একটা কবিতা লিখব বলে, আমি বসে থাকি;
বসে থাকি বর্ণমালার সায়রে,
নিস্তব্ধ শ্মশানে,
খোলা শাওয়ারের নিচে,
চায়ের দোকানে,
ঘন্টার পর ঘন্টা, প্রসব বেদনা নিয়ে।
কখনো হাঁটি রাতের আঁধারে;
অশরীরী আত্মার মত।
যেন অনেক শব্দে খুজে ফিরি কাঙ্ক্ষিত নীরবতা;
যেন অবোধবুকে বয়ে বেড়াই কৃষ্ণকলির ব্যাথা।
উদ্ভ্রান্তের মত, ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মত, ঢুকে যাই নিজের ভেতরে;
হাতরে বেড়াই, তন্ন তন্ন করে খুঁজি;
শব্দ খুঁজি, ছন্দ খুঁজি, খুঁজি নতুন ভাব।
একটা কবিতা লিখব বলে, আমি বসে থাকি;
বসে থাকি বর্ণমালার সায়রে,
নিস্তব্ধ শ্মশানে,
খোলা শাওয়ারের নিচে,
চায়ের দোকানে,
ঘন্টার পর ঘন্টা, প্রসব বেদনা নিয়ে।
কখনো হাঁটি রাতের আঁধারে;
অশরীরী আত্মার মত।
যেন অনেক শব্দে খুজে ফিরি কাঙ্ক্ষিত নীরবতা;
যেন অবোধবুকে বয়ে বেড়াই কৃষ্ণকলির ব্যাথা।
উদ্ভ্রান্তের মত, ক্ষ্যাপা ষাঁড়ের মত, ঢুকে যাই নিজের ভেতরে;
হাতরে বেড়াই, তন্ন তন্ন করে খুঁজি;
শব্দ খুঁজি, ছন্দ খুঁজি, খুঁজি নতুন ভাব।
কিন্তু, ওরা তো এখন আলেয়ার আলো হয়ে গেছে;
কুহকিনী রাজকন্যা হয়ে গেছে;
ধরা দেয়না আর পুরনো প্রেমিকের কাছে।
কথা নেই, আহ্লাদ নেই, মাখামাখি নেই।
ব্যর্থ, অবসন্ন, ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে আসি;
পৃথিবীটাকে লণ্ডভণ্ড করে দিতে ইচ্ছে করে;
পূর্ণ হয়ে ওঠে পেপারবিন।
চায়ের কাপে দুঃস্বপ্ন ভাসে।
গোধূলির গালে চুমু আঁকা দিনগুলি মোর,হারিয়ে গেছে;
সেঁধিয়ে গেছে মহাজনের সিন্দুকে, লিলুয়া বাতাসে।
স্মৃতি নিয়ে তাই বাঁধি খেলাঘর, বন্দি স্বীয় পিঞ্জরে;
চেনা পাখিটারে খুঁজে ফিরি সদা, চন্দ্রস্নাত ঝিলপাড়ে।
কিন্তু জানেন, একটা সময় সবই ছিল ভালো;
জানলা বেয়ে নামতো ঘরে দুর-গ্রহের আলো।
কবিতা এসে ভর করত আমার উপর;
উড়িয়ে নিত, ভাসিয়ে নিত, বসিয়ে দিত মেঘের ডানায়।
শব্দেরা সব আঁকুপাঁকু করত;
অপেক্ষা! কী শ্বাসরুদ্ধকর অপেক্ষা!
কখন আসবে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ!
কখন তাদের মুক্তি দেওয়া হবে!
কলমের খোঁচায় ইতি ঘটবে প্রসববেদনার!
আবার কখনো কোন ঘুম পালানো, তাল হারানো, মন খারাপের রাতে,
চুপটি করে এসে বসত আমার শিয়রে;
কানে কানে বলত-
কি! মন খারাপ?
মনের আর কী দোষ বল! সদাই তুমি বকো;
পুরনো ক্ষতে আঁচড় কেটে, আবার রক্ত ঢাকো।
আছ তুমি একটু পাষাণ, আছ একটু বোকাও;
রোজই তুমি পাথুরে মুখে দুর্বলতা লুকাও।
যাক সে কথা, এখন চলো আমার সাথে ছাদে;
দেখাই তোমায় একটা ঘুঘু গভীর সুখে কাঁদে।
আমিও স্বভাবমতই বলতাম-
আমার দুঃখ বইব আমিই, তুমি এখন ভাগ!
দেখতে আমি চাইনা কিছুই, নিজের কাজে লাগ।
না, একথায় সে ঠোঁট ফোলাত না;
শক্ত মেয়ে কিনা!
বরং, মেলে ধরত তাঁর মোক্ষম অস্ত্র;
সেই জোড়া টলটলে দিঘী;
সেই হরিণাক্ষের পানে চেয়ে, “না” বলবে, এমন সাধ্য কার!
শুরু হত মোদের রাত্রিবিলাস;
খোলা ছাদ, আমি আর কবিতা।
মৃদঙ্গ বাজাত হৃদপিণ্ড;
রক্তে ছুটত রেসের ঘোড়া।
কল্পনার ভেলায় চড়ে, আমরা ছুটে চলতাম;
ছুটে চলতাম স্বর্গে, মর্তে, নরকে।
সঙ্গী হত ক্ষ্যাপা বাউল;
মেঠো পথের স্নিগ্ধ বকুল।
কখনো আবার জুটত এসে, ছলনাময়ী চাঁদটাও।
কিন্তু, সেদিকে দেখার ফুরসত কই আমাদের!
