পেরিয়ে গেল এক বছর
হযরত শাহ জামাল (রঃ) এর পুণ্য সৃতি বিজরিত জামালপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মাধমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জামালপুর জিলা স্কুল। আমাদের এই বিদ্যালয় জেলার শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং বিদ্যালয়টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগণিত যোগ্য ও বরেণ্য ব্যক্তিত্বের সূতিকাগার।
পেরিয়ে গেল এক বছর
হযরত শাহ জামাল (রঃ) এর পুণ্য সৃতি বিজরিত জামালপুর জেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত মাধমিক বিদ্যালয়ের অন্যতম বিদ্যাপীঠ জামালপুর জিলা স্কুল। আমাদের এই বিদ্যালয় জেলার শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এবং বিদ্যালয়টি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগণিত যোগ্য ও বরেণ্য ব্যক্তিত্বের সূতিকাগার।
বিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে পৌর ভবন, এর মাঝে কিছু পুরাতন ঘরবাড়ি পড়ে আছে। অন্যদিকে পশ্চিম দিকে আছে খোলা একটি মাঠ যা সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানের অন্তর্ভুক্ত। এই মাঠে আমরা খেলাধুলা করে আসছি। এমনকি আমাদের বড় ভাইয়েরা, বাবা, দাদারা যারা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন স্কুলের ভেতরে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় তারা এই মাঠেই খেলাধুলা করে বড় হয়েছেন।
উক্ত মাঠের জমির পরিমান ৬৬ শতক। যার পূর্ব দিকে জিলা স্কুল, পশ্চিমে সরকারী বাসভবন, উত্তরে ব্রহ্মপুত্র নদ, দক্ষিনে জিলার প্রধান সড়ক। ২০০৩ সালে জিলা স্কুলের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে ভুমি মন্ত্রণালয় বিদ্যালয়ের অনুকূলে উক্ত জমি খানা দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত প্রদান করেন। তৎকালীন সময়ে জমির মূল্য ধার্য্য করা হয়েছিল ৮,০৯,০৮০.৫০ টাকা। ভূমি মন্ত্রণালয় এবং ভূমি অফিস হতে উক্ত মূল্য পরিশোধ করে দলিল সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিগত ১০ বছর যাবৎ প্রধান শিক্ষকগণ মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে উক্ত টাকার আবেদন করে ব্যর্থ হন।
বর্তমান প্রধান শিক্ষক ২০১২ সালে উক্ত জমির প্রতীকী মূল্য বরাদ্দের জন্য ভূমি মন্ত্রনালয়ের নিকট আবেদন করেন। ভূমি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর অনুমতিক্রমে ১০০১ টাকা প্রতীকী সেলামী ধার্য্য করে উক্ত মূল্য পরিশোধান্তে জমিটির দলিল প্রদান করার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়কে নির্দেশ প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশের আলোকে বিধিমোতাবেক সমস্ত কার্যাদি সম্পাদন পূর্বক মহামান্য রাষ্ট্রপতির পক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এবং বিদ্যালয়ের পক্ষে প্রধান শিক্ষক ০৬।০২।২০১৩ ইং তারিখে দলিলে সাক্ষর করেন।
এই আনন্দ সংবাদে আমরা জিলা স্কুলের ১৯৬১ ব্যাচ থেকে শুরু করে ২০১৩ ব্যাচের ৫ শতাধিক (প্রায়) ছাত্র কিছু সম্মানিত অভিবাবক ও সকল শিক্ষক মিলে ১১।০২।২০১৩ ইং তারিখে বাঁশের বেড়া নির্মাণ করি। কিন্তু বড়ই পরিতাপের বিষয় ঐদিন বিকাল বেলা থানায় বিজ্ঞ জজ আদালতের পক্ষে নাজির একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যাতে ছাত্র, শিক্ষক ও অভিবাবকগণকে কতিপয় সন্ত্রাসী,গুন্ডা, মাস্তান বলে আখ্যায়িত করা হয়। আরও পরিতাপের বিষয় ১৪।০২।২০১৩ ইং তারিখে গণ জাগরণ মঞ্চ হতে বিদ্যালয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন করতে গিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় দেখি আমাদের শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের হাতে মামলার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। উক্ত মামলায় প্রধান শিক্ষক সহ প্রায় সকল শিক্ষকদের ব্যাক্তি নামে বিবাদী করা হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা আরও জানতে পারি ১৭।০২।২০১৩ ইং তারিখে কোর্ট অবমাননার দায়ে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে শিক্ষকদের ব্যাক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন করা হয়েছে।
গত ২০ মার্চ ২০১৩ স্কুলের শিক্ষার্থীরা খেলার মাঠে খেলতে যাব এই দাবিতে স্কুলের সামনে একটি মানববন্ধন শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা করে। তবে কোমলমতি শিশুদের এই দাবিকে উপেক্ষা করে থানা থেকে পুলিশ বাহিনী এসে তাদের মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করে দেয় এবং শিশুদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি এ বিষয়ে কোন ধরনের আন্দোলনের চেষ্টা করা হলে তাদের পরিনতি খারাপ হবে বলেও হুমকি দেয়া হয়। এর দুই দিন পরই রাতের আঁধারে ‘জাজেস কোয়ার্টার’ নামে একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেয় এই খেলার মাঠে। এমন অবস্থায় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি প্রত্যাশা করেছেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
আশ্চর্য এই দেশ , তাঁর চেয়েও
আশ্চর্য এই দেশ , তাঁর চেয়েও আশ্চর্য তাঁর মানুষগুলো… :মাথাঠুকি: :মাথাঠুকি: :ক্ষেপছি: :ক্ষেপছি:
সংশ্লিষ্ট অথরিটিকে কার্যকরী ব্যবস্থা নেবার দাবী জানাইলাম… :জলদিকর: :জলদিকর:
ডন মাইকেল কর্লিওনি আপনার
ডন মাইকেল কর্লিওনি আপনার মন্তব্যটি প্রিয়তে নিলাম । শিক্ষার্থীরা মিলে যখন রাজপথে নামলাম মানব বন্ধনের জন্য তখন পুলিশ এসে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয় ।
দু:খজনক ব্যাপার। দলমত
দু:খজনক ব্যাপার। দলমত নির্বিশেষে সকলের এগিয়ে আসতে হবে … তা নাহলে হারিয়ে যাবে এই খেলার মাঠ। কোমলমতি শিক্ষার্থীরা হারাবে তাদের চিরচেনা খেলার জায়গা।
ইনজাংশন থাকা সত্ত্বেও সেখানে
ইনজাংশন থাকা সত্ত্বেও সেখানে জাজেজ কোয়ার্টার নির্মাণের নামে একটি হোটেল তোলা হয়েছে । অথচ কর্তৃপক্ষের কোন মাথাব্যাথা নেই
আসলে কি বলবো । নিজের স্কুল ,
আসলে কি বলবো । নিজের স্কুল , তবে কিছুই করতে পারছি না । যারা আমাদের সাহায্য করতে পারতো তাদের বিরুদ্ধেই যে জিনিসটা গেছে । জানি না কি হবে । তবে আশা করি সব কিছু একদিন ঠিক হয়ে যাবে !
সেই দিনের অপেক্ষায়
সেই দিনের অপেক্ষায়