ইরা,
স্যরি, সম্বোধনে তোমার নামের আগে বসানোর মতো কোনো বিশেষণ খুঁজে পেলাম না। চিঠিটা হাতে পেয়ে নিশ্চয়ই অবাক হবে। চিঠিটা লিখে আমি নিজেও কিন্তু কম অবাক হই নি। আসলে তোমাকে যাতে কষ্ট করে কিছু অর্থহীন ইমো পাঠাতে না হয় সেজন্য ফোনের বদলে কাগজেরই সাহায্য নিলাম।
ইরা,
স্যরি, সম্বোধনে তোমার নামের আগে বসানোর মতো কোনো বিশেষণ খুঁজে পেলাম না। চিঠিটা হাতে পেয়ে নিশ্চয়ই অবাক হবে। চিঠিটা লিখে আমি নিজেও কিন্তু কম অবাক হই নি। আসলে তোমাকে যাতে কষ্ট করে কিছু অর্থহীন ইমো পাঠাতে না হয় সেজন্য ফোনের বদলে কাগজেরই সাহায্য নিলাম।
জানোতো সত্য কথাগুলো বেশিরভাগ সময়ই আমরা লুকিয়ে রাখি। তবুও মাঝে মাঝে বলতে খুব ইচ্ছে করে। সেরকমই একটা সত্য কথা হলো-তোমাকে আমার ভীষণ ভালোলাগে। কখনো ভাবিনি একথাটা তোমাকে জানাবো, কিন্তু আজকের পর তোমার সাথে আর কোনোদিন দেখা নাও হতে পারে। তখন একটা অতৃপ্তি নিয়েই চিরদিন বেঁচে থাকতে হবে। তারচেয়ে না হয় নিজের নির্বুদ্ধিতাকেই বেছে নিলাম। তাও তো অতৃপ্তি থাকবে না!
তোমাকে প্রথমদিন দেখেই ভালোলেগে গিয়েছিলো এমনটা বললে সত্যিই মিথ্যে বলা হবে। কারণ তোমাকে ভালোলাগার ব্যাপারটা বুঝতেই আমার অনেকদিন সময় লেগেছিলো। তারপরও মোহটা কেটে যাবে ভেবে প্রথমে তেমন গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু একসময় অবাক হয়ে দেখলাম সব মেয়ের ভেতরেই তোমার ছায়া খুঁজে বেড়াচ্ছি। তবুও কিন্তু তোমাকে কাছে পাওয়ার দুঃসাহস করিনি কোনোদিন, আজও করছি না। তোমার থেকে এক টুকরো তাচ্ছিল্যের হাসির বেশি কিছু পাওয়ার আশাও আজ করছি না।
জীবনে এমন কোনো ভালো কাজ করিনি যাতে তোমাকে ভালো থাকার আশীর্বাদ করতে পারবো। তবুও শুভকামনা রইলো তোমাকে যেন আমার মতো হাসির দ্বারা দুঃখগুলো প্রকাশ করতে না হয়। ভালো থেকো।
ইতি,
হলেও অন্য কিছু হতে পারতো টাইপের এক বন্ধু-
তুর্য।
অবলীলায় চিঠিটা লিখা শেষ করল লুব্ধক। এখন শুধু ৫০টা টাকার সাথে চিঠিটা ইরার বাসার দারোয়ানের কাছে পৌঁছে দিলেই হলো। অবশ্য প্রেরকের নামটা ওরই হবার কথা ছিলো, কিন্তু ও জানতো তূর্য ইরাকে ওর চেয়েও অনেক বেশি ভালোবাসে। এইতো দুদিন আগেও ছেলেটা এ নিয়ে পাগলামী করে হাতটাত কেটে হাসপাতালে ঘুরে আসলো। আর ওর নিজের মোহটা হয়তো কিছুদিন পরেই কেটে যাবে। তারচেয়ে ইরা সুখে থাক। আর ভালোবাসার মানুষটার যে কাছেই থাকতে হবে এমন তো কোনো কথা নেই!
– – – – – –
অনেকবছর পর লুব্ধক ঢাকায় আসলো। এক বন্ধুর কাছে থেকে ইরার ঠিকানাটা নিয়েই ও উত্তরায় ছুটে গেলো। প্রথমদিকে ওর খুব কষ্ট হয়েছিলো ইরা আর তূর্য বিয়ে করেছে এই খবরটা শুনে। এখন আর তেমন কষ্ট হয়না। ঐতো ইরাকে দেখা যাচ্ছে, ড্রাইভিং সিটে তূর্য আর পাশের সি?টে ও বসে আছে। আগের চেয়ে আরও সুন্দর হয়েছে ও, চেহারা থেকেও একটা সুখী সুখী ভাব ঠিকরে বের হচ্ছে। লুব্ধক তো এটাই চেয়েছিলো। অতঃপর একরাশ অতৃপ্তিতে কিছু তৃপ্তির প্রলেপ লাগিয়ে, তৃপ্তি আর অতৃপ্তির টানাপোড়নে ভুগতে ভুগতে, পিচঢালা পথটাকে কিছু দুঃখ উপহার দিয়ে লুব্ধক হেটে চললো।
লুব্ধককে নোবেল প্রাইজ দেয়া
লুব্ধককে নোবেল প্রাইজ দেয়া দরকার।
পিচঢালা পথটাকে কিছু দুঃখ
:ভাঙামন: :ভাঙামন: :ভাঙামন: :ভাঙামন: :ভাঙামন: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ: :মনখারাপ:
(No subject)
:ভাঙামন: :ভাঙামন: :ভাঙামন: :মনখারাপ: :মনখারাপ:
চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ
চমৎকার লিখেছেন। ধন্যবাদ লেখককে।