আমরা তখন, মগ্ন ভীষণ, প্রণয়সুখে।
কবিতা আলতো করে রাখত মাথা, আমার কাঁধে;
আঙুলের আঙুল মিলত তৎক্ষণাৎ।
ঠোঁটেরা তখনো অনেক দূরে,
তবুও যেন লজ্জা পেত শশাঙ্ক;
লুকিয়ে পড়ত এক টুকরো মেঘের আড়ালে।
ওদিকে আবার পেঁচা সমাজ নাখোশ মোদের কর্মে;
নচ্ছার মোরা দিয়েছি নাকি চিমটি তাদের ধর্মে!
কানাকানি! কানাকানি! ধুতি ধরে টানাটানি!
প্রার্থনা করে বলত ওরা-
হে সূর্যদেব!
তুমি আজ ত্বরা করে, উঠে পড় গগনে;
পাপাচারী দূরে যাক, সুধা বউক ভুবনে।
ঠোঁটের কোনে, হাসি টেনে, দেখতাম মোরা রঙ্গ;
নিজের নাকটা কেটে এ যে অন্যের যাত্রাভঙ্গ।
তাতেই বা কার কী আসে যায়!
আমরা তখন মান ভুলেছি;
খেয়ালী খোদার ভান ভুলেছি;
বুকে শুধুই গান, চেনা সুরের তান।
তারপর, হঠাৎই, রাতের নীরবতা চিড়ে দিত,
মুয়াজ্জিনের কর্কশ, বেসুরো আর্তনাদ;
সাথে তাঁর গলা মেলাত একদল কুকুর।
সাঙ্গ হত রাত্রিবিলাস; গরাদ ভাঙা একটুকু শ্বাস।
বিদায়-বেলা সন্নিকটে;
শেষ চুম্বন কবির ঠোঁটে।
সেই যে গেল কবিতা, আর ফিরে এল না;
কবির হাতে অমর কাব্য লেখা হলনা।
বিলাপ করে বিমূর্ত রাত,সাথে নিয়ে একফালি চাঁদ;
কবির চোখে জলের প্রপাত, বুকের মাঝে এক ফরিয়াদ।
কবিতা!, ও কবিতা!
তুমি ফিরে এসো, তুমি ফিরে এসো;
ফিরে এসো মোর মনখারাপের রাতে।
তোমাকে আমার চাই!
সমগ্র অস্তিত্ব, সর্বস্ব দিয়ে চাই;
তুমি যে মোর চতুর্থ রক্ত কনিকা।
তুমি দেখে নিও, দেখে নিও প্রিয়ে,
তুমি আর আমি যখন ইতিহাস হব,
এই প্রতিটি রাত, প্রতিটি বিমূর্ত রাত,
তখন মহিমান্বিত হবে!
কবিতা ও তার প্রেমিকের জন্য
কবিতা ও তার প্রেমিকের জন্য শুভকামনা। ভাব অনেক বেশি
ধন্যবাদ, বাঙালি ভাই।
ধন্যবাদ, বাঙালি ভাই। :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :বুখেআয়বাবুল:
কথা হবে কবিতায়।
(No subject)
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
(No subject)
:বুখেআয়বাবুল:
সুন্দর। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ
সুন্দর। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ পোস্টটির জন্য 🙂 :ধইন্যাপাতা: :থাম্বসআপ: :তালিয়া: :ফুল: :ফুল: :ধইন্যাপাতা:
ধন্যবাদ;
আমার কাব্যের
ধন্যবাদ; :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা:
আমার কাব্যের জগতে স্বাগতম। :ফুল:
বিদায়-বেলা সন্নিকটে;
শেষ
— :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :bow: :bow:
কিছু কিছু অংশ খুবই চমৎকার লাগল! আর কিছু কিছু লাইন ঠিক কবিতা হয়ে উঠে নি! ভাল লাগল… কবির জন্যে শুভ কামনা! চলুক তবে কাব্য চর্চা…
ধন্যবাদ, তারিক ভাই;
ধন্যবাদ, তারিক ভাই; :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :বুখেআয়বাবুল:
বিশ্লেষণটাও চমৎকার ছিল; :থাম্বসআপ:
কিছু কিছু চরণ নিজের কাছেই মনে হয়েছে যে, ঠিক কবিতা হয়ে ওঠেনি; তাই ঘষা-মাজা চলবে।
আমার ভালোই লাগছে। চালিয়ে যান
আমার ভালোই লাগছে। চালিয়ে যান লেখালেখি।
আতিক ভাই, আপনি বোদ্ধা পাঠক;
আতিক ভাই, আপনি বোদ্ধা পাঠক; মন্তব্যে উৎসাহিত হলাম।
ধন্যবাদ। :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :খুশি: :বুখেআয়বাবুল:
বিদায়-বেলা সন্নিকটে;
শেষ
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
(No subject)
:খুশি: :ধইন্যাপাতা: :ধইন্যাপাতা: :নৃত্য: :নৃত্য: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: