আসিফ মহিউদ্দীন , আল্লামা শয়তান , দিগম্বর পয়গম্বর নামগুলা শুনামাত্র আপনাদের মুখ দিয়া থুতু বেরিয়ে আসে আর যখন ফারাবী শফিউর রহমানের নাম বলা হয় তখন আপনাদের প্রশংসায় ভাব জাগ্রত হয়ে উঠে । আর ওঠাই স্বাভাবিক কারন ফারাবী শফিউর রহমানই তো একমাত্র ব্যাক্তি যে অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী পোস্টগুলার বিরুদ্ধে লড়াই করে । তাহার এই ইসলামবিদ্বেষী পোস্টগুলার বিরোধীতা করার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আরেকটা জাকজমক পূর্ন কাজও করে থাকেন । সেটা হল হিন্দু ধর্ম নিয়া কটাক্ষ ।
আসিফ মহিউদ্দীন , আল্লামা শয়তান , দিগম্বর পয়গম্বর নামগুলা শুনামাত্র আপনাদের মুখ দিয়া থুতু বেরিয়ে আসে আর যখন ফারাবী শফিউর রহমানের নাম বলা হয় তখন আপনাদের প্রশংসায় ভাব জাগ্রত হয়ে উঠে । আর ওঠাই স্বাভাবিক কারন ফারাবী শফিউর রহমানই তো একমাত্র ব্যাক্তি যে অনলাইনে ইসলাম বিদ্বেষী পোস্টগুলার বিরুদ্ধে লড়াই করে । তাহার এই ইসলামবিদ্বেষী পোস্টগুলার বিরোধীতা করার পাশাপাশি তিনি অনলাইনে আরেকটা জাকজমক পূর্ন কাজও করে থাকেন । সেটা হল হিন্দু ধর্ম নিয়া কটাক্ষ ।
আপনার প্রিয় ইসলাম ধর্ম নিয়া , নবী রাসূলকে কটাক্ষ নাস্তিকরা যখন পোস্ট করে তখন যেমন লাগে ফারাবী যখন হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করে পোস্ট মারে তখন আমাদেরই ঠিক তেমনি লাগে । আর ফারাবী যখন ঐসব হিন্দুধর্ম নিয়া কটাক্ষমূলক পোস্ট মারে তখন বেশিরভাগ আস্তিক মনা লোকও বিভিন্ন লুলীয় স্টাইলে তার ফেসবুকে পোস্টে কমেন্ট মারে । আসিফ মহিউদ্দীন যখন ইসলামরে কটাক্ষ করে পোস্ট মারে তখন আসিফ মহিউদ্দীনের দোষ হইয়া যায় আর যখন ফারাবী হিন্দুধর্ম নিয়া কটাক্ষ করে তখন তারে আপনারা অতি উপযুক্ত মাত্রার আস্তিক ট্যাগ দিয়া থাকেন । তাহার দীর্ঘায়ু কামনা করে অমুক তমুক করেন । আর সাথে আল্লাহর কাছে কন ঐসব নাস্তিক হালাগোরে চরম চরম থেইকা চরম শাস্তি দিতে । তয় ফারাবীর যখন হিন্দুধর্ম নিয়া কটাক্ষমূলক পোস্ট গুলা আমরা দেখি তখন আমাদের কি করতে মঞ্চায় আপনারা একটু নিজ অবস্থান থেকে একটু চিন্তা করে উত্তর দিন । একটা নির্দিষ্ট দোষ নিয়া লিখা শুরু করে তারপর ধীরে ধীরে গোটা হিন্দুজাতিকে নিয়া লিখা শুরু করে । ঐদিন দেবযানীরে মার্ক কইরা সমস্ত হিন্দুনারীদের বেশ্যা ট্যাগ মারলো । সারা ফেসবুকে ছড়াইলো হিন্দু মালাউন আর আর হিন্দু জাতি জারজ জাতি । আর তার এই এমন পোস্ট দেইখা যেকোনো গোঁড়া হিন্দু ব্যাক্তির মাথা গরম করাই স্বাভাবিক । আর মাথাগরমের রাগ বশত সে আক্রমনাত্মক মন্তব্য সরূপ ফারাবীর দুর্বলতা নবীজীরেই তুলে ধরবে আর এটাই স্বাভাবিক নিয়ম । এটাই এত দিন ধরে হয়ে যাচ্ছে । আর এই করে ইসলামবিদ্বেষী হিন্দু বেড়েই চলেছে । তাহলে কি আমরা বলতে পারি না ফারাবী কিংবা ফারাবী টাইপ ছাগুরাই বর্তমানে নাস্তিক