প্রভাতে ঘুম থেকে ওঠা আর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার মধ্যবর্তী সময় টুকু কি করে এই মানব সভ্যতা? প্রশ্নটা একটু এবসারড লাগাটা স্বাভাবিক। প্রতিনিয়ত মানুষ অধিক যান্ত্রিক হচ্ছে , সভ্যতার অগ্রগতির সহদর্পণের প্রতিবিম্বরুপে । কিন্তু সতত কি হচ্ছে , আমরা সেই আদিম যুগের বর্বরতা এবং অনিয়মের বশবর্তী হয়ে পড়ছি নিজেদের অজান্তে। আমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি, আমরা প্রভাবিত হচ্ছি কিছু নষ্ট তন্ত্রের তান্ত্রিকতায়। শিক্ষিত সমাজে বর্বরতা এবং অনিয়মের রাজত্ব জ্যামিতিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা কি সতত স্বাধীন, না, জাতি হিসাবে , জাগতিক পরিচয় হিসাবে আমরা স্বাধীন। কিন্তু , সত্যিকার অর্থে আমরা দাস, আমরা নোংরা সিস্টেমের দাস, আমরা অশুদ্ধ পুজিবাদের দাস, আমরা নষ্ট সমাজ-প্রথার দাস। আমরা এমনি এক সমাজে বাস করি , যেখানে, ১৮ মাসের শিশু পর্যন্ত ধর্ষিত হয়, আমরা এমনি এক সিস্টেমে জীবনযাপন করি যেখানে অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, অপসংস্কৃতিরা রাজত্ব করে। আমাদের জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে আমরা দাসত্ব বরন করছি। ঘুনে ধরা সমাজ বদলে যাওয়া পৃথিবী শোষণ অবিচার অবিশ্বাসের দোলাচলে আমাদের হেটে চলা দৌড়ে যাওয়া সুখ খানিকটা আবার অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ।
একজন নারী ধর্ষিত হলে, তাঁকে বর্জ্য হিসাবে বিবেচনা করা হয় এই সমাজে, তাঁকে সমাজের কীট বলে বিবেচনা করা হয়, তার সাথে সহমর্মিতার সুরে কথা বলাটাও পাপ হিসাবে গণ্য করা হয়। প্রশ্ন করি কেন? কেও তো পারছে না, এই সমাজকে বদলাতে, কেও তো পারছে না, সমাজের এই বর্বর প্রথার বিরুদ্ধে উচ্চবাক্য উচ্চারন করতে। দীর্ঘদিনের অপবিশ্বাস কে ভিত্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে কারা? আমরা এমনি এক অশুদ্ধ পুঁজিবাদ প্রথার অন্তর্গত যেখানে আমরা কেওই দুর্নীতির বাইরে নয়। প্রত্যেকটা মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত। বাঙালি মননশীল এবং সুশীল শ্রেণীর অধিকাংশ মানুষ , দুর্নীতিকে ঘৃণা করেন। দুই নাম্বারি/ জোচ্চরি/ ঘুষ এসবের নাম উচ্চারন করলেও শিক্ষিত মানুষেরা আপনাকে এড়িয়ে যাবে। কিন্তু , একটা কথা মনে আছে আপনাদের ” পাপী কে নয় পাপ কে ঘৃণা করুন ” । নিছক এই উক্তিটি টানলাম আমি। প্রসঙ্গ অন্যজায়গাতে। দেখুন , আপনি দুর্নীতি পছন্দ করেন না, আপনি সৎ পথে জীবন যাপন করতে চান, সাধুবাদ জানায় আপনার ইচ্ছাকে। একজন যখন তার সার্টিফিকেট এর ওজন ওয়ালা ফাইল নিয়ে সরকারি চাকুরির উদ্দেশে সম্মুখে অগ্রসর হয়, তখন আলটিমেটলি তাঁকে ৫-১০ লাখ এই রেঞ্জে ঘুষ প্রদান করতে হয়। অনেকে বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ গুলার জন্য এটা জমি বেচার যোগ্য পরিমান অর্থ। তাহলে সেই চাকরিটি গ্রহনের পর সে কেন ঘুষ খাবে না?
