জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে লেখা এবং নাস্তিক্যবাদ প্রচারের অভিযোগে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কলেজের দুই ছাত্র রাহি এবং উল্লাসকে ব্যাপক মারধোর করেছে বেজন্মা জামাত-শিবির। সকাল এগারোটা নাগাদ তারা আসন্ন এইচ.এস.সি পরীক্ষার এডমিট কার্ড আনতে গেলে, আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা বেজন্মা জামাত-শিবিরেরা তাদের ডেকে নিয়ে যায় নির্জনে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফারাবী, বালেরকেল্লা এইসব স্থানে রাহী এবং উল্লাসের করা কিছু মন্তব্য তারা সংগ্রহ করে। প্রায় ৫ থেকে ৬ পাতার একটি প্রচারপত্র তারা বানায়। যেখানে প্রথম মন্তব্যটি যেকোন মানুষকে ভড়কে দিতে যথেষ্টই নয় বরং তার চাইতেও বেশি।
জামায়াত শিবিরের বিরুদ্ধে লেখা এবং নাস্তিক্যবাদ প্রচারের অভিযোগে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কলেজের দুই ছাত্র রাহি এবং উল্লাসকে ব্যাপক মারধোর করেছে বেজন্মা জামাত-শিবির। সকাল এগারোটা নাগাদ তারা আসন্ন এইচ.এস.সি পরীক্ষার এডমিট কার্ড আনতে গেলে, আগে থেকেই ওঁৎপেতে থাকা বেজন্মা জামাত-শিবিরেরা তাদের ডেকে নিয়ে যায় নির্জনে।
পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফারাবী, বালেরকেল্লা এইসব স্থানে রাহী এবং উল্লাসের করা কিছু মন্তব্য তারা সংগ্রহ করে। প্রায় ৫ থেকে ৬ পাতার একটি প্রচারপত্র তারা বানায়। যেখানে প্রথম মন্তব্যটি যেকোন মানুষকে ভড়কে দিতে যথেষ্টই নয় বরং তার চাইতেও বেশি।
প্রথমে টেক মসজিদের ভেতরে নিয়ে মারধোর করতে করতে তাদের মূল রাস্তায় নামিয়ে আনলে, সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মাফিক অপেক্ষারত আরো কিছু বেজন্মা জারজের বাচ্চারাও তাতে অংশ নেয়। এদিকে আগে থেকেই ছেপে রাখা প্রচারপত্রগুলো জনসাধারণের মাঝে বিলি করতে থাকে বেজন্মারা। স্বভাবতই “ধর্মানুভুতি”(!)তে চরম আঘাত পায় কড়া মাপের আস্তিকীয়রা।
অনতিদূরেই পুলিশ স্টেশন আর তাই দেরী হয়নি সেখান থেকে পুলিশ আসতে। ধোলাইয়ের হাত থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। “ধর্মানুভুতিতে”(!) আঘাত প্রাপ্ত ধার্মিক এবং তাদের অনুভুতি জাগানো বেজন্মারাও পুলিশের পেছন পেছন থানাতে যায়। যারা চট্টগ্রাম থাকেন তারা ভালো করেই জানেন ঐ চকবাজার এলাকাটি শিবিরদের চারণভুমি। চকবাজার থানার পাশেই ইস্লামিক বেনক, ইস্লামি বেনক ইনিস্টিটিউট, প্রবাহ, রেটিনা সহ অন্যান্য নানা প্রতিষ্ঠান। সুতরাং ঐ এলাকায় তাদের জনবলের অভাব নেই। থানা সহ আশেপাশের দোকানিদের থেকে খবর নিয়ে দেখলাম ঘটনা সত্য, ঐ মুহুর্তে ঐখানে প্রচুর লোক জমা হয়েছিল। চকবাজার থানার ওসি আতিক স্যার পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হলে তিনি এসিকে বিষয়টি জানান, এসি সমস্ত কিছু দেখে এডিসি বনজ কুমারকে জানান। বনজ কুমার পুরো ব্যাপারটি পর্যবেক্ষন করেন। এরপর বিকালে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে, সেখানে ঐ প্রচারপত্রে থাকা মন্তব্য, স্ট্যাটাস সমূহ মিলিয়ে দেখা হয়। পরে তাদের রাতে আবারো থানা হাজতে এনে রাখা হয়।