ও ধর্মবিদ্বেষী তৈরীর কারখানা হিসেবে কাজ করছে । কারন তাদের উস্কানীমূলক পোস্টগুলার জবাব দিতে গিয়েই তো নাস্তিকরা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে । আসিফ মহীউদ্দীন , সাদিয়া সুমি , আল্লামা শয়তান , অভিজিত্ রায় এরাই সাধারনত ইসলাম কটাক্ষমূলক পোস্ট দেয় । আমি নিজেও তাদের ঘৃনা করি । ফারাবীর দুশমনি তাদের লগে , প্রতিবাদ করতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধে করুক কিন্তু তাদের প্রতিবাদ করার পাশাপাশি আরেকটা ধর্মকে মার্ক করে পচানির মানে কি । আপনে যদি বলেন আসিফ মহীউদ্দীন দোষী তাহলে আমি বলব ফারাবী শফিউর রহমানও সমান তালে দোষী । কারন দুজনেই সমান ক্যাটাগরিরই লোক । একজন ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করছে তো আরেকজন হিন্দুধর্মকে কটাক্ষ করছে । কেউ কারো থেকে কম যাচ্ছে না ।
ফারাবীর উস্কানীমুলক পোস্ট আজকের নতুন নয় । ইতিহাস ঘাটলে সেই রাজীব হত্যার আগে থেকেই সেই উস্কানীমূলক পোস্ট দিয়ে আসছে । রাজীব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত নর্থ সাউথের পাঁচ ছাত্র ছাত্র অনিক , দ্বীপ , রূম্মান , নাফিস এরাও ঠিক এই ফারাবীর পোস্টের উস্কানীতে রাজীব হত্যায় আরেকটু বেশি উস্কানী পেয়েছিল । যদিও রাজীব ও আসিফ মহিউদ্দীনকে মারার প্ল্যান তাদের অনেকদিন ধরেই । এই সেই ফারাবী যে ফারাবী রাজীবের জানাজার ইমামকে হত্যার হুমকি দেওয়ায় কাশিমপুর থানায় টানা ছয় মাস হাজত বাস পর্যন্ত করেছে । এই কয়েকদিন আগে অভিজিত্ রায়কে ও ঐ একই ধরনের হুমকি দেয় । আর হুমকিয় জবাবে অভিজিত্ রায় উল্টা নবীজীকে কটাক্ষ করে আরেকটা বড় নোট লিখল । রাগেয় মাথায় মানুষ এমন অনেক কথায় লিখে । ফারাবীও পরে অত্যন্ত যুক্তি সহ অভিজিত্ রায়ের পোস্টের জবাব দেয় । নবীজীর বিদ্রুপ পোস্টের প্রতিবাদ করায় তার অবশ্যই ধন্যবাদ প্রাপ্ত কিন্তু তাই বলে তার পোস্টে হিন্দু ধর্মকে টানা হয় কেন ? গীতা মহাভারত এগুলো নিয়া সে কটাক্ষ করার দরকার কি তার ? বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় এখানে নবীজী বা ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করায় চারজন ব্লগারকে গ্রেপ্তার করা হয় । কিন্তু হিন্দু ধর্ম নিয়ে নীচ থেকে নীচ পোস্ট করার পরও ফারাবীকে এই আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয় না । হুমম অনেকে বলতে পারেন ফারাবী গ্রেফতার হয় নাই কে বলছে সে তো কাশিমপুর থানায় ছয় মাস বন্ধী ছিল । হুমম তথ্য প্রযুক্তি আইন অনুযায়ী তাকে আটক করা হয় ঠিকই কিন্তু তা রাজীবের জানাজার ইমামকে হ্ত্যার হুমকির কারনে , হিন্দু ধর্মকে কটাক্ষ করার জন্যে নয় । বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হওয়ায় এদেশে হিন্দুরা অনেক্ষেত্রেই সুবিধা বঞ্চিত । অফলাইন থেকে অনলাইন পর্যন্ত সব জায়গায় আমাদের মুটামুটি বঞ্চনার শিকার । এর বড় প্রমান আজও ঐ সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচার হয় না । বেশির ভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের এটা বোঝার সামর্থ্য নেই যে সংখ্যালঘু হওয়ার জ্বালা কী । যারা বোঝে তারাই আমাদের পাশে থাকে । হয়ত সেই কিছু খাটি মুসলিম ভাইদের জন্যই আমরা আজও বলতে পারি যে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই । আর ফারাবীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের সেই ভাতৃ সম্পর্ক নষ্ট করতে অপপ্রচেষ্টা চালাচ্ছে ।
দারুণ লিখেছেন ভাই। কালকেই
দারুণ লিখেছেন ভাই। কালকেই এইটা নিয়ে ভাবছিলাম, জেল-জরিমানা এড়াতে আজকাল সবাই আস্তিক হয়ে যাচ্ছে। এই ফারাবী কয়দিন আগে জেল থেকে বের হলো অথচ সরকারও দেখি তার এইসকল ব্যাপারে জিরো টলারেন্সি দেখাচ্ছে। একদিন যেই রাজীবের জন্য শ্লোগান দিয়ে বাংলার আকাশ, বাতাস কাঁপানো হতো, যেই রাজীবের জন্য আহাজারিতে মানুষের ওয়াল, ব্লগ ভেসে যেতো একবছরের মাথায় সব কই থেকে কই উইড়া চইলা গেলো। ভাগ্যিস আগেই দেখে নিলাম হারামীপনার নমুনা, না হলে রাজীবের দশা হইলে একটা আফসুস থাকতো মরার পরে। দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতাম হায় এরা আমার হত্যার বদলা নিবে শপথ নেয় অথচ ফারাবী যখন আমার হত্যাকারীদের বীর বলে তাদের মুক্তি দাবী করে আমার খুনটা জায়েজ করে তখন তারা ভাবে আহা দেখো না খেয়ে পড়ে আছে শিশুটি….
বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ
ধন্যবাদ
উচিৎ কথাই লিখেছেন ।আমি
উচিৎ কথাই লিখেছেন ।আমি ব্যাক্তিগতভাবে সব ধর্মবিদ্বেষীদের ঘৃণা করি ।
আপনার কথা মাঝে মাঝে এলোমেলো
আপনার কথা মাঝে মাঝে এলোমেলো মনে হল। ধর্মের সমালোচনা করা এক জিনিশ আর কটূক্তি করা এক জিনিশ। আসিফ মহিউদ্দিন্রা সব ধর্মের সমালোচনাই করেন। ফারাবিরা ইসলাম বাদে সবগুলোর পিছে লাগে। ফারাবিরা ইসলামের জন্য ‘জিহাদ(হত্যা)’ করতেও প্রস্তুত । কিন্তু আসিফ মহিউদ্দিন্রা নিজের মতবাদ অন্যজনকে চাপিয়ে দেন না, বা সে জন্য কাউকে আক্রমণের চিন্তাও করে না।
একমাত্র সমাধান সবার মানসিকতায়
একমাত্র সমাধান সবার মানসিকতায় ৭২ এর সংবিধান প্রতিষ্ঠিত করা। :থাম্বসআপ:
ছাগু বিদ্বেষ ছাড়া আমার আর কোন
ছাগু বিদ্বেষ ছাড়া আমার আর কোন বিদ্বেষ নাই।
পুরোটা পড়তে পারিনি। একটা কথাই
পুরোটা পড়তে পারিনি। একটা কথাই বলবো- ধর্মবিদ্বেষীদের সবাই একযোগে প্রতিরোধ করুন হোক ইসলামবিদ্বেষী বা হিন্দুবিদ্বেষী। ফারাবিরা কেনো এটা বোঝে না অন্যের ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক মনোভাব পোষণ করা যাবেনা? আবার এই পক্ষের ধর্মবিদ্বেষীরা কেনো বোঝে না যে ইসলাম নিয়ে এটা করা যাবে না? নিজে ধর্ম না মানা সেটা ব্যক্তিগত বিষয় কিন্তু অপরকে আঘাত করা কোন মানব ধর্মের মধ্যে পরে?