প্রশ্নের উত্তর আছে? আবার একজন ট্র্যাফিক পুলিশ প্রত্যেক দিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করেন, আবার সে ডিউটি হচ্ছে রাস্তার। বাংলাদেশের সবচেয়ে কষ্টকর এবং মানবেতর জীবন এই ট্র্যাফিক পুলিশ দের। ৭-৮ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পান তারা। আবার অশিক্ষিত , বা ক্লাস ২ পাশ করা একজন বাস এর কনট্রাক্টর বা হেল্পার দিনে পায় ৬০০-৭০০ টাকা। হিসাব করুন তো ,প্রায় ১৮০০০ টাকা ইঙ্কাম করে এরা মাসে । আচ্ছা ওই ট্র্যাফিক পুলিশ কেন তাহলে বাড়তি ইঙ্কাম এর পথ বেছে নিবে না? হুম, ট্র্যাফিক পুলিশ দেখলেই আমরা গালি দি, এবং নানাবিধ সমালোচনা করি। আমরা , প্রত্যেকটা মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুর্নীতির সাথে জড়িত। কেন বললাম ? প্রশ্ন উঠবেই , স্বাভাবিক।
উত্তরটা সহজ। দেখুন , একটি মাত্র উদাহরণে উত্তর টা দেওয়া সম্ভব। আপনি বাজারে গেছেন কোন ইলেকট্রিক দ্রব্য কিনতে। অথবা আপনি একটা বিদেশি প্রোডাক্ট কিনতে চান যার কোম্পানি নির্ধারিত বাজার মূল্য হচ্ছে ৭০০০ টাকা। আপনি সেই প্রোডাক্ট যদি অন্য কোথাও ৬০০০ টাকাই পাবেন, তাহলে আলটিমেটলি আপনি ৬০০০ টাকা দিয়েই ওটা কিনবেন। এখন এই ৬০০০ টাকার প্রোডাক্ট টা ট্যাক্স ফাকি দিয়ে ইম্পোরট করা। তাহলে দেখুন, সেই সৎ মানুষটি যে কিনা, অরিজিনাল মার্কেট প্রাইচ এ বিজনেস করছে, সে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। কিসের জন্য? উত্তর আপনার আমার পরোক্ষ ভাবে দুর্নীতিতে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের চমৎকার অনেক মতামত আছে। বাস্তবতা হচ্ছে , আমরা কেওই দুর্নীতির বাইরে নয়। এই হচ্ছে আমাদের সিস্টেম। যেখানে, ছোট কিছু মানব শিশু নিয়ে ধোঁকা দিয়ে ভিক্ষা করে কিছু মানুষ, যেখানে পঙ্গূ না হলেও , ইচ্ছাবশত পঙ্গু সাজতে হয়, অন্ধত্ব বরন করতে হয়, শুধু মাত্র ভিক্ষা বৃত্তির জন্য। যে বয়সে, একজন শিশুর বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে পা রাখার কথা, নতুন মলাটের বই-এর গন্ধ নিয়ে স্কুল এ যাওয়ার কথা, সেই বয়সে কেন ভিক্ষুক হচ্ছে, লাখো বাঙালি সন্তান! কেন বৃদ্ধআশ্রম এর জন্য সরকারি তেমন কোন অনুদান নেই, কেন, বৃদ্ধবয়সে মানুষগুলা নিত্য ভিক্ষা বৃত্তির আশ্রয় নিবে। ! কেন, সমাজের নিকৃষ্টতম কাজটি নিয়েও মহাজনরা বেবসা করবে? প্রশাসন এর দোষ এটা নয়, আমাদের গোটা সিস্টেমটাই এমন।