এই ব্যাপারটি এখনো কেনো মিডিয়াকে জানানো হয়নি এমন প্রশ্নে ঐ থানার একজন কর্মকর্তা বলেন সাম্প্রদায়িকতা উস্কে যেতে পারে এমন ধারণায় তারা ব্যাপারটি প্রকাশ্যে আনতে চায়নি। থানার প্রতিটি কর্মকর্তা খুবই আফসোস করছিলো কেননা রাহি এবং উল্লাস দু’জনেই মেধাবী ছাত্র। অথচ তাদের সম্ভাবনাময় জীবনটি এখন হুমকির মুখে পড়ে গেছে। অন্য ধারায় না দিয়ে ৫৭ ধারায় কেন দেয়া হয়েছে এমন জিজ্ঞাসায় তারা বলেন ঐ মুহুর্তেই মামলা দায়ের করতে জনগণ চাপ দেয় এবং ঘটনাটি যেহেতু আইটি বিষয়ক তাই তাদের আর কোন কিছু করার ছিলো না!
একটা বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতেই হবে যে, বর্তমান সময়ে এই দেশের ধর্মপ্রান আস্তিকদের সংখ্যা বেশি এবং সেই সাথে তাদের সেই “ধর্মানুভূতি”ও। রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করে দেখেছি তারা এই ব্যাপারে জানেন এবং তারাও ঐ আস্তিকদের পর্যায়ে পড়ে ঐরকম একটা ব্যবহার করছেন। কেননা পুলিশের কাছে তদবির করা মাত্রই পুলিশ ঐ প্রচারপত্রটি দেখিয়ে দিচ্ছেন! ফলে ব্যাপক অসহায় হয়ে পড়েছে রাহি এবং উল্লাস। সবচেয়ে আশ্চর্যান্বিত হয়েছি উল্লাসের পরিবার থেকে নিয়োগকৃত উকিলের ব্যবহারে! ঐ উকিল স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছে সে আর এই মামলা নিয়ে লড়বে না। কেননা তারা তার ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। সে তার ধর্মের উর্দ্ধে গিয়ে কিছু করবে না।
বিকাল সাড়ে চারটার পরে চট্টগ্রাম নতুন আদালত ভবনের ২০৮ নম্বর রুমে এই মামলার কাজ চলে। সেখানে উল্লাসকে হাজির না করে শুধু রাহিকে হাজির করা হয়। সেখানে ভীষণভাবে ভেঙ্গে পড়ে রাহি, খুব কাঁদছিলো ছেলেটি। এরপর বিচারক তাদের রিমান্ড মঞ্জুর না করে, জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলে পাঠিয়ে দেয়।
শেষে যখন ফিরে আসছিলাম তখন খুবই খারাপ লাগছিলো। দেখছিলাম দিক-বিদিক জ্ঞানশুন্য হয়ে গেছে রাহির বাবা, কাঁদতে কাঁদতে পাগলপ্রায় তার মা। দেশীয় আইন অনুযায়ী নাবালক ছেলেগুলোর কথা ভেবে মুষড়ে পড়ছিলাম বারবার। এখনো মাত্র সতেরো বছর বয়স, অথচ এই বয়সেই তাদের আসামী বানিয়ে পাঠিয়ে দেয়া হলো চার দেয়ালের মাঝে! সময়টা এখন তাদের খুবই ঝুঁকিপূর্ণ আর এই সময়েই কিনা তারা গিয়ে পড়ল কুখ্যাত সব আসামীদের মাঝে! একবার ভাবুন কি শিখে বের হবে তারা! কেমন মানুষদের সংস্পর্শে থাকবে তারা! কী হবে তাদের আগামীর ভবিষ্যত!
