~ হ্যালো!
– হ্যালো!(ঘুম জড়ানো কণ্ঠে)
~ কিরে তুই এখনও ঘুম থেকে উঠিস নাই? ক্লাসে যাবি না?
– ক্লাস!! এই বৃষ্টিতে কিসের ক্লাস? যামু না । ঘুমাইতে দে।
~ থাপ্পর চিনস? ১০ মিনিটের মধ্যে সামনের রাস্তার মোড়ে আয়!
– কইলাম না যামু না!
~ দেখ “আকাশ”, রাগাবি না মোটেও! আর “যামু না” কেমন শব্দ? তোকে বলেছি ভালো করে কথা বলতে।(কণ্ঠে ক্রোধ)
– আরে রাগ করস কেন? আমি মজা করতাসিলাম, আমি ৫ মিনিটেই আইতাছি।
~ আবার?
– দুঃখিত, ম্যাডাম আসছি।
২৫ মিনিট পর কাদার মধ্যে দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে আকাশ দেখে হালকা নীল কালারের একটা জামা পরে একটা ছাতা হাতে “নীলা” দাড়িয়ে আছে। নীলার চোখে মুখে প্রচণ্ড রাগ বোঝাই যাচ্ছে,
~ হ্যালো!
– হ্যালো!(ঘুম জড়ানো কণ্ঠে)
~ কিরে তুই এখনও ঘুম থেকে উঠিস নাই? ক্লাসে যাবি না?
– ক্লাস!! এই বৃষ্টিতে কিসের ক্লাস? যামু না । ঘুমাইতে দে।
~ থাপ্পর চিনস? ১০ মিনিটের মধ্যে সামনের রাস্তার মোড়ে আয়!
– কইলাম না যামু না!
~ দেখ “আকাশ”, রাগাবি না মোটেও! আর “যামু না” কেমন শব্দ? তোকে বলেছি ভালো করে কথা বলতে।(কণ্ঠে ক্রোধ)
– আরে রাগ করস কেন? আমি মজা করতাসিলাম, আমি ৫ মিনিটেই আইতাছি।
~ আবার?
– দুঃখিত, ম্যাডাম আসছি।
২৫ মিনিট পর কাদার মধ্যে দৌড়াতে দৌড়াতে গিয়ে আকাশ দেখে হালকা নীল কালারের একটা জামা পরে একটা ছাতা হাতে “নীলা” দাড়িয়ে আছে। নীলার চোখে মুখে প্রচণ্ড রাগ বোঝাই যাচ্ছে,
– একটু দেরি হয়ে গেলো!
~ তুই ফাইজলামি করস আমার সাথে? থাপ্পর দিয়ে বত্রিশটা দাঁত ফেলে দিবো।
– কিন্তু আমার তো দাঁত বত্রিশটা নাই!
~ মোটেও ইয়ার্কি করবি না আমার সাথে।
কথা না বাড়িয়ে সামনে দাড়িয়ে থাকা একটা রিকশা ডাক দেয় আকাশ, উঠে বসে নীলা আর আকাশ।
– মামা টিএসসি চলো।
~ টিএসসি মানে? ক্লাস করবো না?
– আজকে ক্লাস করবো না, এই বৃষ্টির দিনে কেউ ক্লাস করে! আজকে হালকা বৃষ্টিতে তুই আর আমি হাঁটবো।
~ এই বৃষ্টির মধ্যে কেউ টিএসসি যায়?
– কেউ না গেলে কি? আমি যাই, আর এখন তুইও যাবি আমার সাথে।
নীলা জানে তর্ক করে লাভ নেই। আকাশকে কিছুতেই বোঝানো যাবে না। ওর যা খুশি ও তাই করে, এখনও করবে। ওর অবশ্য ভালোই লাগে, আকাশকেও আর যা খুশি তা করাটাকেও। কিন্তু সেটা বুঝতে দেয় না অন্য কাউকেই। কিন্তু কেউ না বুঝলেও কেউ একজন বোঝে ঠিকই।
– আচ্ছা নীলা আমার সাথে প্রেম করবি?
আকাশের এমন প্রশ্নে মোটেও অবাক হল না নীলা। ও এই প্রশ্ন এর আগে অন্তত কয়েক হাজার বার করেছে ওকে। প্রায় প্রতিবারই উত্তর দিত, “তোর মত পাগলের সাথে প্রেম করে জীবন নষ্ট করার মত পাগল এখনও আমি হইনি।” আজও ভাবল এমন কিছু একটা দেবে, কিন্তু মুখে আসলো না,
– কিরে করবি না?