এ সমাজে একটা শিশু তার জন্মলগ্ন থেকে আমৃত্যু বিভিন্নভাবে অনিয়ম আর দুর্নীতি নামক সংক্রামক রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় । ধরা যাক একজন গর্ভবতী মা সন্তান জন্মদানের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হবেন । তিনি যদি একটু অবস্থা সম্পন্ন হন তবে ভুলেও সরকারি কোন হাসপাতালে ভর্তি হবেন না । একটু ভাল স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার আশায় তিনি প্রাইভেট হাসপাতালের শরণাপন্ন হবেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করেও কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবেন না । উপরন্তু একগাদা টেস্ট আর প্রেস্ক্রিপশানের ভারে তিনি নুয়ে পড়বেন । বাচ্চা ডেলিভারির সময় হলে ডাক্তার তাকে সিজার অপারেশান করানোর জন্য সবরকম পরিবেশ ও ভয়ভীতি প্রদান করে বাধ্য করবেন এবং হাসপাতাল ছাড়ার প্রাক্কালে তাকে বড় অংকের বিল ধরিয়ে দেওয়া হবে । এ ছাড়া হাসপাতালে বাচ্চা অদল বদল কিংবা বাচ্চা চুরির ঘটনা প্রায়শই পত্রিকায় দেখা যায় ।
এ শিশু টি যখন বড় হয়ে স্কুলে ভর্তির দৌঁড়ে অবতীর্ণ হবে তখন দেখা যাবে যে , ডোনেশান দিলে ভাল স্কুলে তার ঠাঁই হবে , অন্যথায় তার স্থান হবে নিম্নমানের কোন স্কুলে । মেধা এখানে বিবেচ্য বিষয় নয় । জীবন যুদ্ধের শুরুতেই শিশুটি এভাবে পিছিয়ে পড়বে ভাল স্কুলে ভর্তি হতে না পেরে । স্কুলে ভর্তির পর ক্লাস টিচারের কাছে প্রাইভেট না পড়লে শিশ্ত টির পরীক্ষার ফলাফল কিছুতেই ভাল হবেনা । মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সময় তাকে পড়তে হবে পরীক্ষার প্রশ্ন পত্র ফাঁস নামক যন্ত্রণার কবলে । সকল বাধা পেরিয়ে যদি সে ভাল ফলাফল অর্জণে সমর্থ ও হয় , ভাল কলেজে ভর্তি হওয়া তার জন্য হবে আরেক অগ্নি পরীক্ষা । কারন এখানে চলে কোচিং বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য ইত্যাদি । এর পর উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর তার পরবর্তী যুদ্ধ শুরু হবে ভাল কোন ভার্সিটি কিংবা পছন্দসই কোন বিষয়ে ভর্তি হতে পারা । এ ক্ষেত্রে ও পদে পদে চলে হাজারও অনিয়ম আর দুর্নীতি ।
নারীর অধিকার প্রশ্নে আমাদের সমাজ মাথা চুলকায়, নারী শিক্ষার প্রশ্নে তারা ক্ষিপ্ত হয়, আর নারী স্বাধীনতার প্রশ্নে তারা রীতিমত হুংকার দেয়। আমরা এমনি এক সিস্টেমে বাস করি যেখানে, মানব সন্তানের জন্ম পরিচয় না থাকলে তাঁকে জারজ বলে বিচ্যুত করা হয়, যেখানে,বিধবা নারীকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। আমরা মুলত সেই সমাজে বাস করি যেখানে, অন্ধকারের চাদরের নিচে আমরা আলোর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করি।
প্রথা, সবই এখন প্রথা! একজন সদ্য জন্মগ্রহন করা শিশু হয়তো কোন প্রথা নিয়ে জন্মায় না, কিন্তু, ধীরে ধীরে তাঁকে অশুদ্ধ কিছু নিয়মের অধীন রুপে গড়ে তোলা হয়। কিভাবে সম্ভব পরিবর্তনের?