জেলের ভেতরটা কতটা খারাপ তা একমাত্র ঐখানে যারা থেকে এসেছে তারাই জানে। ঐখানে যারা থাকে তারাতো সাধারণের চাইতে আরো অতিমাত্রার আস্তিক, একবার ভাবুন যখন তারা জানবে এরা কি দোষে এসেছে কি অবস্থাটা হবে তাদের! তার চাইতেও বড় কথা অনেক বছর যাবৎ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বেশ আরাম-আয়েশে আর প্রভাবের সাথেই আছে কুখ্যাত সন্ত্রাসী শিবির নাছির। এসব আর ভাবতে পারছি না, নিজেকে বড় অসহায় মনে হচ্ছে এই মুহুর্তে!
আর কিছু না হোক অন্তত তাদের বয়েসটা বিবেচনা করা দরকার ছিলো বিচারকের…….
[এখানে যেসকল তথ্য তুলে ধরেছি তা সম্পূর্ণরুপেই বিভিন্নজন থেকে জেনে নিয়ে। কিছুটা থানা, কিছুটা উল্লাসের পরিবার আর কিছুটা নিজের জানা থেকে]
বয়সের বিষয়টা প্রাধান্য দেওয়া
বয়সের বিষয়টা প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ ছিল বিচারকের, যেহেতু এই বয়সটা সকল ছেলে মেয়েদের জন্যই বিভিন্ন দিক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ন।আর আমি মনে করি জেল হেফাজতে পাঠানোর চেয়ে শিশু/কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোই মনে হয় ঠিক হতো।এটা মনে হচ্ছে শুত্রুতা বশত করা হয়েছে। ধর্ম নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি মনে হয় এদেশ থেকে মুছবে না।
এটা মনে হচ্ছে শুত্রুতা বশত
যতদূর জেনেছি ঐ বিচারক বয়সে তরুণ হলেও ভালোমাপের আস্তিক।
মেজাজ চরমে উঠে আছে খবরটা
মেজাজ চরমে উঠে আছে খবরটা শোনার পর থেকে। কিছুই কি করা যায় না! আমারো সামনে পরীক্ষা বেশি সময় দিতে পারছি না। আপনার দেখুন কি করা যায়। অন্তত পরীক্ষাটা যেন দিতে পারে ছেলেটা…
পরীক্ষা দিতে পারবে, কালকেই
পরীক্ষা দিতে পারবে, কালকেই তাদের বইপত্র পৌছিয়ে দেয়া হবে।
আচ্ছা সুমিত দা তার বয়স আঠারো
আচ্ছা সুমিত দা তার বয়স আঠারো হয়নি তবে কেন তাদের জেলে পাঠানো হল? আর এখন সত্যি সত্যি মনে হচ্ছে ৫৭ ধারাটা আমাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে। ও আরেকটা কথা ফারাবী অন্য ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করেও পার পেয়ে যায়। হুঁহ কি হাস্যকর।
—————————————————
বন্ধু শক্ত হাতে ধর হাল,
পাড়ি দিতে হবে অনন্ত পথ দূর পারাবার।…….
