Lol এর প্রতিভা নিয়ে আমার কখনোই সন্দেহ ছিল না । সত্যিই সে এক বিকট প্রতিভা , তবে ফুটবলার হিসাবে নয় ,অভিনেতা হিসাবে !! তার অভিনয় প্রতিভা অসলেই বিস্ময়কর, কাল ও তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে একখানা পেনাল্টি হস্তগত করেছিলেন ! রেফারীর বাপের ও এই অসাধারণ অভিনয় ধরার সাধ্য নাই ! আমার সব সময় মনে হয় , রিয়ালের ম্যাচে রেফারীর কোন দরকার নাই ,তার বদলে হলিউডের দুর্দান্ত সব অভিনেতা/পরিচালকদের বা দুঁদে চলচ্চিত্র সমালোচকদের ধরে এনে রেফারী এবং লাইন্সম্যান হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেয়া হোক, কেবল মাত্র তাদের পক্ষেই Lol এর এই দিগ্বিজয়ী অভিনয় নৈপুন্য বিচার করে মাঠে পারফেক্ট ডিসিশন দেয়া সম্ভব !
Lol এর প্রতিভা নিয়ে আমার কখনোই সন্দেহ ছিল না । সত্যিই সে এক বিকট প্রতিভা , তবে ফুটবলার হিসাবে নয় ,অভিনেতা হিসাবে !! তার অভিনয় প্রতিভা অসলেই বিস্ময়কর, কাল ও তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে একখানা পেনাল্টি হস্তগত করেছিলেন ! রেফারীর বাপের ও এই অসাধারণ অভিনয় ধরার সাধ্য নাই ! আমার সব সময় মনে হয় , রিয়ালের ম্যাচে রেফারীর কোন দরকার নাই ,তার বদলে হলিউডের দুর্দান্ত সব অভিনেতা/পরিচালকদের বা দুঁদে চলচ্চিত্র সমালোচকদের ধরে এনে রেফারী এবং লাইন্সম্যান হিসাবে কাজে লাগিয়ে দেয়া হোক, কেবল মাত্র তাদের পক্ষেই Lol এর এই দিগ্বিজয়ী অভিনয় নৈপুন্য বিচার করে মাঠে পারফেক্ট ডিসিশন দেয়া সম্ভব !
যাই হোক, কুড়িয়ে পাওয়া চৌদ্দ আনার মত এই পেনাল্টি থেকে গোল করার পর Lol এর ঐতিহাসিক উদযাপন দেখলে ,যে কেউই ধন্ধে পড়ে যাবে, কেবল মনে হবে – Lol বোধয় জীবনে প্রথমবারের মত পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন !!! তবে বাস্তবতা হচ্ছে তার ক্যারিয়ারের অর্ধেক গোলই পেনাল্টি থেকেই পাওয়া !
আসলে Lol এর এখন ফুলটাইম অভিনয়ে মনোযোগ দেয়া উচিত । গ্যারাণ্টি দিয়ে বলা যায়, সেখানেই তার মেধার পুর্নাঙ্গ স্ফুরণ ঘটবে !! তিনি গত ৫ বছরের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় সর্ব সাকুল্যে একবার ব্যালন ডি অর জয় করতে পারছেন, সে হিসাবে আগামী ৫ বছর লাগবে আরেকটা জয় করতে ! কিন্তু সে যদি হলিউডে যায় ,তাইলে নিশ্চিত ভাবেই ৫ বছরে ৫ টা অস্কার অর্জিত হবে !! তার পক্ষে ব্যালন ডি অর অর্জনের চেয়ে অস্কার পুরস্কার অর্জন করা ঢের সহজ !
আর রিয়ালের পেপের ব্যাপারে কিইবা বলার আছে ! পেপে এমন এক জিনিস ,যাকে বর্তমানে পেপের আড়তদার রা ‘বাংলালিঙ্ক’ দরে ও কিনতে চায় না , কারণ এই পচা জিনিস আড়তে রাখলে, সেখানে থাকা অন্য পেপে গুলোতে ও পচন ধরবে !!
গত ৪/৫ বছর ধরে এমন কোন এল ক্লাসিকো হয় নাই , যেটাতে সে বিশিষ্ঠ ‘বক্সার মোহাম্মদ আলি’র ভূমিকা পালন করে নাই !! কালই বা তার ব্যাতিক্রম হবে কেন , ধারাবাহিকতা রক্ষা করা ফরজ ! মেসির গোল ঠেকাতে না পেরে কাল তিনি চড়াও হলেন ফ্যাব্রেগাসের উপ্রে ! আসলে উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানো রিয়ালের পুরান অভ্যাস ; গোল করছে মেসি, পারলে তার উপ্রে চড়াও হ, এখানে ফ্যাব্রেগাসের কি দোষ !!
ধাক্কাধাক্কি করতে করতে একপর্যায়ে ফ্যাব্রেগাস কে ফেলেই দিলেন পেপে ! অবশ্য এর মাধ্যমে রেফারীর কাছ থেকে প্রীতি উপহার বাবদ ‘হলুদ’ রঙের ভালবাসা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছিলেন তিনি !
যদিও এ ধরণের ‘হার্ডকোর রোমান্টিক সিচুয়েশনে”র রেফারিরা সাধারণত লাল রঙের ভালবাসাই প্রদর্শন করে থাকেন ! অবশ্য এই আক্ষেপ বেশি ক্ষন করতে হয় নাই ,সার্জিও রামোস প্রায় ৭০ মিনিটের দিকে রেফারীর ‘লাল ভালবাসা’ হস্তগত করেই নাচতে ড্রেসিং রুমের দিকে রওনা দিলেন ! ফিলিং সামথিং সামথিং, হ্যালো হানি বান্নি ….
বার্নব্যু তে গিয়ে এওয়ে ম্যাচ জিতে আসা কঠিন মাস্তির ব্যাপার ,তার উপ্রে মেসি হ্যাট্রিক করলে ত সোনায় সোহাগা, ষোলকলা পরিপূর্ণ ! ইনিয়েস্তার দেয়া প্রথম গোলটার ও আশি ভাগ কৃতিত্ব মেসির , ফাকায় দাড়ানো ইনিয়েস্তা কে দূর্দান্ত যে পাস টা দিলেন ,সেটা থেকে গোল না পাওয়াটাই বিস্ময়ের কারণ হত ! কিন্তু ইনিয়েস্তা কাউকে বিস্মিত হবার চান্স দিলেন না, গোলটা করেই ফেললেন ! কাল ইনিয়েস্তা ছিল দুর্দান্ত ,গত কিছুদিন ধরে তার খেলা দেখে মনে হচ্ছে ,আপাতত ক্যারিয়ারে সেরা সময় টা কাটাচ্ছেন তিনি !
তবে মেসির জন্য এ এক অবিস্মরণীয় ম্যাচ । হ্যাট্ট্রিকের পথে প্রথম গোলের মাধ্যমেই এল ক্লাসিকো ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেন ,তাও আবার রিয়াল কিংবদন্তি আলফ্রেডো ডি ষ্টেফানোকে ২ এ ঠেলে দিয়ে ! মাস্তির উপ্রে মাস্তি , ২৭ ম্যাচে ২১ গোল করে এই রেকর্ডটাকে অমরত্বের পথে ঠেলে দিলেন মেসি !
আসলে মেসি আস্তে আস্তে ফুটবলের ব্রাডম্যান হয়ে যাচ্ছেন, যার রেকর্ড ভাঙার কথা কোন ফুটবলার জিন্দেগীতে ও কল্পনা করতে পারবে না !!