বইমেলায় নিয়মিতই বই কিনি । বই কিনতে , পড়তে , উপহার হিসেবে দিতে খুব ভালো লাগে । এতদিন মেলায় গেলেই খালি খুঁজতাম হুমায়ুন আহমেদ স্যার বা জাফর ইকবাল স্যারের নতুন কোন বই এসেছে । সেগুলো চট করে কিনে ফেলতাম । আমাদের দূর্ভাগ্য হুমায়ুন আহমেদ স্যার আমাদের মাঝে আর নেই । তার নতুন কোন বই পাব না ভাবতেই খারাপ লাগে । যাইহোক , এইবার ঠিক করলাম নতুন লেখকদের কিছু পড়ব । খুঁজতে লাগলাম । আমি আবার খুব অস্থির মানুষ । এসব খুঁজাখুজি আমার দ্বারা হয়না । বন্ধু অর্ফিয়াসকে বললাম একটা বই রেফার করার জন্য । ও আমাকে রেফার করল এই বইটি , “কিছু বিষাদ হোক পাখি । Kichu Bishad Hok Pakhi” । অনেক আগ্রহ নিয়ে বইটি কিনলাম । অন্যপ্রকাশ থেকে । হুমায়ুন আহমেদ স্যারের বই বের হত এই অন্যপ্রকাশ থেকে । যাইহোক , বইটা হাতে নিয়ে শুরুতেই দেখলাম প্রচ্ছদটা । সাদা আর নীলে মিলানো অনেক সুন্দর একটা প্রচ্ছদ । বাসায় এসে বইটা পড়া শুরু করলাম । সঞ্জনা নামের এক মেয়ের কাহিনী । ছোট থেকে বড় হওয়া , বাবার প্রতি , মনি নামের বড় বোনের প্রতি , মার প্রতি ভালোবাসা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে প্রতিটি লাইনে । জীবনের ছোট ছোট বাস্তবতাগুলো ফুটিয়ে তোলা হয়েছে । আসলে এইভাবে কী বলব ! সাহিত্য হয়েছে কিনা তা গবেষণা করা আমার কাজ না ।
ঐ প্রমথ চৌধুরীর ভাষ্যমতে আমি স্কুল মাস্টার হতে চাইনা । তারা যেভাবে সাহিত্যের চুলচেরা বিশ্লষণ করেন তখন তা আর সাহিত্য থাকেনা ।
এখানে একটা জিনিস আছে বলার মত । যেটা আমি নিজেও খেয়াল করেছি । বাবা মারা গেলে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেয়ার জন্য খুব তাড়াহুড়া চলতে থাকে । যেন মেয়েটা পরিবারের জন্য একটা উটকো ঝামেলা । অনেকে হয়ত পরিবারের চাপে আর বাবার শোকে বিয়েও করে ফেলে । তার সকল স্বপ্ন , সকল আশা আকাঙ্খা ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় বাবার মৃত্যুর সাথে সাথে । তখন বাবার মৃত্যুর শোকের থেকে বাবার ওপর অভিমানটাই বড় হয়ে উঠে ।
এখন সঞ্জনার ব্যাপারে কী বলব ! এই গল্পটা তার ভাষাতেই লেখা । তার ছোট্ট জীবন যেন তার বাবা , মা , মনিপাতেই সীমাবদ্ধ ছিল । তার বড় বোন মনিকে সে মনিপা বলত । সঞ্জনা তার বন্ধু মোক্তারের প্রতি না বলা অনুভূতিগুলো লুকোতে পারেনি তার কাছ থেকে । পরবর্তিতে কি হয়েছে জানিনা ।
কেউ না হয়েই সঞ্জনার জন্য অনেক কিছু ছিল আদিবা । এমন অনেক অনুভূতিই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বইটিতে ।
অনেক ছোট কাহিনী । এক বসাতেই যেন পুরোটা বলে ফেলতে পারব । কিন্তু বলছি না । কিনে পড়ে দেখবেন ।
এখন আমার মন্তব্য বলি আসলে অন্যদের জন্য ভালো বই কী আমি জানি না । আমার জন্য যেই বইটা আমার মনে অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে , কাঁদাতে পারে , হাসাতে পারে সেইটাই ভালো বই । এরকম বই আমি খুব কম পড়েছি । শুভকামনা রইল মাহরীন ফেরদৌস (একুয়া রেজিয়া) আপুকে ।
মাহরীন ফেরদৌস (একুয়া রেজিয়া)
ইনি কি বইটির রাইটার ?
নারী এই সমাজের জন্য এখনো বোঝা হয়ে আছে । বাবার বোঝা, স্বামীর বোঝা, সন্তানের বোঝা … আমৃত্যু যেন বোঝা হয়ে থাকার জন্য মেয়েদের জন্ম হয়েছে । ভগ্নীদের কে বলছি, আমাদের মুক্তি কেউ এনে দেবে না, আমাদেরকেই মুক্ত হতে হবে রাক্ষস পুরুষদের কারাগার থেকে ।
হ্যা । একুয়া রেজিয়াই বইটির
হ্যা । একুয়া রেজিয়াই বইটির লেখক।
যেটা আমি নিজেও খেয়াল করেছি ।
এই লাইনগুলো কেমনযেন একটা কষ্টের হাওয়া দিলো। :ভাঙামন: :ভাঙামন: সবকিছু মিলিয়ে ভালোই লিখেছ… :থাম্বসআপ: :থাম্বসআপ:
ভালো লাগলো।
ভালো লাগলো। :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ: :গোলাপ:
পড়ব ভাইয়া, জীবন নিয়ে লেখা
পড়ব ভাইয়া, জীবন নিয়ে লেখা গুলো ভাল লাগে। হাসাতে পারে কাঁদাতে পারে বই গুলো……
তুই আসলেই বড় হয়ে গেছিস রে!!
তুই আসলেই বড় হয়ে গেছিস রে!! ভাল অনুভূতি…
যা পড়তে বস! পরশু আবার পরীক্ষা!!!
(No subject)
:'( :'( :'( :'( :'( :'(
বইটা পড়ার ইচ্ছা আছে। খুব ভালো
বইটা পড়ার ইচ্ছা আছে। খুব ভালো লাগছে যে, যাঁদের লেখালেখির সূচনা ব্লগ থেকে হয়েছে তাঁদের অনেকেই আজ প্রতিষ্ঠিত লেখক হওয়ার পথে। এগিয়ে যাক অনলাইন কমিউনিটি।
ভাল লিখেছেন। লেখাটির জন্য
ভাল লিখেছেন। লেখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।