর্ব অংশ শোষিত। এই বৈষম্য যখন অসভ্য পর্যায়ে হয়ে উঠে তখন নির্বাচন দেওয়া হয় পাকিস্তানে। কথা থাকে এই নির্বাচনের বিজিতরা ক্ষমতার আসনে বসবে। এবং এই নির্বাচনে জয়লাভ করি আমরা। আমি বলব পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান আমাদের নিজেদের। সুনির্দিষ্টভাবেই বলা যাই অবিভক্ত পাকিস্তান আমাদের, ওটাও ওদের নিজের না। কিন্তু তারা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে যুদ্ধ করতে বাধ্য করল। সেই অর্থে খুব সহজেই বলা যায় ওরা ছিল নিমকহারাম জাতি, একটা বেইমান জাতির সাথে নিজের তুলনা করার মানে কি, নিজেদের হেয় করা বা দুর্বল মনে করা নয়। হ্যাঁ আমি বলতে চাচ্ছি যদি তুলনায় করতে ইচ্ছে করে তবে ইংল্যান্ড এর সাথে করুক, যেন রাষ্ট্র উন্নত হয়, দেশ ভালো থাকে দেশের মানুষ ভালো থাকে। যদি তা না করে আমরা পেছনের সাথে তুলনা করি তবে সেটা কি উন্নতির আর মহাত্বের গলায় দড়ি দেওয়া হয় না? আমি মনেকরি তুলনা করতে হলে শুয়োরের চেয়ে ঘোড়া অনেক বেশি উত্তম।