শিক্ষা প্রয়োজন। পাঠ্যপুস্তকের শিক্ষা হয়, মুক্ত চিন্তার শিক্ষা, নিজের অস্তিত্বকে চিনতে পারার শিক্ষা, সঠিক পথ অবলম্বনের শিক্ষা, ভুল-সঠিক নির্ণয়ের সুশিক্ষা, জাতিয়তাবোধ এর শিক্ষা । মুল কথা হচ্ছে- ”শিক্ষিত নয়, স্বশিক্ষিত সমাজ চাই আমাদের।
এটা গেলো , সমাজ , কিন্তু এই যে, অশুদ্ধ পুঁজিবাদ এটা কিভাবে দূর হবে? দুর্নীতি, অনিয়মের , শোষণ এর অপর নাম এই পুঁজিবাদ। এই যে , আমি এখন এর বিপক্ষে কথা বলছি, কিন্তু আমি নিএও এর বাইরে যেতে পারব না, শতাব্দীর সবচেয়ে বিধ্বংসী ভাইরাস এই পুঁজিবাদী সমাজ বা রাষ্ট্রব্যবস্থা। মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষার মাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে, এবং শোষক এবং শোষিত এই দুইটি শ্রেণীর মধ্যে ”মদ্ধবিত্ত একটি শ্রেণী ” তৈরি হয়েছে বিধায়, এই পুঁজিবাদের সৃষ্টি। এবং আমাদের সমাজের দর্শনে আমরা যেটা পায়, সেটা হচ্ছে, মধ্যবিত্ত শ্রেণী হচ্ছে, আমাদের তথাকথিত শিক্ষিত শ্রেণী, এবং দেশীয় অর্থনীতির মুল চালিকা শক্তি। আর এই শ্রেণীর মধ্যেই, উপরে ওঠার তীব্র লালসা, বা নিম্নে গমনের ভীতি এই দুইটা বিষয়ের পারস্পরিক সংঘর্ষের জন্য, পুঁজিবাদ প্রথার ভাঙ্গন আদৌ সম্ভব কিনা সেটা সন্দেহের বিষয়। তবে, বিশ্বাস করি, শেষ হবে এই অশুদ্ধ পুঁজিবাদ প্রথা!
মুলত – সমাজ স্বীকৃত কিছু নোংরা প্রথাকে বদলে দেওয়ার সময় এসেছে। আমরা বর্বর যুগে ফিরে যেতে চায় না। নষ্ট সিস্টেম গোগ্রাসে গিলছে আমাদের। শেষ করছি হুমায়ুন আজাদ এর একটি কবিতা দিয়ে ।
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
হুমায়ুন আজাদ
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
নষ্টদের দানব মুঠোতে ধরা পড়বে মানবিক
সব সংঘ পরিষদ;-চ’লে যাবে অত্যন্ত উল্লাসে
চ’লে যাবে এই সমাজ সভ্যতা-সমস্ত দলিল-
নষ্টদের অধিকারে ধুয়েমুছে, যে-রকম রাষ্ট্র
আর রাষ্ট্রযন্ত্র দিকে দিকে চ’লে গেছে নষ্টদের
অধিকারে। চ’লে যাবে শহর বন্দর গ্রাম ধানখেত
কালো মেঘ লাল শাড়ি শাদা চাঁদ পাখির পালক
মন্দির মসজিদ গির্জা সিনেগগ নির্জন প্যাগোডা।
অস্ত্র আর গণতন্ত্র চ’লে গেছে, জনতাও যাবে;
চাষার সমস্ত স্বপ্ন আঁস্তাকুড়ে ছুঁড়ে একদিন
সাধের সমাজতন্ত্রও নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
কড়কড়ে রৌদ্র আর গোলগাল পূর্ণিমার রাত
নদীরে পাগল করা ভাটিয়ালি খড়ের গম্বুজ
শ্রাবণের সব বৃষ্টি নষ্টদের অধিকারে যাবে।
রবীন্দ্রনাথের সব জ্যোৎস্না আর রবীশংকরের
সমস্ত আলাপ হৃদয়স্পন্দন গাথা ঠোঁটের আঙ্গুল
ঘাইহরিণীর মাংসের চিৎকার মাঠের রাখাল
কাশবন একদিন নষ্টদের অধিকারে যাবে।