~ হুম করবো।
– মানে কি? কেন করবি?
~ কেন করবো মানে? এতদিন প্রশ্ন করেছিস আর আমি না করেছি। আজ ইচ্ছে হল তাই বললাম করবো।
– না তুই করবি না। আমি জিজ্ঞেস করবো আর তুই না করবি!
~ সব কিছু তোর ইচ্ছেতে হবে নাকি? আমার যা ইচ্ছা আমি তাই জবাব দেবো।
যদিও এখন একেবারেই হালকা বৃষ্টি তবে রাস্তা-ঘাটের অবস্থা খুবই খারাপ। কারন গত দুদিন ধরে লাগাতার হচ্ছে বৃষ্টি।
এরই মাঝে রিকশা টিএসসি চলে আসে, ওরা ভাড়া দিয়ে নেমে পরে।
~ এই আকাশ কি করছিস? ভিজে যাবি তো, ছাতার নিচে আয়।
– এক আধটু ভিজলে কিছু হয়না। তুইও ভিজে দেখ, বেশ লাগবে।
~ সামনে পরীক্ষা আমার জ্বর বাঁধাবার কোন ইচ্ছাই নেই। আর তুইও ভিজবি না, আয় ছাতার নিচে(ধমকের সুরে)।
কিছু না বলে ছাতার নিচে চলে আসে আকাশ। তাকিয়ে থাকে নীলার দিকে, এতক্ষণ একেবারেই খেয়াল করে নি নীলাকে। আজ বেশ লাগছে ওকে। নীলা কখনই তেমন সাজে না, আজও সাজে নি। ওর সাজ বলতে চোখে একটু কাজল দেয় এই যা, আজও দিয়েছে। কিন্তু আজকে বৃষ্টির দিনে কেন যেন অন্যরকম অদ্ভুদ ভালো লাগছে নীলাকে।
~ কিরে কি দেখছিস?
– না কিছু না। চল হাঁটি।
দোয়েল চত্বরের দিকে হাঁটতে শুরু করে ওরা দুজন। হঠাতই বাতাসে সবকিছু উড়িয়ে দিয়ে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। ওরা দৌড়ে গিয়ে একটা গাছের নিচে দাড়ায়। আশেপাশে আর কেউ নেই, শুধুই ওরা দুজন। গাছের নিচে জায়গাটা খুব কম বলে প্রায় আকাশের গা ঘেঁষে দাড়াতে হয় নীলাকে। এর আগেও ওর সাথে ছোঁয়া লাগলেও আজ এক অজানা শিহরন ছুঁয়ে গেলো নীলাকে।
– কিরে ঠাণ্ডা লাগছে নাকি?
~ কই না তো।
– তাহলে কাঁপছিস যে।
~ ও তাইতো, খেয়াল করিনি।
– কি হল তোর হঠাৎ। চুপসে গেলি কেন।
~ কিছু না! আচ্ছা আকাশ সত্যি করে একটা কথা বলবি?
– কি?
~ তুই কি সত্যি আমাকে ভালোবাসিস?
– কিছু বললি?
~ তুই খুব ভালোই শুনেছিস।
– যদি বলি বাসি, খুব খুব বেশী ভালোবাসি।
~ এতদিন বলিসনি কেন তাহলে?
– ভয়ে, যদি না করতি! আর আমাদের বন্ধুত্বটাও যদি না থাকে সেই ভয়ে।
~ তুই না আসলেই একটা গাধা। এই শোন !
– বলনা
~ আমার হাতটা একটু ধরবি।
বাড়িয়ে দেয়া নীলার হাতটা ধরার জন্য আকাশ ওর হাতটা বাড়িয়ে দিল,
ঠিক সেই মুহূর্তে ক্রিং ক্রিং শব্দে মাথার কাছে রাখা অ্যালার্ম ঘড়িটা বেজে উঠলো। ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো আকাশের, সাথে ভেঙ্গে গেলো স্বপ্নটাও…
না এবারও ধরা হল না নীলার হাতটা…
বালিশের নিচ থেকে হাতরে মোবাইল ফোনটা বের করে দেখল ২৮ টা মিসকল, পাশে একটা নামও ভেসে উঠলো “নীলা”…
২৮ অগাস্ট ২০১৩…
দারুণ লিখেছেন ।অনবদ্য
দারুণ লিখেছেন ।অনবদ্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ…
অনেক অনেক ধন্যবাদ…
(No subject)
:গোলাপ: :পার্টি: