আঠারো বছর হতে চলল। এর পেছনের ১০ বছর আগের কথাই মনে করতে গেলে বেশ হিমশিম খেতে হয়….
রাণীগঞ্জ , আটোয়ারী উপজেলা, পঞ্চগড় ।
আমরা তখন সেখানেই থাকি। আমার জন্মস্থান এই রাণীগঞ্জেই।সময়টা যতদূর মনে পড়ে ২০০১/২০০২ এর দিককার।
আঠারো বছর হতে চলল। এর পেছনের ১০ বছর আগের কথাই মনে করতে গেলে বেশ হিমশিম খেতে হয়….
রাণীগঞ্জ , আটোয়ারী উপজেলা, পঞ্চগড় ।
আমরা তখন সেখানেই থাকি। আমার জন্মস্থান এই রাণীগঞ্জেই।সময়টা যতদূর মনে পড়ে ২০০১/২০০২ এর দিককার।
ছোট বেলায় আমার বড় বোন আর আমি বাবার আঙুল ধরে বিকেল বেলা বাজারে যেতাম-এটা ছিল আমাদের রোজকার রুটিন। আপু কোন পরীক্ষায় ফার্স্ট হলে সেদিন সিদ্দিকের দোকানের চানাচুরের সাথে বোনাস হিসেবে পেতাম বাদামে ভরা কটকটি। সকাল বেলা ভাই বোনের হাত খরচ ছিল জনপ্রতি ২ টাকা। মুন্সীর হোটেলে দুইটা করে পরোটা আর ফ্রী ডাল খেতাম। ছোট বেলায় “মন মানে না” নামের খাদ্যটিও বেশ পছন্দের ছিলো। এই ছোট বেলায় মিস্ত্রি চাচ্চু নামের এক লোকের সাথে আমার পরিচয় হয়। আমার কাজ ছিল তার কাছ থেকে তীর ধনুক , ঘুড়ি এসবের আবদার করা আর, তিনি হাসি মুখে বানিয়ে দিতেন। আমার সাতটা কুকুর ছিল ,কিন্তু সমস্যার কথা হল “টুলু” নাম দিয়েছিলাম একটির । এই টুলু নামে ডাকলে সব কয়টিই সাড়া দিত…
এর পড়ে আটোয়ারী তে চলে আসি। নতুন নতুন বন্ধু হয়, নতুন শহর। প্রথম বন্ধু হয় “মণি” নামে এক মাসুম বাচ্চার। সে এখন চুয়েটের ছাত্র। রয়েল, নিলয়, অভি, আরেক অভি, জয়, জয় বিশাল বাহিনী। সবাই বন্ধু ছিলাম। খুব ভালো বন্ধু। আমি যখন ক্লাস টু এর ছাত্র তখন একটি ছেলের সাথে পরিচয় হয়, খুবই ভালো বন্ধুত্ব হয়। হওয়ার কারণ ছিল বটে, আমি স্বভাবতই খুব খারাপ স্টুডেন্ট ছিলাম (এই খারাপ ছাত্রের ধারাবাহিকতা ক্লাস টু পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকে!!) রোল ছিল সবার শেষে । সজীব অন্য স্কুল থেকে আমাদের স্কুলে আসে, তার রোল ছিল আমার পড়ে। আমার খুশি আর দেখে কে? আমার শেষেও একজন ছাত্র আছে….
নাজিরুল স্যার , মানিক স্যার, শামসুল স্যার আমার নির্বুদ্ধিতায় কোন বুদ্ধি না দান করে বেধড়ক মারতেন। আমি খেয়ে চুপচাপ থাকতাম। পরে অবশ্য মানিক স্যার আমাকে পড়াতেন। আমি আজকে যেই হই তার অবদান অনেকটাই এ ব্যাক্তিটির। আমাকে উৎসাহ দিয়ে পড়িয়েছিলেন। রয়েল, প্রভা আর আমি স্যারের প্রথম ছাত্র।
নাজিরুল স্যার স্কুলের শেষ দিন আমাকে বলেছিলেন,”গাধা যখন মানুষ হয়, পরে আর কোনদিন গাধা হয় না, তুই সারাজীবন মানুষ হয়ে থাকবি দুয়া করলাম।”
মানিক স্যার, লবীন স্যারের কদমবুসি করার সময় তারা বাচ্চার মত কাঁদছিলেন…..
নিষ্পাপ সে কান্নার সুর, সে ছিল কিছু সন্তান হারানোর কান্না…..
আমার পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়া শেষ…..
ঠাকুরগাঁও
অবশেষে আসলাম নিজ জেলায়। আমার দাদা ছিলেন খানকাহ এর অধিবাসী । পরে শিবগঞ্জে তারা শিফট করেন। কেউ যদি বলে তোমরা কি ঠাকুরগাওয়ের স্থানীয়? সে জন্যই আমি বলি হ্যা।
ক্লাস ফাইভে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাইয়া জিলা স্কুলে চান্স পাইলাম। অপরদিকে আমার বোন ক্লাস এইটে জিলা প্রথম, এবং এসএসসি তে গোল্ডেন পেয়ে সরকারি কলেজ , ঠাকুরগাঁও তে ভর্তি হইল।
তারপরের সময়টা হল আমার আবেগ- বিবেক ,অনুভূতি গুলোর পাখা মেলবার সময়।
বড় মধুর সে সময়…..
থাক, আর লিখব না। স্কুল লাইফ সম্পর্কে কোন কিছু লিখতে গেলেই কেন যেন চোখ দুইটা ঝাপসা হয়ে আসে….
স্মৃতিতে যতটুকু উকি দেয় লিখলাম, কিছু জিনিস বাদ পড়ে গেছে যা এখন মনে আসছে….
স্মৃতি শুধুই ধোকা দেয়,
বাকিটা আরেকদিন শুনাব……
বাকিটুকু আর একদিন শুনলেই ভালো
বাকিটুকু আর একদিন শুনলেই ভালো হয়।
পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি চোখের
পুরনো দিনের অনেক স্মৃতি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠল আপনার লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও বাস্তবতা ভুলিয়ে ছেলেবেলায় ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।
সুঁখের স্মৃতি মানুষকে কাদায়!
সুঁখের স্মৃতি মানুষকে কাদায়!