চ’লে যাবে সেই সব উপকথা: সৌন্দর্য প্রতিভা-
মেধা;-এমনকি উন্মাদ ও নির্বোধদের প্রিয় অমরতা
নির্বোধ আর উন্মাদদের ভয়ানক কষ্ট দিয়ে
অত্যন্ত উল্লাস ভরে নষ্টদের অধিকারে যাবে।
আমি জানি সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে।
সবচে সুন্দর মেয়ে দুই হাতে টেনে সারারাত
চুষবে নষ্টের লিঙ্গ; লম্পটের অশ্লীল উরুতে
গাঁথা থাকবে অপার্থিব সৌন্দর্যের দেবী। চ’লে যাবে
কিশোরীরা চ’লে যাবে, আমাদের তীব্র প্রেমিকারা
ওষ্ঠ আর আলিঙ্গন ঘৃণা ক’রে চ’লে যাবে, নষ্টদের
উপপত্নী হবে। এই সব গ্রন্থ শ্লোক মুদ্রাযন্ত্র
শিশির বেহালা ধান রাজনীতি দোয়েলের ঠোঁট
গদ্যপদ্য আমার সমস্ত ছাত্রী মার্কস-লেনিন,
আর বাঙলার বনের মতো আমার শ্যামল কন্যা-
রাহুগ্রস্ত সভ্যতার অবশিষ্ট সামান্য আলোক-
আমি জানি তারা সব নষ্টদের অধিকারে যাবে।
প্রিয় এই কবিতা খানি পড়ার পর
প্রিয় এই কবিতা খানি পড়ার পর আসলেই আর কিছু বলার থাকে না।
সমাজের অসঙ্গতি পরতে পরতে! উত্তরণের পথ কে দেখাবে? নাকি সবাই খালি সমালোচনা করবে! মোশফেক ভাই এইবার কিছু করা দরকার! আর কত?
ভাল লাগল!! :bow: :bow: :bow: :bow:
আমরা এভাবে এগুতে পারব না,
আমরা এভাবে এগুতে পারব না, সিস্টেমকে বদলাতে হলে, সিস্টেমের মধ্যে থেকেই ধীরে ধীরে স্বশিক্ষিত শক্তি প্রতিষ্ঠা করে প্লান অনুযায়ী ভাঙতে হবে একে ।।
আপনি বাজারে গেছেন কোন
:বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল: :বুখেআয়বাবুল:
(No subject)
:পার্টি: :পার্টি: 😀 😀 😀
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের
চরম সত্য ।
যদি কেউ ন্যায্য কথা বলে, আমরা
আদৌ কি আমরা মানি?
!!!
মানার সংস্কৃতিটা চালু
!!!
মানার সংস্কৃতিটা চালু করতে হবে ।
হুম। সেটাই তো বলতে চেয়েছি
হুম। সেটাই তো বলতে চেয়েছি পুরা পোস্টে।
নষ্ট প্রথার এই সমাজকে বদলে
নষ্ট প্রথার এই সমাজকে বদলে দিতে হবে। সহমত লেখকের সাথে। আসলে, অনেকে বলে ভাবনা অপেক্ষা কর্ম উত্তম। কিন্তু মানুষের চিন্তা করার ক্ষমতা সৃষ্টি না হলে সে বা তারা কখনো তার কর্মে সফলতা আনতে পারে না, মানুষ যদি মুক্ত চিন্তা না করতে শেখে তাহলে এই ঘুনে ধরা সমাজকে পরিবর্তন করতে পারবে না।
সহমত এবং ধন্যবাদ আপনার
সহমত এবং ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর জন্য 🙂
প্রথাগুলো কে ঠিক করে দিয়েছে?
প্রথাগুলো কে ঠিক করে দিয়েছে? কেনইবা সেগুলো মানতে হবে আমাদের?
লেখকের সাথে একমত। বদলে দেবার সময় এসেছে।
লেখায় বাস্তব সত্য তুলে ধরার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
:থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর
আপনার মূল্যবান মন্তব্য এর জন্য ধন্যবাদ 🙂