একেকজন শাসক,জমিদারদের অধীনে সাধারণত হাজার হাজার শ্রমিক বা অধীনস্থ
থাকে। এইসব শ্রমিকদের ইন্ডিভিডুয়াল শক্তি শাসকদের তুলনায় অনেক কম এবং তাদের
মুখাপেক্ষী থাকে তাই সাধারণত তারা শোষনের স্বীকার হয়।
কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে এই শোষিত মানুষদের মিলিত শক্তি শাসকদের তুলনায়
বহুগুণে বেশি।তারা সবাই মিলে যদি একত্রিত হয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়
তাহলে শাসকরা সত্যিকার অর্থেই তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। কিন্ত
এতগুলো মানুষকে একত্রিত করা সত্যই অসম্ভব। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিগত
সমস্যা থাকে, দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তাদের একত্রিত করার কোন শক্তিশালী মাধ্যম
একেকজন শাসক,জমিদারদের অধীনে সাধারণত হাজার হাজার শ্রমিক বা অধীনস্থ
থাকে। এইসব শ্রমিকদের ইন্ডিভিডুয়াল শক্তি শাসকদের তুলনায় অনেক কম এবং তাদের
মুখাপেক্ষী থাকে তাই সাধারণত তারা শোষনের স্বীকার হয়।
কিন্ত মজার ব্যাপার হচ্ছে এই শোষিত মানুষদের মিলিত শক্তি শাসকদের তুলনায়
বহুগুণে বেশি।তারা সবাই মিলে যদি একত্রিত হয়ে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায়
তাহলে শাসকরা সত্যিকার অর্থেই তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ে। কিন্ত
এতগুলো মানুষকে একত্রিত করা সত্যই অসম্ভব। বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ধরণের ব্যক্তিগত
সমস্যা থাকে, দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তাদের একত্রিত করার কোন শক্তিশালী মাধ্যম
না থাকায় তারা বিচ্ছিন্ন থাকে।একজন কাজ না করলে কাজ করার জন্য আরেকজন
মানুষের অভাব হয় না।
তাছাড়া বিভিন্ন কারণে শোষিত মানুষেরা জমিদারদের মুখাপেক্ষী থাকে।
প্রাচীনকাল থেকেই মানব সমাজ ছিল নেতা নির্ভর। যে দলের নেতা ভাল,
ট্যাক্টিক্স,স্ট্র্যাটেজি ভালো তারা বড় শিকার পায়। খুব সহজেই দলের সবাই তার ভক্ত
ও নির্ভরশীল হয়ে যায়। কোন সমাজই নেতা ছাড়া থাকতে পারে না। তাই,
শোষিতরা সিস্টেমটা অন্যায় জানা স্বত্তেও এসব নেতার অধীনস্থতা মেনে নিতে বাধ্য
হয়।
শুধু মাত্র সিস্টেমের ভিতরের অন্যায় নয়,সিস্টেমের বাইরের অন্যায় হওয়ারও প্রধান
কারণ মানুষের অনৈক্য। রাজনৈতিক নেতাদের ভাড়াটে গুন্ডের জন্য তাদের
অন্যায়,চাঁদাবাজির বিরুদ্বে কেউ মুখ খোলে না। কেউ যদি সাহস করে লেখালেখি,
ভাষণ বিভিন্নভাবে ১৫-২০ জন মানুষ একত্রিত করে মুল
আন্দোলনকারীকে সরিয়ে ফেলা হয়, সাথে সাথে আন্দোলন বন্ধ হয়ে যায়। তাদের
অপকর্মের তথ্য চাপায় পড়ে থাকে।
এরপর এলো প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগ। পত্রিকার কপি,সংবাদ পাঠকের কন্ঠ
দেশের আনাচেকানাচে পৌছে যায়। একসময় এগুলোও পলিটিকালাইজেশন হয়ে যায়।
সাধারণ মানুষের কথা, ভাবনা শেয়ার করার কোন মাধ্যম রইল না। মালিকপক্ষ ও
সাংবাদিকরা তাদের পছন্দের পক্ষ বা যারা টাকা দেয় তাদের গুণগান ও অপরপক্ষের
সমালোচনায় ব্যস্ত রইল।
এমন সময়ে হঠাত ফেসবুক,ব্লগের উত্থান। আজকাল ৩০০০ টাকায় এন্ড্রয়ড সেট পাওয়া যায়।
১৫০০ টাকার সেটেও ক্যামেরা পাওয়া যায়। পীর-হুজুরদের চিকিতসার নামে রোগীর উপর
বিভিন্ন অত্যাচার মোবাইলে ভিডিও করে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে পারতেছে। নেতার
নাম করে কেউ বাকিতে খাচ্ছে,ছবি তুলে নেটে ছেড়ে দাও।সাথেসাথে কাল্প্রিট
চিহ্নিত। নেতা নিজেই বাধ্য হয়ে কর্মীকে বরখাস্ত করে।কিন্ত এত বড় কাজ কে করল
তা ধরার সাধ্য কারো নেই। প্রত্যেকটা মানুষেই আজ একেকজন সাংবাদিক। সত্য
এবং গুজব সবধরণের খবর, তথ্যই আজ অবিশ্বাস্য দ্রুততায় মানুষের কাছে ছড়িয়ে যায়।
সবচে বড় কথা খুব সহজেই হাজার হাজার মানুষ একত্রিত করা যায়। যে আরব
বিশ্বে সরকারের বিরুদ্বে একটা কথা বলা যায় না,ফেসবুক ৩০-৪০ বছর ধরে শাসন
করা জাঁদরেল স্বৈরাচারীদের নিমিষেই উপড়ে ফেলল।
খুব শিঘ্রী ফেসবুক-ব্লগ বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ
করতে যাচ্ছে এবং সমাজে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে
আশায় আছি একটা বিশাল
আশায় আছি একটা বিশাল পরিবর্তনের
যত সময় আগাবে পৃথিবী তত
যত সময় আগাবে পৃথিবী তত পারফেকশনের দিকে যাবে ঃ)
ভাল বলেছেন ।তবে এই দেশে
ভাল বলেছেন ।তবে এই দেশে পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন ।
ক্ষীণ কেন?
ক্ষীণ কেন?
ভালো পয়েন্ট ধরেছেন…
ভালো পয়েন্ট ধরেছেন… :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
আমাদের যারা শাসন করে তাদের
আমাদের যারা শাসন করে তাদের শক্তি আমাদের চেয়ে খুব বেশি নয় কিন্তু আমরা বিছিন্ন বলে আমাদের সবাইকে সে তার নিজের শক্তিতে পরিণত করতে পাআরে। সাধারণ মানুষ একত্রিত করা খুব কঠিন কাজ কিন্তু ফেবু তা খুব সহজ করে দিচ্ছে 🙂