এই জিনিসটা আমিও ভাবতেছি, বাকী
এই জিনিসটা আমিও ভাবতেছি, বাকী বিষয়গুলো ব্লগার ব্রহ্মপুত্র বলতে পারবেন। হুম ৫৭ ধারা আসলেই বুমেরাং হয়ে দাঁড়িয়েছে, এই ব্যাপারটা বলেছিল উল্লাসের উকিল।
ফারাবীর ব্যাপারটি নিয়ে আমি কয়েকজনের সাথে কথা বলেছি। সে বর্তমানে হাইকোর্টের আপিল বেঞ্চের জামিনে আছে।সরকারের পক্ষে নতুনভাবে ঐ মামলায় তাকে দায়ী করা যাচ্ছে না, কেউ একজন যদি তার নামে জিডি করে তাহলে হয়তো হতে পারে।
ha ha বুমেরাং
ha ha বুমেরাং ……………।। আর ছেলে ২ টা যেন পরীক্ষা দিতে পারে
চট্টগ্রাম কলেজের সেই শুয়োর
চট্টগ্রাম কলেজের সেই শুয়োর বৎস গুলোর একজনের ফেবু আইডি। তাদের উল্লাস এবং ক্ষমতার দাপট এই কুত্তার বাচ্চার wall এ খুব ভালভাবেই প্রকাশ করেছে
https://www.facebook.com/destroyed.prince.7
সেগুলোর স্ন্যাপশট কি আছে?
সেগুলোর স্ন্যাপশট কি আছে? থাকলে দিবেন অথবা জোগাড় করার চেষ্টা করুন।
পোস্টটা স্টিকি করা যায় কিনা
পোস্টটা স্টিকি করা যায় কিনা এই ব্যাপারটা মাস্টার সাবকে ভেবে দেখার অনুরোধ রেখে গেলাম।
এখন ভেঙ্গে পড়লে বা মেজাজ
এখন ভেঙ্গে পড়লে বা মেজাজ খারাপ করলে চলবে না । ব্যাক্তিগতভাবে ফেসবুক বা অন্যান্য সাইটগুলোতে লিখে এ ব্যাপারে সবাই অভিহিত করতে হবে । চুপ থাকা যাবে না ………
অথচ উল্লাসের বাবা আজ বারবার
অথচ উল্লাসের বাবা আজ বারবার অনুরোধ করছিলো যেন এইসব নিয়ে কথা না বলি!!!
বুঝতে পারি তাদের ভেতর দিয়ে কত
বুঝতে পারি তাদের ভেতর দিয়ে কত বড় ঝড় যাচ্ছে …… কিন্তু তাই বলে চুপচাপ দেখা যাবে না । প্রতিবাদ করতে হবে । প্রয়োজনে শক্ত হতে হবে …
আসলে আমরা অসহায় নই, বঙ্গবন্ধু
আসলে আমরা অসহায় নই, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তার দল, তার সরকার, পুরো আইন শাসন ও বিচার ব্যবস্থা, এমনকি পুরো রাষ্ট্রই ধর্মান্ধ মৌলবাদের কাছে অসহায় ।
তাহলে কি সারাজীবন অসহায়
তাহলে কি সারাজীবন অসহায় থাকবো?
বলতে পারবো না হয়তো একসময়
বলতে পারবো না হয়তো একসময় মুক্তি মিলতেও পারে তবে, আমাদের অসহায়ত্ত্ব যে জলদি ঘুছাচ্ছে না একরকম নিশ্চিত ধরে নিন ।
একটা না একটা সময় তো বিএনপি
একটা না একটা সময় তো বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসবে? তখন ৫৭ ধারা ব্যবহার করে কি করা হবে সেটাই ভাবছি… নাস্তিকদের কথা বার্তায় আনুভূতিতে আঘাত লাগে আস্তিকদের, আস্তিকদের অতি মাত্র্য ধর্ম প্রচার, ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় চাপাচাপিতে নাস্তিক/ ধর্মবিরোধী / আয়গনোস্টিক দের যে বিরক্তি লাগে তার কি হবে?
কি আর হবে? বুমেরাং এর পর
কি আর হবে? বুমেরাং এর পর বুমেরাং!!!
ভালো লাগে না আর…
:দেখুমনা: :দেখুমনা: :দেখুমনা: :দেখুমনা: :দেখুমনা:
ভালো লাগে না আর…
সেইইই…. নিজেকে বড় অসভ্য
সেইইই…. নিজেকে বড় অসভ্য সমাজের বাসিন্দা লাগছে। সবকিছু আসলেই নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে।